ছাতক, সুনামগঞ্জ থেকে লিখেছেন চান মিয়া।। সিলেটে আদালতের সাথে প্রতারণা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন ছাতকের কালারুকা ইউনিয়নের কাজি মাওলানা আব্দুস শাকুর। গত ৭আগষ্ট সিলেট মহানগর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহিত দেয়া হয়।
জানা যায়, মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-০৩ এর বিজ্ঞ বিচারক মামুনুর রহমান সিদ্দিকী বাদি হয়ে গত ১৮মে’ সিআর মামলা নং ৬৬২/২০১৭ইং দায়ের করেন। বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন, সিলেট শাহপরান থানার মামলা নং ১৫, তাং ২০.০২.২০১৬ইং (জিআর মামলা নং ৩২/২০১৬ইং) এর আসামি ওসমানীনগর থানা সৈয়দপুর-উমরপুর গ্রামের আসিকুর রহমান চৌধুরীর পুত্র আহমদ জামান চৌধুরী ফরহাদ(২৮) এর প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার যুধিষ্টিপুর গ্রামের মৃত ওবায়দুল হকের মেয়ে ফাহমিদা হক।
এ মামলায় ফরহাদের উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর ২৬ফেব্রুয়ারি ফরহাদ ও ফাহমিদা হক নিজেদের জন্ম নিবন্ধন, বিয়ের উকিল ও সাক্ষী নিয়ে ছাতকের কালারুকা ইউনিয়ন কাজি অফিসে উপস্থিত হয়ে বিবাহ রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন করেন। পরে ২মে’ ওই কাবিন রেজিষ্ট্রি ও ফাহমিদা হক নামের ভূয়াঁ বাদি আদালতে উপস্থাপন করে ফরহাদ ও ফাহমিদার মধ্যে বিষয়টি আপোষ নিষ্পত্তিতে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে দেখিয়ে জামিন নেয়। এরপর ১৬মে’ মামলার মূল বাদি ফাহমিদা হক আদালতে হাজির হয়ে জাতিয় পরিচয়পত্র উপস্থাপন করে বলেন, তিনির সাথে আসামির আপোস নিষ্পত্তিতে কোন বিয়ে সম্পন্ন হয়নি। ফলে ঘটনার দায়ভার এড়াতে গিয়ে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামুনুর রহমান সিদ্দিকী বাদি হয়ে আহমদ জামান চৌধুরী ফরহাদ, এড. আকমল খান, এড. সাহাব উদ্দিন, ছাদিক মিয়া, ফাহমিদা হক নামের অজ্ঞাত নারী ও কাজী মাওলানা আব্দুস শাকুরসহ ৬জনের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। সাথে সাথেই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়।
অবশেষে ৭আগষ্ট মামলার চার্জ গঠনের সময় দুই আইনজীবিও কাজি মাওলানা আব্দুস শাকুরসহ ৩জনের বিরুদ্ধে দঃবি ২০৫, ২০১, ২০৯, ৪১৯, ৪২০, ৪৬৬, ৪৭১ ৩৪ধারার উপাদান প্রমানিত না হওয়ায় মামলা থেকে তাদেরে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।