মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগতির গাড়ির ধাক্কায় বিপন্ন প্রাণী মুখপোড়া হনুমান গুরুতর আহত হয়। গেলো বৃহস্পতিবার(১ মে) সকাল ৭টার দিকে চিকিৎসায় থাকা অবস্থায় বানরের মৃত্যু হয়। শ্রীমঙ্গল প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে ময়না তদন্ত করার পর লাউয়াছড়ার জাতীয় উদ্যানের জানকিছড়ায় মাটিচাপা দেওয়া হবে। গত বুধবার বিকেলে উপজেলার কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের লাউয়াছড়া ‘স্টুডেন্ট ডরমিটরি’ এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, গত বুধবার বিকেলে লাউয়াছড়া স্টুডেন্ট ডরমিটরির সামনে কয়েকটি গাছে মুখপোড়া হনুমান লাফালাফি করছিল। এ সময় একটি মুখপোড়া হনুমান গাছ থেকে নেমে রাস্তা পার হচ্ছিল। হঠাৎ দ্রুতগতির একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা এসে হনুমানটিকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। এ সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন কমলগঞ্জ জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহাদ মিয়া। তিনিসহ স্থানীয়রা হনুমানটিকে উদ্ধার করে পাশের ‘হীড বাংলাদেশ’ নামক স্থানীয় একটি চিকিৎসালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বনপ্রাণী রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে যান। সেখানে প্রাণীটির চিকিৎসা চলে।
বৃহস্পতিবার সকালে বিপন্ন প্রাণী মুখপোড়া হনুমানটি মৃত্যু হয় বলে জানান মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম। আহাদ মিয়া বলেন, এ সড়কে যানবাহন ধীরে চালানোর নিয়ম থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা মানা হয় না। ফলে প্রায়ই গাড়ির চাপায় মারা যায় হরিণ, বানর, সাপ। মুখপোড়া হনুমানটি মাথায় আঘাত বেশি হওয়ায় তাকে বাচানো সম্ভব হয়নি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পরও তাকে সুস্থ করা যায়নি।
মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, গত বুধবার একটি সিএনজি মুখপোড়া হনুমানটিকে আঘাত করলে দ্রুত প্রাণীটিকে লাউয়াছড়া রেসকিউ সেন্টারে রেখে তিনি চিকিৎসা চালান। কিন্তু বৃহস্পতিবার ৭টার দিকে প্রাণীটি মারা যায়। জানা গেছে ময়নাতদন্ত শেষে তাকে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।