লণ্ডন।। বৃটিশ জাতীয় সংসদের নিরাপত্তা বিভাগে তলে তলে এখনও বর্ণবাদ কাজ করছে। এমন অভিযোগ এনেছেন দুই বাঙ্গালী সাংসদ। ইলিং সেন্ট্রেল এবং একটন থেকে পাশ করা সাংসদ রূপা হক সম্প্রতি ‘ওয়েস্টমিনস্টের হল’এ তার সাথী সহযোগীদের বলেছেন, ২০১৫ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর এই হলের নিরাপত্তা রক্ষীরা তাকে কতবার যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য দাড়িয়ে রেখেছে তা বেহিসেব। লণ্ডনের অনেক নামী বিনামূল্যের ইংরাজী পত্রিকা ‘ইভিনিং ষ্ট্যাণ্ডার্ড’এর ‘লণ্ডনার’ পাতার কাছে তিনি বলেছেন, তাকে জনৈক “স্টিভ পাউণ্ড” মনে করে সংসদ আঙ্গিনার মধ্যেই নিরাপত্তাকর্মী দ্বারা জিজ্ঞাসাবাদ বিষয়টি তার দৈনন্দিন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই স্টিভ পাউণ্ড তার সাংসদীয় একজন প্রতিবেশী। সেও কখনও এর প্রতিবাদ করেনি।
তিনি বলেন, আমাদের চামড়ার রংএর জন্যই আমাদের সাথে এমন ব্যবহার করা হয়। এ নিয়ে দায়ীত্বরত কর্তৃপক্ষকে মোকাবেলা করতে গিয়ে তিনি অবশেষে নালিশের সন্মুখীন হন। সংসদের ‘সার্জেন্ট ইন আর্মস’এর অফিস থেকে তার বিরুদ্ধে এ নালিশ করা হয়।
হক আরও বলেন, কালো এবং সংখ্যালঘু সাংসদদের বিভিন্ন নমুনায় এমন আচরণের মুখোমুখী প্রায়ই হতে হয়।
তার সহযোগী হ্যাম্পষ্টিড-কিলবার্ণ এলাকা থেকে নির্বাচিত শ্রমিক দলীয় সাংসদ টিউলিপ সিদ্দিকী সাংসদ হকের এ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাকেও না-কি দাঁড় করিয়ে অনুমতি পত্রের জন্য এভাবে অহেতুক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কখনও কখনও তাকে বলা হয় যে এই এলাকা সাংসদদের জন্য। এ ছাড়া তাদের দু’জনকেও উল্টা-পাল্টা নামে অভিহিত করা হয়। যদিও তারা দু’জন কোনভাবেই দেখতে একরকম না। তাদের চেহারায় অনেক তফাৎ।
টিউলিপ সিদ্দিক ‘লণ্ডনার’কে আরো বলেন, এই সেদিনও এক বিতর্ক সভায় বিবিসি আমাকে রূপা হক বলে ভ্রম করে। ছায়ামন্ত্রী সভার একজন নামজাদা ‘কেবিনেট’ মন্ত্রী আমার একটি প্রশ্নের জন্য আমাকে অভিনন্দন জানান অথচ এ প্রশ্নটি করেছিলেন রূপা হক।
এমন অনিষ্টকর কুসংস্কারাচ্ছন্ন পক্ষপাতদুষ্টতা শুধুই যে সংসদের আঙ্গিনায় হচ্ছে তা নয়। এর বাইরেও আছে। একদিন টিউলিপ একটি কেব গাড়ীতে চড়লে চালক তাকে বলে, ইদানিং সব সাংসদেরই কি এমনতরো ব্যক্তিগত সহযোগী দেয়া হয়।