1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
মরহুম মেজর জলিল ও তার মুক্তিযুদ্ধে না জানা অনেক ইতিহাস - মুক্তকথা
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অ্যাপ্‌লের জিনিস আর ভারতে বানাবেন না! পারমাণবিকের ৮জন কর্মচারীকে সাময়িক অপসারিত বগুড়ায় জাতীয় সংগীত চলাকালে হামলার প্রতিবাদে ছাত্র ফ্রন্টের বিক্ষোভ পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হয়েছে আইনজীবী সুজন হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার। তিয়ানশী’র উদ্যোক্তা সমাবেশ নিবিড় পরিচর্যায় অধ্যাপক আজিজ। স্বয়ং গ্রামবাসীগন রাস্তা মেরামত করলেন নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক ফ্রিল্যান্সিং সেমিনার ও প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫ তেলবাহী রেল লাইনচ্যুত, দায়ী চালকের অসাবধানতা বিএনপি নেতার উপর হামলায় বিক্ষোভ এবং জালালাবাদ প্রদেশ বাস্তবায়নে মানববন্ধন 

মরহুম মেজর জলিল ও তার মুক্তিযুদ্ধে না জানা অনেক ইতিহাস

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০
  • ২০০৩ পড়া হয়েছে
নিউজ ইনসাইড২৪ ২০১৮সালের ১১ জানুয়ারী মুক্তিযুদ্ধে মেজর জলিলকে নিযে বিস্তৃত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ প্রতিবেদনে মুক্তিযুদ্ধে মেজর মঞ্জুর ও মেজর জলিল বিষয়ে অনেক নাজানা তথ্য পাওয়া যায়। আমাদের পাঠকদের মূল্যবান পাঠোভ্যাশের দিকে নজর রেখে সেই প্রতিবেদনের মূল অংশ এখানে নিচে হবহু পত্রস্ত করা গেল। -সম্পাদক

মেজর জলিলঃ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দী ও একমাত্র রাষ্ট্রীয় ‘খেতাবহীন’ সেক্টর কমান্ডার

মুক্তকথা সংগ্রহ॥ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অনেক ত্যাগ আর কষ্টের বিনিময়ে পাওয়া গেল স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশ! ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করা জাতি বিজয় পেল ১৬ ডিসেম্বর। স্বাধীন দেশে বিজয় অর্জনের ২ সপ্তাহ পরে খুলনা থেকে যশোর হয়ে একটি প্রাইভেট কার ও একটি মাইক্রোবাসে করে ঢাকা যাচ্ছেন ১৬ জন মুক্তিযোদ্ধা। যাদের মধ্যে ছিলেন ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ পর্যন্ত ৯ নম্বর সেক্টরের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা কমান্ডার মেজর জলিল। এবং বাকি সকলেই ৯ নম্বর সেক্টরের শীর্ষস্থানীয় যোদ্ধা যারা দেশকে মুক্ত করতে বীরত্বের সাথে জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে লড়েছেন। এবং বাধ্য করেছেন খুলনার পাক বাহিনীকে আত্নসমর্পন করতে (১৭ ডিসেম্বর)। ছিলেন জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার। সকাল ১০টার দিকে তাদের বহন করা প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস যখন যশোর শহরে প্রবেশ করবে তখনই কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮ নং সেক্টরের আরেকদল সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা পথরোধ করলো তাদের। যাদের সাথে ছিল অস্ত্র তাঁক করে পজিশন নিয়ে থাকা প্রায় ২০জন মেশিনগানধারী মুক্তিযোদ্ধা। মেজর জলিলের সঙ্গীরাও ছিল সশস্ত্র। তারা বন্দুক তাক করতে গেলে মেজর জলিল “ডোন্ট ফায়ার” বলে থামিয়ে দেন তাদের।

যে দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করলেন সেই দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ের মাত্র ২ সপ্তাহের মাঝে ৯ নং সেক্টরের অধিনায়কসহ ১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে আটক করা হলো! আটক করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় যশোর সার্কিট হাউজে। মেজর জলিল কে আলাদা করে বাকিদের অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর সেখানে মেজর মঞ্জুর আসলে মঞ্জুর ও মেজর জলিলের মাঝে তুমুল কথা কাটাকাটি হয়। আমাকে গ্রেফতার করার সাহস হলো কিভাবে, কে নির্দেশ দিয়েছে- মেজর জলিলের এমন প্রশ্নের উত্তরে মেজর মঞ্জুর জানান- জেনারেল ওসমানীর নির্দেশে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাই কমান্ডের নির্দেশ অমান্য, খুলনা জয়ের পর লুটতরাজ করা ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তার বিভিন্ন বক্তব্য ও পদক্ষেপের কারনে কোর্ট মার্শালে তার বিচার করা হবে। কিন্তু কেন গ্রেফতার করা হলো মেজর জলিল কে?

কেন স্বাধীন দেশের প্রথম রাজবন্দী করা হলো একজন সেক্টর কমান্ডারকে! কেন এরকম অভিযোগ আনা হলো! এ নিয়ে খুব সরল উত্তর দেয়া হয়- বিজয়ের পর ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের ফেলে যাওয়া অস্ত্রসস্ত্র সব লুট করে নিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু জলিল এর জোড়ালো প্রতিবাদ করে, এর ফলেই ভারতীয় বাহিনী ক্ষুব্দ হয়। কিন্তু উত্তরটা কি আসলেই এত সরল? এটি একটি কারন কিন্তু একমাত্র কারন হয়ত নয়। ভারতীয় বাহিনী ক্ষুব্ধ হলেও কিন্তু কেন একজন সেক্টর কমান্ডার মেজর মঞ্জুর যে নিজেও চরম বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছে, আরেকজন সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিলকে গ্রেফতারে নেতৃত্ব দিবে! ভারতীয় বাহিনীর লুটতরাজ এর প্রতিবাদ করলে তো মেজর মঞ্জুর ও জেনারেল ওসমানীর খুশি থাকার কথা! তা না হয়ে গ্রেফতার!

আবার কেন একজন সেক্টর কমান্ডার হয়েও কোন খেতাব পেলেন না মেজর জলিল? যেখানে অন্যসকল সেক্টর কমান্ডার বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন। কতজন বীরবিক্রম, বীরপ্রতীক হয়েছেন। দু একজন তো যুদ্ধ না করেও পেয়েছেন। খুলনা স্বাধীন হল ১৭ ডিসেম্বর, ভারতীয় বাহিনীর লুটপাটের কথা আসলে সেটা ১৭ ডিসেম্বরের পরেই হওয়ার কথা। কিন্তু এর আগের কিছু ঘটনা আমাদের ব্যাপারটিতে অন্য ইঙ্গিতও দেয়। পুরোপুরি সফলতার পরিচয় দেয়ার পরও কেন জয়নাল আবেদিন নামে অন্য একজন মেজরকে যুদ্ধের শেষ প্রান্তে ৯ নং সেক্টরে নিয়ে এসে মেজর জলিলেল সাথে সেকটরের কাজ ভাগাভাগি করতে বলা হল? পরে মেজর জলিলকে সরিয়ে এই মেজর জয়নাল আবেদিনকে ৯নং সেক্টরের অধিনায়ক করা হয়। কেন ৮ নং সেক্টরের অধিনায়ক মেজর মঞ্জুর কে ৮ নং সেকটরের পাশাপাশি ৯ নং সেক্টরের দায়িত্ব দেয়া হয়।
-আগামী পর্বে শেষ হবে

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT