1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি অপসারণ - মুক্তকথা
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি অপসারণ

আনসার আহমেদ উল্লাহ
  • প্রকাশকাল : রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০২৪
  • ২১১ পড়া হয়েছে

জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি বাতিল
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি অপসারণ
নিন্দা জানিয়েছে ‘৭ই মার্চ ফাউন্ডেশন’, লণ্ডন।

লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ৪৯তম জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি বাতিল এবং এর প্রাঙ্গণ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি অপসারণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি পাঠিয়েছে ‘৭ই মার্চ ফাউন্ডেশন’ লণ্ডন।

বিবৃতে ‘৭ মার্চ ফাউন্ডেশন’ বলে- “আমরা এই পদক্ষেপকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিহিংসাপরায়ণ এবং বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের সম্পূর্ণ পরিপন্থী হিসেবে দেখি। জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি বাতিল করা এবং জাতির পিতার প্রতিকৃতি অপসারণ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে জানার সুযোগ থেকে বাঙালিদের প্রজন্মকে বঞ্চিত করার একটি ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টার প্রতিনিধিত্ব করে। এটি একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করে, যা আমাদের ঐতিহাসিক অর্জন এবং জাতীয় বীরদের প্রতি সহনশীলতা এবং গর্ব করার অনুভূতি বিকাশের জন্য আমাদের তরুণদের ক্ষমতাকে সম্ভাব্যভাবে বাধা দেয়।”

“‘৭ মার্চ ফাউন্ডেশন’ দ্ব্যর্থহীনভাবে এইসব বিভেদ ও বিভেদমূলক কাজের নিন্দা করে। আমরা বিশ্বাস করি যে এই কর্মগুলি মৌলিকভাবে জাতীয় ঐক্য এবং পুনর্মিলনের চেতনার বিরোধিতা করে যখন আমাদের জাতির এটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। উপরন্তু, আমরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ অবিলম্বে নেয়ার আহ্বান জানাই:- বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশী দূতাবাস ও হাইকমিশনসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি যথাযথভাবে ও সম্মানের সাথে প্রদর্শন করা নিশ্চিত করুন।
রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি উভয় পর্যায়েই ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস অব্যাহতভাবে পালনের নিশ্চয়তা দিন।”
“৭ই মার্চ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার সংরক্ষণ এবং জাতীয় ঐক্যের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সকল পক্ষকে আমাদের ভাগ করা ইতিহাসের গুরুত্বের প্রতিপ্রতিফলন করার জন্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিকে সম্মান জানাতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।”


 

বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলার প্রতিবাদ

 

জাদুঘরে রূপান্তরিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাবেক বাসভবনটি আমাদের ইতিহাস ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছে। বাড়িটি কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের নয়। এটি এখন বাংলাদেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীর একটি জাতীয় সম্পত্তি। ২০০৯ সালে, রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) জাদুঘরটিকে জাতীয় ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে ঘোষণা করে। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ‘৭ মার্চ ফাউন্ডেশন’ এক বিবৃতির মাধ্যমে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন- “আমরা বিশ্বাস করি যে এই জাতীয় সম্পদের ধ্বংস বাঙালির বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য জ্ঞানের ফোয়ারা বন্ধ করার সমান। এটি আমাদের জাতীয় বীরের প্রতি সহনশীলতা এবং সম্মানের বোধ নিয়ে আমাদের তরুণদের বেড়ে ওঠার জন্য একটি খারাপ নজিরও স্থাপন করে। এই কাজগুলোও জাতীয় ঐক্য ও সমঝোতার চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

“আমরা দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে বাংলাদেশের সকল সচেতন নাগরিকের কাছে এই বিশুদ্ধ প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ডের কঠোরতম ভাষায় নিন্দা জানাই।”

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন- “আমরা অবিলম্বে নিম্নোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করছি, এই ঘৃণ্য অপরাধের অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনুন, অবিলম্বে যাদুঘরের সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার শুরু করুন এবং টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসহ দেশের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত সকল স্থান ও জাদুঘরের পূর্ণ সুরক্ষা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হোক।”


 

বাংলাদেশে মানুষ খুন ও সম্পদ লুঠের বিরুদ্ধে
এ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনেল-এ স্মারকলিপি

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী(পুলিশ) অকার্যকর হয়ে পড়ায় মানুষ খুন, আগুন সন্ত্রাস, ধন সম্পদ লুন্ঠন, নারীদের উপর হামলা ও গুম এর প্রতিবাদে ‘যুক্তরাজ্য হিউম্যান রাইটস কমিশন’-এর উদ্দ্যোগে গত ৮ আগস্ট এ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল লন্ডন অফিসে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির ফুটেজ সহ স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন, হিউম্যান রাইটস ইউকের সভাপতি আব্দুল আহাদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি জামাল আহমদ খান, মামুন চৌধুরী, আহমদ আহসান, কাজী মাসুম, এম. এ সালাম , রাজিবুল হক বাদশা প্রমুখ।

এ সময় স্মারকলিপি গ্রহণ করেন এ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর ইন্টারন্যাশনাল সেক্রেটারি মি: টমি উড। ইতিপূর্বে স্মারকলিপি প্রদানকারীগন ইউস্টন স্ট্রিট-এ এক সংক্ষিপ্ত বৈঠকে মিলিত হন।


 

ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রীর কাছে বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরামের স্মারকলিপি

হত্যাকান্ড ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডে জঙ্গি জড়িত থাকার অভিযোগ

লন্ডনঃ

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাধারন শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে করে পূঁজি করে স্বাধীনতা বিরোধী জামাতে ইসলামী জঙ্গিগোষ্টী ও সরকার বিরোধী বিএনপি দেশব্যাপী যে ধ্বংশাত্মক কর্মকান্ড চালিয়ে হত্যাকান্ড ও ধ্বংশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আক্রমণ এবং হত্যার মাধ্যমে দেশব্যাপী এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃস্টি করে অচল হয়ে পড়ে সমগ্র দেশ। শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দেশে জারিকরা হয় কার্ফিউ। সাধারন শিক্ষার্থী সহ ঘটে বেশ কিচু প্রাণহানির প্রাণ হানির ঘটনাও।এর বিস্তারিত তুলে ধরে ব্রিটিশ সরকারকে অবহিত করতে যুক্তরাজ্য বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরাম ইউকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি স্মারক লিপি প্রদান করে।
বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদের নেতৃত্বে ৬সদরেস্যর একটি প্রতিনিধি দল ১ আগস্ট লন্ডন ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের অফিসে নিয়ে গেলে, ১০নং ডিউনিং ষ্ট্রীটের একজন কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহন করেন।

স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয় এতে সাধানর শিক্ষার্থীদের সাথে সরকারের মত পার্থক্য না থাকলেও স্বাধীনতা বিরোধীরা শিক্ষার্থীদের মিছিলে প্রবেশে করে জেল ভেঙ্গে বেশ কয়েকজন জঙ্গি সহ কয়েক শো অপরাধীকে পালিয়ে যাবার সুযোগ করে দেয়। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার বাংলাদেশ টেলিভিশন, মেট্রারেল সহ বেশ কয়েককটি সরকারী স্থাপনা সম্পুর্ণ ধ্বংশ করে। এতে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়। যা একটি উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে সহজে কাটিয়ে উঠা সম্ভব নয়।

সরকারও চাইছে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসল অপরাধীদের চিহ্নিত করে বিচারের সম্মুখীন করতে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টকারী স্বাধীনতা বিরোধীরা কোনদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বেভৌমত্ব এবং উন্নয়নে বিশ্মাসী নয়। এরা চাইছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনষ্ট করতে। এই গোষ্টী যেমনটি করেছিল ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে। এরা মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে পারদর্শিী। এই গোষ্টী ব্রিটেন সহ বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালিয়ে বিষয়টিকে অন্যখাতে প্রবাহিত করতে চাইছে । স্মারক লিপি হস্তান্তর অনুষ্টানে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ, সহসভাপতি বাতিরুল হক সরদার, সাধারন সম্পাদক শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আব্দুল বাছির, সদস্য আতিয়ার রসুল কিটন প্রমুখ।


 

চলমান সহিংসতা ও সন্ত্রাসী তৎপরতায় উদ্বেগ প্রকাশ

সারা দেশে চলমান সহিংসতা ও সন্ত্রাসী তৎপরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। আজ ৮ আগস্ট (২০২৪) সংগঠনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও সংখ্যালঘু পরিবার, ভাস্কর্য, স্থাপনা, শিল্পালয়, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক যাদুঘর, চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহের ওপর প্রতিহিংসামূলক আক্রমণ, লুট, ভাংচুর, হত্যা, হুমকি চলছে। এমনকি রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের চিন্তক, গবেষক, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারও হুমকির মুখে দিনাতিপাত করছেন। পুলিশ বাহিনী ও থানাও আক্রমণ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের আগে পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। গণতান্ত্রিক চর্চা ও সুশাসনের জন্য এমন নৈরাজ্য একেবারেই সহায়ক নয়।

‘আমরা স্মরণ করছি, বাংলাদেশ সেনাপ্রধান দায়িত্ব গ্রহণের পরপর জাতির উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, তিনি জাতির দায়িত্ব নিচ্ছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সকলকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেন। তার এই যুক্তিসঙ্গত আহবানে নৈরাজ্যকারীরা কর্ণপাত করেনি। আমরা আশা করবো অতি সত্বর সেনাপ্রধান, মাননীয় রাষ্ট্রপতি এবং আসন্ন অন্তবর্তীকালীন সরকার জন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেবেন। আমরা আশান্বিত যে সেনাবাহিনী থেকে ইতিমধ্যে কিছু জরুরি ফোন নম্বর সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু গতকাল সঙ্গত প্রয়োজনে অনেকেই সেই নম্বরে প্রবেশ করে সহায়তা চাইতেই পারেন নি। আশাকরি এই ব্যাপারে দ্রুত আরও বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে। আমরা আরও আশা করবো, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে অচিরেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সংবাদদাতা, কেন্দ্রীয় কমিটি
এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT