মুক্তকথা: শুক্রবার, ২৫শে কার্তিক ১৪২৩; ১১ই নভেম্বর ২০১৬।। আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলীয় সমৃদ্ধ দেশগুলির ‘মিউনিসিপাল কোড’ পরিবর্তন করে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে আসার জন্য তিনি নিজে থেকে প্রথমে কাজ শুরু করেন। উদ্দেশ্য ছিল যাতে আফ্রিকার অন্যান্য দেশগুলি কারিগরী কৌশলের অভাবে সমস্যায় না ভোগে। তারই প্রচেষ্টায় গড় উঠে মিশরের মিউনিসিপাল কোড। মানুষের কল্যাণী মনের সেই মানুষটি হলেন আব্দেল রৌপ মোক্তার, বিশ্বখ্যাত এক প্রকৌশলীর নাম। নাম খানা বাংগালীদের মত হলেও তিনি আদৌ বাংগালী নন। অতিসম্প্রতি “আন্তর্জাতিক সংহত স্থায়ী ভিত পর্ষদ”(International Infrastructure Council) তাকে দুনিয়ার সেরা “স্থায়ী ভিত নির্মাণ প্রকৌশলী” বলে ঘোষণা দিয়েছে।
মোক্তার এই পেশায় বর্তমানে উত্তর আফ্রিকা এবং পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে ৪৮টি সুবৃহৎ প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন। তিনি একজন আন্তর্জাতিক প্রকল্প ব্যবস্থাপক এবং কতক বৃহৎ শহরের সংস্কার ও আধুনিকায়নের কাজে অংশ নিচ্ছেন। মি: মোক্তের বেনহা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ থেকে বি.এ. পাশ করেন।
‘বিশ্বের সেরা প্রকৌশলী’ বলে এই মিশরীয়কে ‘International Infrastructure Council’ “IIC” চিহ্নিত করেছে তাদের এক ‘বিশ্বব্যাপী শ্রেণী চিহ্নত করণ’ অনুষ্ঠানে। রৌপ মোক্তের হলেন প্রথম একজন আরব প্রকৌশলী যাকে উইকিপিডিয়া, জাপান তাদের তালিকায় তুলেছে এবং প্রথম মিশরীয় প্রকৌশলী যাকে কানাডা সরকার পছন্দ করেছে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় তাদের প্রকল্পগুলি মিশরীয় সরকারের সহযোগীতায় নির্বাহ করার জন্য। তিনি, “The Egypt – Canada Infrastructure Council ‘ECIC’এর ৪৮টিরও বেশী সুবৃহৎ প্রকল্প বর্তমানে দেখা-শুনা করছেন।
তিনটি মহাদেশ নিয়ে ব্যাপৃত “The Egypt – Canada Infrastructure Council ‘ECIC’”-র এই সুবিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদনের জন্য, প্রকৌশলী, কারিগর এবং ব্যবস্থাপকসহ ৬২ হাজারের একটি সুবিশাল কর্মি বাহিনী রয়েছে।
মানবকল্যাণী মন-মানসিকতার পাশাপাশি অসামান্য প্রতিভার অধিকারী এই আরব প্রকৌশলীর বিষয়ে মিশরের সাধারণ মানুষ খুব কমই জানে। তার প্রকল্প ব্যয়ের পরিমাণ ১৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। Infrastructure বা ‘সংহত স্থায়ী ভিত’ বিষয়ের উপর মোক্তের বেশ কিছু পুস্তক রচনা করেছেন।
একই সাথে বর্তমানে একটি বহুজাতিক কর্মিদলের সাথে মোক্তের কাজ করছেন পূর্বইউরোপ ও আফ্রিকা অঞ্চলের ‘মিউনিসিপাল’ “কোড” পরিবর্তন করে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে আসার জন্য। এর আগে মোক্তের গোটা আফ্রিকার “কোড”এর পরিবর্তন করেন।
মিশরের ‘গিজা’য় তার জন্ম। তিনি একজন মিশরী এবং মিশরে থাকতেই ভালবাসেন।
সংগ্রহ সূত্র: কৌড়া ডাইজেস্ট, কেনাডার সাংবাদিক দিনা ফায়েদ ও ‘International Projects Manager at Emco Corporation’ এর ওয়েব সাইট।