মুক্তকথা সংগ্রহ।। সিলেটের কথ্য ভাষায় ‘বড়িচা'(বড় ইচা বা চিংড়ি)। পুস্তকি বাংলায় গলদা চিংড়ি। ইংরেজীতে বলে ‘লব স্টার’। অর্থবান ধনীদের খাবার পাতে মুখরোচক খাবার হিসেবে সুনাম সে কত শত কিংবা হাজার বছরের বলা কঠিন। এ ধরনের কোন গবেষণা আদৌ আছে কি-না জানা নেই। শুধু যে ধনবানদের কাছেই আদরের তেমনটি নয়। দুনিয়ার সকল ভোজনরসিকদের কাছেই তার সমাদর সমান সমান। বিত্তহীন গরীবমানুষের পাতে পড়ার সুযোগই থাকে কম। যদি কোনভাবে পাওয়া যায় তা’হলে সে তো ইদ-পূঁজোর খুশীর মত বিষয় হয়ে দাড়ায়। মনে উৎসবের আমেজ তৈরী করে।
খাবার পাতের সুস্বাদু সে গলদা চিংড়ি দুনিয়ার বহু মানুষের কাছে অমর প্রানী। তবে গবেষকদের কাছে অমর না হলেও অস্বাভাবিক লম্বা জীবনের অধিকারী। শত বছর বেঁচে থাকা, গলদা চিংড়ির জন্য খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। বিশেষ করে আটলান্টিক সাগরের গলদা চিংড়ি, অনেক গবেষকের মতে দু’শ বছরও বেঁচে থাকে। অনেক গবেষকের মতে বয়সের কারণে আটলান্টিক সাগরের গলদা চিংড়ি গায়ে-গতরে তেমন মোটা না হলেও শরীরের রং বদলে গিয়ে নীল হয়ে যায়। কিছু মৎস্য শিকারীর মতে দীর্ঘায়ূর ওইসব গলদা চিংড়ির গায়ের নীল রং জন্ম থেকেই। বয়স বেড়ে গিয়ে গায়ের রং নীল হয়ে যায় এ কথা সঠিক নয়।
বিভিন্ন তথ্য ঘেঁটে যতটুকু জানা যায়, তাতে দু’টো বিষয় লক্ষ্যনীয়। যারা বলেন, গলদা চিংড়ী অমর। কখনও মরে না; তাদের মতে, এ জাতীয় চিংড়ির শরীর হীমশীতল পানিতে থাকার কারণে ওইসব জীব দেহের রাসায়নিক রূপান্তর ঘটে। খোলস বদলিয়ে নবরূপে বা আঙ্গিকে আবির্ভুত হয়। শরীরের খোলস বদলিয়ে নির্মোচন করে একই শরীরে নবজন্মের সূচনা করে। এটি তাদের জন্য প্রকৃতির দান। প্রাণী জগতে তারাই অমর। অন্য মত গলদা চিংড়ি দীর্ঘায়ূ হয়। দু’শ বছরের মত বয়সের চিংড়িও পাওয়া গেছে। তবে ওই প্রজাতীয় চিংড়ির বয়স নির্ধারণ খুবই কঠিণ কারণ তাদের খোলস বদলানো প্রক্রিয়া। -‘…While rumors abound that lobsters could well be immortal, it’s difficult to determine their actual age, because they constantly molt.’
আটলান্টিকের গলদা চিংড়ি। ছবি: ইন্টারনেট
সংগ্রহ ও নিবন্ধন: হারুনূর রশীদ |
|