প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ১৭০ টাকা মজুরি নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে অধিকাংশ বাগানের চা শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় কিছু কিছু বাগানের শ্রমিকরা কাজে যাননি। শ্রীমঙ্গল শহরে শ্রমিকদের আনন্দ মিছিলপ্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ১৭০ টাকা মজুরি নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে শ্রীমঙ্গল শহরে আনন্দ মিছিল করেছেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকগন। আনন্দ মিছিলে শত শত চা-শ্রমিক নারী-পুরুষ অংশ গ্রহণ করে। আনন্দ মিছিলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের বালিশিরা ভ্যালীর সভাপতি বিজয় হাজরা, ভাড়াউড়া পঞ্চায়াত সভাপতি নূর মোহাম্মদসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
![]() |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভাড়াউড়া চা-বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মজুরি নিধারণ করায় চা শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বাগানে পাঠিয়েছি। তাঁরা বাগানে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিক বাঁচাও, মালিক বাঁচাও এবং বাগান বাঁচাও সর্বদিক বিচার বিশ্লেষণ করে যে মজুরি ১৭০ নিধারণ করেছেন সেটাতে আমরা খুশি। আমরা ফিনলে বাগানের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। চা-বাগান শ্রমিক ময়না হাজরা বলেন, আজ অনেক আনন্দ লাগছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী হাজিরা ১৭০টাকা করেছেন। এতদিন ঘরে বসে ছিলাম। এক বেলা খাইছি, আরেক বেলা খাইতে পারছি না। এখন তিন বেলা খাইতে পারব। একই কথা জানালেন, মঞ্জু হাজরা, বিদ্যাবতী হাজরা। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, ‘মালিকপক্ষের সাথে প্রধানমন্ত্রীর আড়াই থেকে তিনঘন্টা আলোচনা হয়েছে। তিনি চা শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা নিধারণ করেছেন। এতে তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন তাদের শেষ ভরসা উল্লেখ করে মিঃ হাজরা বলেন চা-শ্রমিকরা প্রধানমস্ত্রীর সিদ্ধান্ত সব সময় মেনেছেন এবং ভবিষৎতেও মানবেন। |