লণ্ডন সংবাদকক্ষ।। বৃটেনের চতুর্দিক থেকে ধেয়ে আসছে বিশাল মানবঝড়ের ঢেউ। উত্তরের কেইথনেছ থেকে দক্ষিনের কর্ণওয়াল পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা থেকে শত শত, হাজার হাজার মানুষের স্রোত এসে যোগ দেবে লণ্ডনে। আসন্ন গ্রীষ্ম হবে সত্যিকার অর্থেই কর্ম আর জনসমাবেশের এক সৃষ্টিশীল সময়। জানা গেছে, সুদূর জিব্রাল্টার থেকে বিশাল এক জনগোষ্ঠী লণ্ডনে এসে যোগ হবে উপচে পড়া মানুষের সে ঢেউয়ে। মানুষের সে জলোচ্ছাস ধুয়ে মুছে নির্মল পরিচ্ছন্ন করে দিয়ে যাবে বৃটেনের মরচে ধরা রাজনীতিকে। এমনি আশা আয়োজকদের।
শক্তিশালী প্রতিবাদী ভঙ্গিতে ধেয়ে আসা এসব মানুষের দাবী একটিই। ‘ব্রেকসিট’ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের উপর গণভোট দিতে হবে। অনুমিত হচ্ছে এটি হবে ইউরোপের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ সমাবেশ।
এ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে অনেক আগ থেকেই। ব্যাপক প্রচার ও সমর্থনের জন্য প্রচারকারীরা নিজ নিজ এমপিদের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। আয়োজনকারীদের ধারণা, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার এ সিদ্ধান্ত প্রত্যেকটি মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বিশেষ করে এ সিদ্ধান্তের সুফল-কুফলের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত যে যুবসম্প্রদায় তাদের কোন মতামত কখনই নেয়া হয়নি। অথচ এ সিদ্ধান্তের ফলে দেশের ৫লাখ যুবসম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে সরাসরি।
৬কোটি ৫০লাখ মানুষের জীবনের সাথে জড়িত এমন একটি সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র ৬৫০জন জনপ্রতিনিধির উপর ছেড়ে দেয়া সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে না কখনও। আর তাই আরো একটি গণভোটের দাবীতে আগামী ২৩শে জুন শনিবার লণ্ডনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ সমাবেশ। এমনি সময় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে যখন ব্রেক্সিট নিয়ে বিগত গণভোটের দুই বছর পুর্তি হতে চলেছে।
এ মহাসমাবেশ এবারের গ্রীষ্মের শুধুই যে প্রধান আকর্ষণ হবে তা নয়, এ সমাবেশ ইউরোপের বড় বড় প্রচারকারী ও সমাবেশ আয়োজনকারী সংগঠনগুলিকেও এক সঙ্গমস্থলে নিয়ে আসার কাজ করবে বলে মনে করেন আয়োজনকারীদের অনেকেই।
মহাসমাবেশের এ আয়োজনে শরিক রয়েছেন, ‘অপেন বৃটেন’, ‘দি ইউরোপীয়ান মুভমেন্ট ইউকে’, ‘বৃটেন ফর ইউরোপ’, ‘আওয়ার ফিউচার আওয়ার চয়েচ’, ‘ফর আওয়ার ফিউচার সেইক’, ‘সায়েন্টিস্ট ফর ইইউ’, ‘হেল্থিয়ার ইন’, ‘ইনফেক্ট’, ‘ট্রেড ডিল ওয়াচ’ এবং ‘বেস্ট ফর বৃটেন এণ্ড ওয়েলস ফর ইউরোপ’। সূত্র: ‘অপেন বৃটেন’