ঘটনাটি ভারতের রাজস্থানের। স্বামী খুনের আসামী, যাবজ্জীবন সাজায় জেলে খাটছেন। আইনের কাছে বৌ’এর দাবী মা হবার। স্ত্রী সন্তান প্রসবা হতে চান। অন্যকথায় সন্তান ধারণ করে মা হতে চান বৌ।
কিন্তু হবেন কি করে, স্বামী নন্দলাল(৩৫) তো খুনের মামলায় বন্দি হয়ে জেলে আছেন। এহেন অবস্থায় মাতৃত্বের অধিকার চেয়ে ভারতের জোধপুর উচ্চ আদালতের শ্মরণাপন্ন হয়েছেন ঐ স্ত্রী। আদালতও তার অধিকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে এসেছেন। বিগত শুক্রবার খবরটি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ভারতীয় বাংলা পত্রিকা আনন্দবাজার পত্রিকা।
ওখান থেকে জানা যায়, ওই নারীকে গর্ভধারণের সুযোগ দিয়ে খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত স্বামীকে শর্তসাপেক্ষ মুক্তি দেয়ার আদেশ দিয়েছে রাজস্থানের জোধপুর উচ্চ আদালত। ব্যাখ্যায়, আদালত মনে করে গর্ভধারণের সুযোগ পাওয়া ওই স্ত্রী’র অধিকার। এ রকম অধিকার থেকে কোন নারীকে আইন বঞ্চিত রাখতে পারে না।
উল্লেখ্য যে, একটি খুনের মামলায় স্বামী নন্দলাল(৩৫)কে যাবজ্জীবন জেলদণ্ড দিয়েছিল রাজস্থানের ভিলওয়াড়া আদালত। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি সাজাভোগ করছেন। ফলে জোধপুর উচ্চ আদালতে সম্প্রতি তার স্ত্রী রেখা মা হবার দাবী নিয়ে এক আবেদন জানান। তিনি মা হতে চান কিন্তু স্বামী জেলে থাকায় তা সম্ভব হয়ে উঠছে না। একজন নারীর সন্তানধারণ প্রাথমিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। আর এই অবস্থা ভেবে উচ্চ আদালত আসামী নন্দলালকে শর্তসাপেক্ষ মুক্তির আদেশ দিয়েছে।
বংশ বিস্তার ও সংরক্ষন ভারতীয় সংস্কৃতি ও ধর্মীয় দর্শনের মধ্যে পড়ে উল্লেখ করে জোধপুর উচ্চ আদালতের বিচারক সন্দীপ মেহতা তার আদেশের পর্যবেক্ষণে লিখেছেন, নন্দলাল জেলে থাকায় তার স্ত্রী’র জীবনে প্রভাব পড়ছে। অথচ স্ত্রী তো কোনো দোষ করেননি। ফলে তার দাবী গ্রহনযোগ্য। আদালত এই আইনগত বিষয়টি নজরে রেখেছে। এছাড়া একজন বন্দীকে শর্তসাপেক্ষ মুক্তি দেয়ার উদ্দেশ্য, শান্তিপূর্ণভাবে সমাজের মূল স্রোতে ফেরার কাজে তাকে পুনরায় উৎসাহী করা।