1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
শীত আসতেই হাওরাঞ্চলে পাখী শিকারীরা জালের ফাঁদ বসাতে শুরু করেছে - মুক্তকথা
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন

শীত আসতেই হাওরাঞ্চলে পাখী শিকারীরা জালের ফাঁদ বসাতে শুরু করেছে

রাজন আহমদ॥
  • প্রকাশকাল : বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২
  • ১০১৯ পড়া হয়েছে

শীতের শুরুতেই মৌলভীবাজারে তৎপর হয়ে উঠেছেন শৌখিন ও পেশাদার পাখিশিকারিরা। শিকারিরা রাতের বেলা হাওর এবং হাওরসংলগ্ন জলাভূমিতে জালের ফাঁদ পেতে রাখছেন। এতে অন্ধকারে ওড়ার সময় পরিযায়ীসহ দেশীয় পাখি এসব জালের ফাঁদে আটকা পড়ছে। মারা পড়ছে বিপন্ন প্রজাতির অনেক পাখিও।

সদর উপজেলার কাউয়াদীঘি হাওরসংলগ্ন একাটুনা ইউনিয়নের বড়তল মাঠের দিশালোক, উত্তর মুলাইম, বরমান, কুইশার, একাটুনা এলাকার কয়েক কিলোমিটার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের নিচু এলাকায় কিছুটা দূরে দূরে পেতে রাখা আছে জালের অনেক ফাঁদ। জালগুলো শৌখিন ও পেশাদার পাখিশিকারিরা পেতে রেখেছেন। পরিযায়ী পাখি আসা শুরু হতেই তৎপর হয়ে উঠেছেন পাখিশিকারিরা। এসব জালে পরিযায়ীসহ দেশীয় পাখি অন্ধকারে ওড়ার সময় আটকা পড়ে। সে সময়ে চারদিক ঘুরে অন্তত ১০টি ছোট–বড় জাল দেখা গেছে। দূর থেকে দু–একটি জালে ফিঙের মতো কালো রঙের পাখি ঝুলে থাকতে দেখা যায়।

এদিকে উত্তর মুলাইমের দিক থেকে মাঠের দিকে যেতে চাইলে একটি নিচু জমি থেকে একঝাঁক শামুকখোল উড়াল দেয়। সেগুলোর কাছেই পাতা ওই জালের ফাঁদ। এই এলাকায় রাতের বেলা ২০–২৫টি জাল পাতা হয়ে থাকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক কৃষক ওই জাল পাতা সম্পর্কে বলেন, বোরো ধানের হালি চারা তৈরি করা হচ্ছে। পাখি এসে বীজতলা নষ্ট করে ফেলে, এ জন্য জাল পেতে রাখা হয়েছে। জাল দেখে ভয়ে আর পাখি আসে না। তবে জালগুলো মাঠের এতটা গভীর অংশে যে সেখানে হালিচারা তৈরির কোনো আলামত চোখে পড়েনি।

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বড়তল মাঠে শিকারির পাতা জাল। ছবি: রাজন

পরিবেশকর্মী ও কবি জাবেদ ভূঁইয়া এই প্রতিনিধিকে বলেন, ‘এই এলাকায় আমি নানা ধরনের পাখি দেখেছি। নাম জানি না, এ রকম অনেক ধরনের পাখি আছে। এভাবে জালের ফাঁদে শুধু পরিযায়ী পাখিই নয়। ফিঙে, প্যাঁচা, বকসহ স্থানীয় অনেক পাখি আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে। শীতের শুরুতেই মানুষের মধ্যে পাখি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে প্রচারণামূলক বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া দরকার।’

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শীতের শুরুতেই মৌলভীবাজারের হাকালুকি, কাউয়াদীঘি ও হাইল হাওরের বাইক্কা বিলসহ ছোট ছোট হাওর-বাঁওড়, বিল-ঝিলে পরিযায়ী পাখি আসা শুরু হয়। সাইবেরিয়াসহ শীতপ্রধান অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে তুলনামূলক উষ্ণ অঞ্চলে খাদ্যের খোঁজে এসব পাখি আসে। বিভিন্ন জাতের হাঁসসহ অনেক ধরনের পাখির কলকাকলিতে সরব হয়ে ওঠে হাওরের বুক। সারা দিন বিলে বিলে পাখির ওড়াউড়ি চলে। পাখির এই আগমন শুরু হলেই তৎপর হয়ে ওঠেন শৌখিন ও পেশাদার পাখিশিকারিরা। শুরু হয় হাওরসংলগ্ন জলাভূমিতে জালের ফাঁদ পেতে ও বিষটোপ দিয়ে পাখি শিকার। এরই মধ্যে হাইল হাওরের বাইক্কা বিল ও বাইক্কা বিলসংলগ্ন এলাকা, কাউয়াদীঘি ও হাকালুকি হাওরের বিভিন্ন পাশে পাখিশিকারিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বন্য প্রাণী(সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী পরিযায়ীসহ কোনো পাখি হত্যা করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হবে। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটালে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘শীত শুরু হচ্ছে। পাখিশিকারিরা তৎপর হয়ে উঠছেন। আমরা এটা টের পাচ্ছি। এরই মধ্যে রাত জেগে বাইক্কা বিলে পাখিশিকারিকে ধরেছি। সাজাও হয়েছে। জাল উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে।’

 

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT