৭.৭ মিলিয়ন পাউন্ডের উৎস কোথায়?
লণ্ডনের ‘১৭ গ্রসভেনর স্কোয়ার’-এর ঘরটি একটি খুবই দামী বাড়ীর ভেতরকার একটি ঘর যা ২০১০ সালে মোট ৬.৫ মিলিয়ন পাউণ্ড দিয়ে ক্রয় করা হয় এবং উত্তর লণ্ডনের ‘গ্রেসাম গার্ডেনস’ নামের অপর একটি দামী ঘর যা ১.২ মিলিয়ন পাউণ্ড দিয়ে ওই একই বছর কেনা হয়।
শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা যিনি সাবেক ইউকে সিটি মিনিষ্টার টিউলিপ সিদ্দীক-এর মা এই গ্রেসাম গার্ডেন-এর ঘরে বসবাস করেছেন বলে ইউকে-এর ভোটার তালিকায় পাওয়া যায়। তবে এখনও তিনি এখানে বসবাস করছেন কি-না তা জানা যায়নি।
বৃটেনের ‘ন্যাশনেল ক্রাইম এজেন্সি’ উপরের এ ঘর দু’খানা জব্দ করার নির্দেশ পেয়েছে এবং এ ঘর দু’খানার মালিক হলেন আহমদ সায়ান ফজলুর রহমান। আর এই আহমদ সায়ান ফজলুর রহমান হলেন বাংলাদেশে কারাগারে বন্দি জীবনে আছেন সালমান ফজলুর রহমান নামের সেই ব্যক্তি যিনি শেখ হাসিনার ‘বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা’ ও একজন সাংসদ ছিলেন, তারই পুত্র। গত ২২মে ‘ফাইনেনসিয়েল টাইমস’ এ খবর প্রকাশ করে। তারই কথা উল্লেখ করে আজ ২৬মে’২৫ ‘দি বিজনেস ষ্টেন্ডার্ড’ এ খবরটি প্রকাশ করেছে।
এ ঘর দু’খানা জব্দ করার আদেশ পেয়েছেন বলে ‘ফাইনন্সিয়েল টাইমস’কে নিশ্চিত করেছেন ‘ন্যাশনেল ক্রাইম এজেন্সি’। বাংলাদেশ দূর্ণীতিদমন কমিশন, সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ও অর্থ আত্মসাত মামলার রাষ্ট্রীয়ভাবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। আহমদ সায়ান ফজলুর রহমানের একজন মুখপাত্র ফাইনেনসিয়েল টাইমস পত্রিকাকে বলেছেন যে তার মক্কেল উপরোক্ত অভিযোগের কোন কিছুর সাথেই কখনও জড়িত নহে। বাংলাদেশে চলমান রাজনীতিকে তিনি বিপর্যয়মূলক অবস্থা উল্লেখ করে বলেন যে বাংলাদেশে এখন অসংখ্য মানুষের নামে হরেক রকমের অভিযোগ আনা হচ্ছে। যুক্তরাজ্য কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।