1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
ঈদ-পশুহত্যা ও ধর্ম - মুক্তকথা
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন

ঈদ-পশুহত্যা ও ধর্ম

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : সোমবার, ১২ আগস্ট, ২০১৯
  • ৪১৪ পড়া হয়েছে

মুক্তকথা নিবন্ধ।। 

উৎসবে পশু হত্যা প্রায় সকল ধর্মেই কম-বেশী রয়েছে। যজ্ঞ আর কোরবানী দুটো ধর্মের এ দু’উৎসব পশুহত্যা ছাড়া কোনভাবেই সম্পন্ন হয় না। এক সময় ছিল যা আমাদের ছোটবেলায় দেখার সুযোগ হয়েছে খুব যত্নসহকারে নিজের ঘরের পোষা পশুকে কোরবানী করা হতো ঈদের সময়। আর মুসলমানদের ধর্মের নিয়মও এটাই। নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তুকে ত্যাগ করা বা কোরবান করা। 
এই পশু হত্যার প্রথা নবী ইব্রাহীমের সময় থেকে চলে আসছে। মুসলমান সকলেই জানার কথা যে, নবী ইব্রাহীম তার প্রথম পুত্র ইসমাইলকে তার স্রষ্টার নামে হত্যার পন থেকে ঘর থেকে কিছু দূরে একটি ছোট্ট পাহাড়ে নিয়ে যান। কোরবানীর ইতিহাসের সৃষ্টি সেখান থেকে। তারপর থেকে ইব্রাহিমের গোত্রের লোকজন তার অনুসরনে পশুবলি দিয়ে থাকে বছরের নির্দিষ্ট একটি দিনে।

বর্তমান বিশ্বের মুসলমানগন দাবী করেন তারা সকলেই নবী ইব্রাহিমের অনুসারী। শুধু মুসলমানগনই নহে। আধুনিক খৃষ্টান, ইহুদি তারাও ইব্রাহিমের অনুসারী বলে স্বীকার ও দাবী উভয়ই করে থাকেন। তাদের সকলের এ দাবী অমূলক নয় বরং ঐতিহাসিকভাবে সত্যও বটে। বিশ্বে প্রথমে ইহুদি ধর্মের আগমন হয়েছিল। এরপর হয় খৃষ্ট ধর্মের এবং তার পর হয় ইসলাম ধর্মের। সমসাময়িক সময়ে বিশ্বে আরো বহু ধর্মের উপস্থিতি ছিল এবং অনেক ধর্ম এখনও বর্তমান আছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় মহামতি গৌতমের বৌদ্ধ ধর্ম কিংবা হিন্দুদের পালিত সনাতম ধর্ম। শুধু মাত্র বৌদ্ধ ধর্ম ছাড়া বাকী সকল ধর্মেই উৎসবে পশু হত্যার বিধান রয়েছে এবং সুদীর্ঘকাল ধরে পালিত হয়ে আসছে। 
মুসলমানদের পশু কোরবানী নবী ইব্রাহিমকে অনুসরণ করে চলে আসছে। কিন্তু আসলেই কি মুসলমানগন নবী ইব্রাহিমকে অনুসরন করছেন না-কি তাদের ইচ্ছেমত করে চলছেন।
দেশে-বিদেশে মুসলমান সমাজে প্রচলিত প্রথার অনুসরণ দেখে বিশেষ করে বাঙ্গালী মুসলমানদের দ্বারা পশু কেটে মাংস ভক্ষনের নমুনা দেখে আদৌ মনে হয় না এ মুসলমানগন নবী ইব্রাহিমকে অনুসরণ করছেন। প্রথমতঃ ইব্রাহিম তার নিজের ছেলেকে কোরবানী দিতে নিয়েছিলেন পাহাড়ে। এবং তিনি বলেও গেছেন মহাপ্রভু “আল্লাহ” তাকে নির্দেশ দিয়েছেন নিজের সবচেয়ে প্রিয় জিনিষকে কোরবানীর মাধ্যমে ত্যাগ করতে। এ ত্যাগ স্রষ্টার উদ্দেশ্যে। এটি এতই প্রচলিত পুরোনো কথা যে নতুন করে বলতে গিয়ে আমার নিজের কাছেই মনে হচ্ছে পাঠকের সময় নষ্ট করছি। তার পরও বলতে হয়। কারণ এখনকার সময়ে আমরা যে পশু কেটে থাকি সে পশু কোনভাবেই আমাদের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু নয়। আমরা বাজার থেকে অত্যন্ত বেদনাদায়ক নমুনায় একটি পশুকে খরিদ করি এবং কেটে খাই। এই কাটায় ও খাওয়ায় ত্যাগের কোন চিহ্নই নেই। শুধুমাত্র ক্ষমতা ও নামধামের প্রতিযোগীতা। এ ছাড়াও রয়েছে পশুর প্রতি নির্দয় আচরণ। ব্যবসায়ীগন লাভের উদ্দেশ্যে বহুদূরের হাট থেকে পশুকে ক্রয় করে নিয়ে আসে দেশের অন্যান্য ছোট হাটে। পশুর প্রতি সে কি নিদারুণ নির্মম পাশবিক আচরণ। কোন কোন সময় অনেক পশুর হাত-পা ভেঙ্গে যায়। কোন অবস্থাতেই এটি ত্যাগ নয় বরং ত্যাগের নামে নির্মম এক বর্বরতা! 
এ নমুনার পশু হত্যা, কোরবানীতো নয়ই বরং পাশবিক হত্যা।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT