রাজা আগা মোহাম্মদ খাঁ ক্ষমতায় আসার পর ইরাণকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন
রাজা আগা মোহাম্মদ খাঁ ক্ষমতায় আসেন ১৭৮৯সালে কিন্তু রাজা হিসেবে তাকে রাজমুকুট পড়ানো হয় ৭বছর পরে ১৭৯৬সালে। ইতিহাস বলে, ১৭৬৯ সাল থেকে ১৭৯৪ সাল পর্যন্ত ইরাণের রাজা ছিলেন যান্দ গোত্রের লত্ফ আলী খান। এই লত্ফ আলী খানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসতে আগা মোহাম্মদ খানের এ সময় লেগেছিল।
ক্ষমতায় এসেই তিনি ইরাণের বহুধাবিভক্ত গোষ্ঠীগুলোকে এক করতে সক্ষম হন। সাধারণ মানুষের মাঝে ঐক্য গড়ে তোলা সকল যুগেই সবচেয়ে কঠিন কাজ। আর আগা মোহাম্মদ খাঁ সে কাজটি করেছিলেন খুবই দক্ষতার সাথে। এ ছিল তার রাজনৈতিক জীবনের আলোকিত সময় আর রাজা হওয়ার পথের সোপানের মত।
মানুষের জীবনে মানুষই ভুলকে অতিক্রম করে সফলতাকে ডেকে নিয়ে আসে এরপরও ভুল থেকে যায়। এই থেকে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক যা ঘটেছিল এই রাজা আগা মোহাম্মদ খাঁ কাজারের জীবনে। ক্ষমতায় এসেই তিনি তার দুই ভৃত্যের মৃত্যুদণ্ডের হুকুম দেন। তার মতে এ দুই ভৃত্যু অতিরিক্ত কোলাহলি, বেশী কথা বলে। আর এ কারণেই তাদের শাস্তি দেন মৃত্যুদণ্ড। নিজ ভৃত্যকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা একজন রাজার জন্য যেমন খুবই ছোট কাজ তেমনি হাস্যকরও বটে। আর আগা মোহাম্মদ খাঁ কাজার সেই হাস্যকর শাস্তির ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন। ভৃত্যদের মৃত্যুদণ্ডের সেই দিনগত রাতই স্বয়ং রাজার মৃত্যুকে ডেকে আনে।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়ার সে দিনটি ছিল ইরাণের মানুষের একটি পবিত্র দিন। আর তাই রাজা দণ্ডের হুকুম বহাল রেখে শুধু পবিত্র দিনের কারণে ভৃত্যদের পরের দিন দণ্ড কার্যকরের ঘোষণা দেন এবং ভৃত্য দু’জনকে তাদের আগের কাজে যাবার নির্দেশ দেন। ভৃত্য দু’জন তাদের কাজে চলে যায় এবং রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় রাজা আগা মোহাম্মদ খাঁ’কে হত্যা করে।
একটি বিষয়ে ইতিহাস খুব নিরব। অনেক খুঁজাখোঁজির পরও মৃত্যুদণ্ডের তারিখটি কোথায়ও পাওয়া যায়নি। ফলে কোন সে তারিখে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করা হয় তা জানা যায় নি।
|