1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন খ্যাতিমান কূটনীতিক সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী - মুক্তকথা
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জামাতের ইফতার, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস প্রচার, ভিজিএফ’এর চাল ও হরিণাকান্দি বিএনপি ইফতার শাপলা চত্বরে গণহত্যা মামলায় হাসিনাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি মণিপুরী ললিতকলায় যখন প্রশিক্ষণ শুরু তখন ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ ১৬বছরে পা দিয়েছে ১২৭ কর্মকর্তার সাথে আলাপে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা গেলো সপ্তাহের বড়লেখা, কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আইএস বধু শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার গেলো সপ্তাহের শ্রীমঙ্গল, মৌলবীবাজার ও কমলগঞ্জ বিপজ্জনক অভিযোগ ! উৎসব বোনাস সকল চা-বাগানে প্রদান করা হচ্ছে না কতিপয় বন্ধু মিলে যখন ইফতার আয়োজন করে শ্রীমঙ্গল বিএনপি-ও সম্পন্ন করে ইফতার খাওয়ানো ধর্ষকশাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ॥ ‘বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে’

শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন খ্যাতিমান কূটনীতিক সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ৪৯৫ পড়া হয়েছে

মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। বাংলাদেশ অপূরনীয় একজন খাঁটী দেশপ্রেমিক কূটনীতিককে হারালো। গতকাল ৩০ ডিসেম্বর বেলা সকাল ১১:৫৫মিনিটে ভারতে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। তিনি ঢাকার সমন্বিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি বয়স জনিত কিছু সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫বছর।

কূটনীতিক

প্রয়াত কূটনীতিক সৈয়দ মুয়াজ্জম আলী

সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ১৯৪৪ সালের ১৮ জুলাই বর্তমান সিলেটে জন্মগ্রহন করেন। তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। তিনি ১৯৬৮সালে পাকিস্তান বিদেশ মন্ত্রনালয়ে যোগ দিয়েছিলেন এবং ২০০১ সালের ডিসেম্বরে অবসরে যান। ১৯৭১সালে ওয়াশিংটনের পাকিস্তান হাইকমিশনে কাজ করাকালীন সময় তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে স্থান নেন এবং অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে পাকিস্তানীপক্ষ ত্যাগ করেন। তারপর শুরু হয় তার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের পথচলা। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আমেরিকাসহ দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের সমর্থন আদায়ের কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন গভীর আন্তরিকতায়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি, স্বাধীন বাংলাদেশকে আমেরিকার স্বীকৃতিদান এবং যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পূণর্গঠনে আমেরিকা, জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাঙ্কের অংশগ্রহনের বিষয়ে সরাসরি যোগাযোগের কাজ শুরু করেন।

কূটনীতিক

বাবা, মা ও ছোট চাচা সুসাহিত্যিক মুজতবা আলীর সাথে যুবক সৈয়দ মুয়াজ্জম আলী। মৌলভীবাজারের বাড়ীতে এ ছবি তোলা।

শুধু তাই নয়, প্রয়াত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী চাকুরীর প্রথমদিকে ওয়ারশো ও নয়াদিল্লী হাইকমিশনেও কাজ করেন। তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনেও কাজ করেছেন। তিনি সৌদি আরবের জেদ্দায় ‘গাল্ফ যুদ্ধ’-এর সময় কন্সাল জেনারেল হিসেবে কাজ করেন। এর পর ভূটান, ইরাণ, সিরিয়া, লেবানন, তুর্কেমেনিস্তান, ফ্রান্স ও পর্তুগালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেন।
প্যারিসে রাষ্ট্রদূত থাকাকালীন সময়ে তিনি ইউনেস্কোয় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন। এসময়ই তিনি ২১শে ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি খসড়া প্রস্তাবনা তৈরী করেছিলেন। তার সেই প্রস্তাবনার পক্ষে জোড়ালো কর্মতৎপরতার ফলে ১৯৯৯সালে ইউনেস্কো বাংলাদেশের দাবীটি গ্রহন করে নেয়।

কূটনীতিক

স্ত্রী তোহফা জামান আলী ও পরিবারের অন্যান্যের সাথে প্রয়াত সৈয়দ মুয়াজ্জম আলী।

পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে কর্মকালীন সময়ে দক্ষিন এশিয়া অঞ্চল ও এর বাইরের এলাকার বিভিন্নমুখী বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করেন। এ সময় ইউরোপীয়ান ইউনিয়নে স্বল্পোন্নত দেশের রপ্তানী পণ্য বিনাশূল্কে কৌটামুক্তভাবে প্রবেশের আন্দোলনে তিনি সফল নেতৃত্ব দেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীবাহিনীতে অধিক সংখ্যক বাংলাদেশী সামরিক বাহিনীর লোকবল নেয়ার কাজে তিনি অভুতপূর্ব সফলতা অর্জন করেন।
বহুমূখী কূটনীতিতে বিশেষ অভিজ্ঞ কূটনীতিক হিসেবে বিশ্বব্যাংক উন্নয়ন ফোরাম, সার্ক, নাম, ওআইসি, ইউনেস্কো ও জাতিসংঘের বহু উচ্চ পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা, মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠক এবং বিভিন্ন শীর্ষ সম্মেলন বাংলাদেশকে তিনি সফলভাবে পরিচালিত করেন এবং দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
সৈয়দ আলী জন্ম নিয়েছিলেন বৃহৎ বাংলাদেশের খ্যাতনামা এক সাহিত্যসেবী পরিবারে। তার বাবা প্রয়াত সৈয়দ মুস্তফা আলী, মেঝো চাচা প্রয়াত সৈয়দ মর্তুজা আলী পাকিস্তানী স্বাধীনতার আগেই আসাম সিভিল সার্ভিসে যোগ দিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশের আমলে অবসরে যান। উপমহাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক প্রয়াত সৈয়দ মুজতবা আলী তার ছোট চাচা ছিলেন। তার আপন বড় ভাই প্রয়াত সৈয়দ মোহাম্মদ আলী ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ইংরেজী দৈনিক “দৈনিক ষ্টার” পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক আন্তর্জাতিক অঙ্গনের একজন খ্যাতীমান সাংবাদিক। তার স্ত্রী তোওফা জামান আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ শেষ করে নয়া দিল্লীর জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম ফিল সম্পন্ন করেন।
মৃত্যুকালে জনাব আলী স্ত্রী, ২ ছেলে, নাতি-নাতনী ও এক ভাইসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন।
প্রয়াত আলীর শ্বশুর চৌধুরী ইমামুজ্জামান ছিলেন সেই বৃটিশ শাসনামলের একজন খ্যাতিমান প্রকৌশলী যার কর্ম কীর্তি বর্তমান সিলেটের “কীনব্রীজ” ও বাংলাদেশ-ভারতের সিলেট সীমান্তে অবস্থিত ডাউকি ঝুলন্ত সেতু।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT