সান্ধ্য আইন শিথিল
দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে
মঙ্গলবার(২৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকার গুলশানে নিজের কার্যালয়ে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকের এক প্রশ্ন জবাবে সারসংক্ষেপে বলেন, মানুষের জীবনে যখন স্বস্তি আসলেই কারফিউ প্রত্যাহার করা হবে।
তিনি বলেন আমরা সমস্যার সমাধান করে দিয়েছি। আমাদের বিশ্বাস, নতুন করে আর কোনো সমস্যা তৈরি হবে না এবং পরিস্থিতির অবনতিও হবে না। কোনো ভাবে যদি কেউ পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ সংক্ষেপে উপস্থিত তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ. আরাফাত বলেন, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ভেতরে আক্রমণকারী সন্ত্রাসী জঙ্গি-জামায়াত শিবির ঢুকে তারা আক্রমণ করেছে। সরকার এবং সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল আক্রান্ত। বিএনপি-জামায়াত এবং শিবিরের সন্ত্রাসীরা ঢুকে আক্রমণ করেছে। বিটিভি, সেতুভবন, ডেটা সেন্টার, টোলপ্লাজা আক্রান্ত ছিল। তারা পুলিশকে আক্রমণ করেছে। আক্রান্ত যখন আপনি হবেন তখন আত্মরক্ষার্থে রুখে দাঁড়াতে হয়। হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তার জন্য আক্রমণকারীরা দায়ী। প্রতিটি হতাহতের ঘটনার জন্য আমরা নিন্দা জানাই, দুঃখপ্রকাশ করি এবং সে যেই হোক বিচার করে প্রত্যেককে সাজার আওতায় আনা হবে।
এদিকে, দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। চলমান কারফিউ আরও শিথিল করেছে সরকার। মহাসড়কগুলোয় যান চলাচল শুরু হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অফিস আজ বুধবার থেকে চার ঘণ্টার জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলোও আজ থেকে খুলবে। পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৯৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে খবর হয়েছে। ফলে গত শুক্রবার রাত থেকে কারফিউ জারি করে সরকার, যা এখনো বহাল আছে। টানা এ পাঁচদিনের অচলাবস্থা থাকার পর বুধবার সকাল থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সকাল থেকে কারফিউ শিথিল থাকায় অফিস-আদালত, ব্যাংক খুলেছে, সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের ভিড় বেড়েছে।