মদনমোহনপুর চা বাগানে
চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ন্যাশনাল টি কোম্পানী (এনটিসি) এর মালিকানাধীন মদনমোহনপুর চা বাগানে গেল মাসের সোমবার ও মঙ্গলবার টানা দুই দিন কর্ম বিরতির পর সমঝোতা বৈঠকের সিদ্ধান্তে অভিযুক্ত কর্মচারীকে প্রত্যাহার করে নেয় কর্তৃপক্ষ। এই প্রত্যাহারের পর থেকে মদনমোহনপুর চা বাগানের আন্দোলনরত চা শ্রমিকরা কর্মবিরতিও প্রত্যাহার করে নেয়।
চার দফা দাবিতে উপজেলার মাধবপুর মদনমোহনপুর চা বাগানের ৩০০ চা শ্রমিক সোমবার সকল ৯টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছিল।
মদনমোহনপুর চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি উমা শঙ্কর কৈরী জানান, চা বাগানের গাড়ি চালক, সর্দার, দৈনিক মজুরি ভিত্তিক শ্রমিক ও মিস্ত্রিদের পদোন্নতি প্রদান করা, বাগানের অস্থায়ী শ্রমিকদের মধ্য থেকে ১০ জন শ্রমিককে স্থায়ীকরা, সম্প্রতি সময়ে চা শ্রমিক প্রদীপ তাহার ও জয়দীপ তাহারকে অযৌক্তিকভাবে দেয়া অভিযোগপত্র প্রত্যাহার করার দাবি ছিল। তাছাড়া এ চা বাগানের কর্মচারি জয় প্রকাশ কৈরীর যোগসাজশে এ চা বাগানের প্লান্টেশন এলাকা থেকে চা পাতা উত্তোলন করে পার্শ্ববর্তী মাধবপুর চা বাগানে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে মদনমোহনপুর চা বাগানের শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছিল।
দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি চলাকালে উত্তেজিত চা শ্রমিকরা চা বাগান ব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ আরও একজন সহকারি ব্যবস্থাপককে অফিসে কয়েক ঘন্টা আটকিয়ে রেখেছিল। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কমলগঞ্জ থানার পুলিশের একটি দলও মদনমোহনপুর চা বাগানে আসে। শ্রীমঙ্গলস্থ শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাহিদ ইসলাম সরেজমিন আসলে একটি সমঝোতা বৈঠক বসে।
এ বৈঠকে মদনমোহনপুর চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি উমা শঙ্কর গোয়ালা, চা বাগান ব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম, চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলাই ভ্যালির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা, একই ভ্যালির চা বাগান কর্মচারী পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমসহ চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলা সমঝোতা বৈঠকের পর চা বাগান কর্তৃপক্ষ চা বাগানের অভিযুক্ত কর্মচারী জয় প্রকাশ কৈরীকে তাৎক্ষনিক প্রত্যাহার করে নিলে আন্দোলনরত চা শ্রমিকরা কর্ম বিরতি প্রত্যাহার করে পরের দিন থেকে কাজে যোগদান করে।
মদনমোহনপুর চা বাগান ব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, কর্মবিরতির ও সমঝোতা বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করলে চা শ্রমিকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
|