মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের একটি অংশ, সাধারণ মানুষের ভোটে পাওয়া ক্ষমতাকে কি চোখে ও কেমন মন নিয়ে দেখে, তার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ পাশের এ ছবিটি। এ ছবিটি দেখার পর শিরোনাম লিখে পাঠক সাধারণকে বুঝিয়ে দেয়ার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করিনা। ছবিটিই বলে দিচ্ছে, মানুষের ভোট বা সমর্থন পেয়ে এ ব্যক্তিটি যে চেয়ার বা কেদারায় বসার সুযোগ পেয়েছেন সেই পদটিকে তিনি কত যে তাচ্ছিল্যের চোখে দেখেন। এটি যে তার দায়ীত্বপূর্ণ পবিত্র কর্মক্ষেত্র সে বিষয়ে তিনি কতটুকু সজাগ বা সে বিষয়ে তার জ্ঞানের পরিধি কতটুকু ছবিটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে আমাদের সকলকে বলে দিচ্ছে। তার দায়ীত্বকে তিনি কতটুকু শ্রদ্ধার চোখে দেখেন তার এ ছবিই সূর্য্যের মত সেসত্যকে তুলে ধরেছে।
ভোটে পাওয়া মহান পবিত্র দায়ীত্বকে এসব মূর্খের দল মনের গভীরে কিরূপে লালন করেন ছবিটি তাই জানান দেয়। এদের মনের গভীরের সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন ভূমিকে কি দিয়ে আবর্জনামুক্ত করা যায়, আমাদের কাছে সে এক বিশাল প্রশ্ন। এতো রীতিমত শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধের শাস্তি কি হতে পারে তা দেখবেন সরকারী সংশ্লিষ্ট বিভাগ। কিন্তু এদের মনের অন্ধকার দূর করতে না পারলে বাহিরের শাস্তি দিয়ে স্থায়ী কোন সমাধান আশা করা যায় না। তবে ভবিষ্যতে এমন অপকর্ম আর কেউ যাতে করতে সাহস না পায় সে লক্ষ্যে এ দুরাত্মার কঠিন দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন।
সংগৃহীত এ ছবিটি হলো মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুস সালামের। ইউনিয়ন অফিস চলমান সময়ে তিনি সভাকক্ষের চেয়ারে বসে পা রেখেছেন টেবিলের উপর। নানা অভিযোগে অভিযুক্ত এ জন প্রতিনিধি সবসময় বলে বেড়ান, তার বিরুদ্ধে একটা অভিযোগও কেউ প্রমান দিতে পারবেনা। তাই, ইউপি অফিসের টেবিলের উপর পা তুলে বসা তার এ ঔদ্ধত্যপূর্ণ কর্মের ছবিটি প্রমান হিসাবে এখানে তুলে ধরা হলো। উল্লেখ্য, এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, স্বর্নপদকপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলে জানা যায়। সূত্র: জবলু সরকারের ফেইচবুক