কুশিয়ারায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ পৌঁছেনি
মৌলভীবাজারের কুশিয়ারা নদীতে আবারও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, কুশিয়ারা নদীর শেরপুর সেতু পয়েন্টে পানির বিপদসীমা মূলতঃ ৮.৫৫ সে:মি:। ভারতের পাহাড়ী ঢল ও গেল কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে বিপদসীমা অতিক্রম করে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ২৪ সে:মি: পৌঁছেছে। এদিকে মৌলভীবাজার শহর দিয়ে ঘেঁষে যাওয়া মনূ নদে গেল ৩ দিন ধরে পানি বৃদ্ধি পেলেও শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে কমে গিয়ে বিপসীমায় এসে দাড়িয়েছে। মনূ নদ শহরের চাঁদনীঘাট সেতুতে বর্তমানে পানির উচ্চতা ১১.৩০ সেমি:।
এদিকে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কুশিয়ারা নদী পাড়ে গেলে দেখা যায়, তীরের মানুষের সবার ঘরে ঘরে হাঁটুসমান পানি উঠেছে। বসতির মায়ায় পড়ে এসব পানি বন্দি মানুষ ঘরের খাটের উপর বসে সময় পাড় করছেন। গবাদি পশুগুলো পাশের ওয়াপদা সড়কে নিয়ে রেখেছেন। নদী পাড়ের কিছু মানুষও ওয়াপদা বাঁধে বাস করছেন।
গ্রামের শাহাব উদ্দিন, আছকির মিয়া, ইলিয়াছ আহমদ(এলাইছ) আব্দুল্লাহ ও কাউছার আহমদ বলেন, কুশিয়ারা পাড়ের ওই আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ সামগ্রী বন্টন না করায় শতাধিক মানুষ না খেয়ে আছেন।
নদী পাড়ের উত্তরভাগ ইউনিয়নের সুনামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তারা জানান, মুড়ি আর চিড়া ছাড়া এখনো কিছুই পাওয়া যায়নি। তারা দ্রুত জেলা প্রশাসনসহ সরকারের তরফ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের দাবী জানান। উত্তরভাগ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য মাসুক মিয়া বলেন, সুনামপুর আশ্রয় কেন্দ্রে এখনো কেউ ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে আসেননি।
এদিকে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন, কুশিয়ারা পাড়ের উত্তরভাগ ও ফতেপুর ইউনিয়নে ১১ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রী বণ্ঠনের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, জরুরী একটি ফোন এসেছে, আপনাকে পড়ে ফোন দিচ্ছি।
এদিকে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী মোঃ জাবেদ ইকবাল বলেন, কুশিয়ারায় শুক্রবারও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদী পাড়ের ওয়াপধা বাঁধের ঝুকিপূর্ণ এলাকায় আমরা বস্তা রেখেছি, যাতে কাউয়াদিঘী হাওরে পানি প্রবেশ করতে না পারে। তিনি বলেন, মৌলভীবাজার শহর দিয়ে বয়ে যাওয়া মনূ নদের জুগীঢর এলাকার বাঁধ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় ৬ হাজার বালুর বস্তা ড্রাম্পিং করেছি। ওই প্রকৌশলী বলেন, মনূ নদে পানি কমে যাওয়ায় আতঙ্কও কমেছে।