1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
ইউরোপীয়ান অনেক রাজনীতিক মিথ্যা বলেন এমনটি ভাবতে খুব দুঃখ হয়! - মুক্তকথা
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন

ইউরোপীয়ান অনেক রাজনীতিক মিথ্যা বলেন এমনটি ভাবতে খুব দুঃখ হয়!

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
  • ৮৪২ পড়া হয়েছে
মালমো

হারুনূর রশীদ।। সুইডেনের মালমো শহর এখন আন্তর্জাতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। গত সপ্তাহে ফ্লোরিডায় এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি বক্তব্যকে নিয়েই এই বিতর্কের সৃষ্টি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গেল শনিবার এক বক্তৃতায় অপরাধ ও শ্মরণার্থী বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সুইডেনের মালমো শহরের কথা উল্লেখ করেন। অথচ তার কথিত সময়ে ওই মালমো শহরে কিছুই ঘটেছিল এমন পাওয়া যায়নি।

বিবিসি এ নিয়ে খুঁজ-খবর নিতে মাঠে নামে। খুঁজতে গিয়ে বিবিসি পেয়েছে যে, বিশিষ্ট রাজনীতিক ও ইউরোপীয়ান সংসদের সদস্য নাইজেল ফেরেজ গত ২০শে ফেব্রুয়ারী এলবিসি বেতারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই মন্তব্যের উপর আলাপ করতে গিয়ে বলেছেন সুইডেনের মালমো মিউনিসিপালিটি ইউরোপের ধর্ষণ রাজধানী হয়ে উঠেছে। তার এ দাবীর উদ্দেশ্য খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেল তিনি বলেছেন যে, সুইডেন ইদানিং খুববেশী করে যুবক বয়সের শ্মরণার্থী নিয়েছে এবং মালমো শহরে এদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে যার ফলে মালমো শহরে ধর্ষণ মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছে।
সম্ভবতঃ ফেরেজ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্যকে আমলে নিয়েই এলবিসি তে এমন কথা বলেছেন। আর তাই এই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
অনেক তথ্য তালাশের পর বিবিসি মালমো শহরের আসল চেহারা তুলে নিয়ে এসেছে। মালমো শহরে এ পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ধর্ষণের ঘটনার পরিমাণ নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়নি। আসলে এই শ্মরণার্থী গ্রহনের অনেক আগে ২০১০ সালে ধর্ষণের ঘটনা মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল যা এখন ব্যাপক শ্মরণার্থী নেয়ার পরও সহনশীল মাত্রায় রয়েছে।

অথচ ফেরেজ বলেছেন, ওখানে বিপুল পরিমাণ শ্মরণার্থী নেয়ার পরও নির্দিষ্ট করে কোন সন্ত্রাসী আক্রমণ হয়নি ঠিকই তথাপিও যৌণ অপরাধ মালমো শহরে নাটকীয়ভাবে বেড়ে গিয়েছে

সুইডেন বিপুল পরিমাণ শ্মরণার্থী নিয়েছে এ কথাটি সূর্যের মত সত্য কিন্তু অপরাধ বিশেষ করে যৌণ অপরাধ কি বেড়েছে?এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে বিবিসি পেয়েছে, ২০১৫ সালে সুইডেনে শ্মরণার্থী অভিবাসনকারীদের আবেদনের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬২ হাজার যা সুইডেনের মোট জনসংখ্যার হিসেবে লাখে ১৬৬৭জন। এ সময়ের অভিবাসীদের একটি বিশাল সংখ্যায় যেমন ১,১৪,৪৭০ জনই ছিল পুরুষ। তার মধ্যে ৪৫,৭৯০ জনের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে।

এর পরেও, ইউরোস্টেট জরিপে দেখা গেছে ওই ২০১৫ সালে যৌণ অপরাধের পরিমান শতকরা ১১ভাগ থেকে ১২ভাগ কম ছিল। তা’হলে মিঃ নাইজেল ফেরেজ কি দিয়ে এমন মিথ্যা মন্তব্য করলেন, বুঝা মুষ্কিল!
লন্ডন: শুক্রবার, ১২ই ফাল্গুন ১৪২৩

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT