1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
সভ্যতার প্রতিক আইফেল টাওয়ার - মুক্তকথা
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০১:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শাপলা চত্বরে গণহত্যা মামলায় হাসিনাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি মণিপুরী ললিতকলায় যখন প্রশিক্ষণ শুরু তখন ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ ১৬বছরে পা দিয়েছে ১২৭ কর্মকর্তার সাথে আলাপে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা গেলো সপ্তাহের বড়লেখা, কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আইএস বধু শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার গেলো সপ্তাহের শ্রীমঙ্গল, মৌলবীবাজার ও কমলগঞ্জ বিপজ্জনক অভিযোগ ! উৎসব বোনাস সকল চা-বাগানে প্রদান করা হচ্ছে না কতিপয় বন্ধু মিলে যখন ইফতার আয়োজন করে শ্রীমঙ্গল বিএনপি-ও সম্পন্ন করে ইফতার খাওয়ানো ধর্ষকশাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ॥ ‘বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে’ যন্ত্র আছে কিন্তু কারিগর নেই। এরই নাম রাজনগর হাসপাতাল

সভ্যতার প্রতিক আইফেল টাওয়ার

সৈয়দ মুন্তাছির রিমন
  • প্রকাশকাল : রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০২১
  • ৭০৪ পড়া হয়েছে

ফ্রান্সের ‘প্যারিস’- নামটি শুনলেই মাথায় আসে আইফেল টাওয়ারের প্রাণময়ী আবেদন। যে আবেদন সভ্যতার কথা বলে, অধিকার আর ভ্রাতৃত্বের জন্ম দেয়। এই জন্ম ধারায় সকল বৈষম্যের ভেদাভেদ ভেঙ্গে শান্তির আহবান করে। এই শহর শুধু আইফেল টাওয়ারের জন্যই নয়, রোমান্টিক জায়গা গুলোর মধ্যে অন্যতম। সৌন্দর্য পিপাসার্ত মানুষের কাছে স্বর্গতুল্য। ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির পুণ্যভূমি প্যারিস সভ্যতার জানালা।

তাই আইফেল টাওয়ারের ইতিবৃত্ত জানা প্রয়োজন। গুস্তাভো আইফেলের নির্মিত ৩০০ মিটার উচ্চতার এই টাওয়ার। আইফেল, রেলের জন্য সেতু ডিজাইন করতেন, টাওয়ারটি নির্মাণে তিনি সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ছিলেন। তার নামানুসারেই টাওয়ারের নাম রাখা হয়েছিল ‘আইফেল টাওয়ার’। ১৮ হাজার ৩৮টি লোহার বিভিন্ন আকৃতির ছোট ছোট কাঠামো জোড়া লাগিয়ে এই টাওয়ার তৈরি করতে ৩০০ কর্মীর প্রয়োজন হয়েছিল।

১৮৮৯ সালের ৩১ মার্চে মাত্র দুই বছর, দুই মাস, দুই দিনে টাওয়ারটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিল। এতো উঁচু আর এমন আকৃতির টাওয়ার বানাতে কিন্তু খুবই কম শ্রম ব্যয় করা হয়েছে। এই টাওয়ারের নির্মাণ কাজটি পূর্তবিদ্যা (Civil Engineering) ও স্থাপত্যশিল্পের ক্ষেত্রে এক বিপ্লবের সূচনা করেছিল। ১৯০৯ সালে এর চূড়ায় বসানো হয় একটি বেতার এন্টেনা। এতে তার উচ্চতা আরো ২০.৭৫ মিটার (৬৬ ফুট) বেড়ে যায়। সেই থেকে আইফেল টাওয়ারকে বেতার তরঙ্গ প্রেরণের (Radio Transmision) জন্যও ব্যবহার করা হচ্ছে। পরে আইফেল টাওয়ারে একটি টিভি এন্টেনাও সংযোজন করা হয়েছে। প্যারিসের আইফেল টাওয়ার ইতোমধ্যে পার করল ১০০ বছরের উপরে পার করেছে। এ টাওয়ার তৈরির সময় তেমন দৃষ্টি কাটতে পারেনি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। শুরুতে এটি যেন একটি ধাতব বস্তুর চেয়ে খুব বেশি কিছু ছিল না। ১৮৮৭ সালের ২৬ জানুয়ারি আইফেল টাওয়ার চালু হয়। কাল প্রবাহে এ আইফেল টাওয়ার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস নগরীর বিশেষ মর্যাদা এনে দেয়। এ টাওয়ার বিশ্ববাসীর কাছে অন্যতম আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

টাওয়ার চালু হওয়ার পর শহরের মানুষ বিরক্ত হয়ে বলেছিলেন, প্যারিসের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেল। এমনকি কমিটি গড়ে রীতিমতো আইফেল টাওয়ার হটাও আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে ‘আইফেল টাওয়ার” সভ্যতা, মানবতা ও গণতন্ত্রের প্রতিক হয়ে উঠেছে।
লেখকঃ সাংবাদিক ও কলামিস্ট। প্যারিস-ফ্রান্স।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT