মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া ১.২ বিলিয়ন ফোঁটা(ডোজেস) কোভিড-১৯ টিকার প্রায় ৩ভাগ পেয়ে যাবার জোগাড় হয়েছে। করোনা ভাইরাসের টিকা অন্য কথায় ঔষুধের অনুপস্থিতিতে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় শক্তি আমেরিকা তাদের অর্থনৈতিক কর্মচাঞ্চল্য আগের মত সচল রাখতে দীর্ঘ সময় ধরে হামাগুড়ি দিয়ে চলছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবীর প্রেক্ষিতে আমেরিকার স্বাস্থ্য বিভাগ রাজী হয়েছে প্রায় ১.২ বিলিয়ন ফোঁটা(ডোজেস) “অস্ট্রা জেনেকা”র তৈরী কোভিড-১৯ টিকার উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যেতে। চুক্তি মোতাবেক বৃটিশ কোম্পানী “অস্ট্রা জেনেকা”কে ৩০০মিলিয়ন ফোঁটা টিকা ঔষধ আমেরিকাকে দিতে হবে। সংবাদ সংস্থা রয়টারের এ খবর প্রকাশ করেছে এবিএস-সিবিএন নিউজ।
বৃটিশ কোম্পানী “অস্ট্রা জেনেকা”র সাথে আমেরিকার এ চুক্তিকে আগামী ২০২১সালের মধ্যে কর্য্যকর, নিরাপদ ও ব্যাপকভাবে প্রাপ্য মরণব্যাধি করোণা’র টিকা আবিষ্কারের পথে একটি ‘পাথর ফলক’ বলে মন্তব্য করেছেন খোদ আমেরিকার স্বাস্থ্য সচিব আলেক্স আযহার।
মাস দু’য়েক আগের ঘটনা। এই টিকা ঔষুধটি তৈরী করে বৃটেনের বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। বৃটিশ ‘ড্রাগ’ প্রস্তুতকারী কোম্পানী “অস্ট্রা জেনেকা” এর লাইসেন্স পায়। ইতিমধ্যেই কোম্পানীটি দুই দফা টিকাটির “ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল” সম্পন্ন করে। আমেরিকার এ চুক্তির ফলে এই টিকার ৩য় দফায় আমেরিকায় ৩০ হাজার মানুষের উপর “ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল” হবে।
বৃটেনের ক্যামব্রীজ শহরে অবস্থিত বৃটিশ ড্রাগ প্রস্তুতকারক কোম্পানী “অস্ট্রা জেনেকা”র মুখপাত্র বলেছে, ১বিলিয়ন ফোঁটা টিকা তৈরীর ক্ষমতার অধিকারী তারা হয়েছেন এবং সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রায় ৪০০মিলিয়ন ফোঁটা টিকা সরবরাহ করতে হবে বলে চুক্তি হয়েছে।
জানা গেছে এই ৪০০মিলিয়নের ৩০০ মিলিয়নই যাবে আমেরিকায়। বাকী ১০০মিলিয়ন পাবে বৃটেন।
দুনিয়াব্যাপী বিভিন্ন দেশ মরণব্যাধি করোণার প্রতিশেধক কোন টীকার অবর্তমানে অন্ততঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইতিহাসের সবচেয়ে ক্ষতিকর অর্থনৈতিক ধ্বংসের হিসেব গুণছে। বহুদেশ করোণায় কাতরাচ্ছে।
গত মাসে এই টীকার প্রথম ও দ্বিতীয় দফার “ক্লিনিকেল ট্রায়াল” হয়েছিল। ১৮ থেকে ৫৫বছর বয়সী ১০০০ সবল দেহী স্বেচ্ছাসেবীর উপর এই পরীক্ষা দেখা হয়েছিল। যার ফলাফল শীঘ্রই পাওয়া যাবার কথা। অনুমিত হচ্ছে যে টীকা পাওয়ার আগ পর্যন্ত বৃটেনের মানুষের গৃহবন্ধী অবস্থার অবসান হবে না। এবং তা আসন্ন সেপ্টেম্বরের আগ পর্যন্ত নয়। সূত্র: এবিএস-সিবিএন নিউজ।
মধ্যপ্রাচ্যে সাদ্দাম হোসেনের সাথে যুদ্ধের পর দ্বিতীয় বুশের আমলে বুশই আমেরিকাকে একক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। অবশ্যই এটি ছিল স্বঘোষিত একটি দাবী। তার সে দাবী বাস্তবে কতটুকু ঠিক ছিল করোনা ভাইরাস প্রমাণ করে দিয়েছে। সবই কাগুজে বাঘ!