পাঠিয়েছেন-
প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, সালিশ বিচারক মো: শামসুদ্দীন খাঁন(মছু মিয়া) বার্ধক্যজনিত রোগে ভূগে গেল বছরের ২৫ডিসেম্বর বুধবার সকাল ৯.৫৫ ঘটিকায় ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে মৃত্যুবরন করেন (ইন্না লিল্লাহি —রাজিউন)।
উনার নামাজের জানাযা বৃহ:স্পতিবার বেলা আড়াইটায় শমসেরনগর শিংরাউলী মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। মৃত্যুকালে তিনি চার ছেলে, তিন মেয়ে ও নাতি নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে স্থানীয়জনমানসে শোকের ছায়া নেমে আসে।
জাতীয় সংসদের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি আকস্মিকভাবে গত ২৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় স্বস্ত্রীক মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান পরিদর্শন করেন। জাতীয় উদ্যান পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ বন্যপ্রানী সেবা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কিছু বন্যপ্রানী অবমুক্ত করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি।
বাংলাদেশ বন্যপ্রানী সেবা ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, সাবের হোসেন চৌধুরী গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় আকস্মিকভাবে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান পরিদর্শনে আসেন। এ উপলক্ষে বন্যপ্রানী সেবা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় উদ্যানে ১টি অজগর সাপ, ২ টি বন বিড়াল, ১টি লজ্জাবতী বানর, ২টি বন বিড়াল, ২টি মেছোবাঘ, ১টি সোনালী বিড়াল ও বিভিন্ন রকমের ৬টি পাখি অবমুক্ত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল) মো. আশরাফুজ্জামান, বাংলাদেশ বন্য প্রানী সেবা ফাউন্ডেশনের সভাপতি সীতেশ রঞ্জন দেব, পরিচালক সজল দেবসহ বন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব বলেন, বন পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির এ পরিদর্শন ছিল আকস্মিক। পরের দিন শুক্রবার সকালে পূণ:রায় স্বস্ত্রীক লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান পরিদর্শন করেন সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি।
মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান পুস্প কুমার কানুর সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরণের সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান মোতাহের আলী, সাংবাদিক আসহাবুর ইসলাম শাওন, সাংবাদিক আহমেদুজ্জান আলম, ইউপি সদস্য রনজিৎ কুমার সিংহ, আব্দুল আহাদ, কৃষ্ণলাল দেশওয়ারা, সাবিদ আলী, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সুমিত্রা বালা নুনিয়া ও রিনা বেগম প্রমুখ। অনুষ্টানে ইউনিয়নের ৫টি ওয়ার্ডের সাড়ে তিন শতাধিক শীতার্থ দরিদ্র পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
২৫ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১০টায় কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান, শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক(তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী, এসআই আনজির হোসেন, এসআই বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শমশেরনগর চা বাগানস্থ নাজারাত ব্যাপ্পিস্ট চার্চে গিয়ে পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা কেক প্রদান করেন। এসময় ধর্মীয় আলোচনা শেষে শুভেচ্ছা বক্তব্য রেখে কেক কাটেন কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান, পরিদর্শক(তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী, চার্চের পালক জোশেফ রাল্ফ, সাংবাদিক মুজিবুর রহমান রঞ্জু প্রমুখ।
কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান বলেন, কমলগঞ্জের ছোটখাটো অনেকগুলো খ্রিস্টান গীর্জা রয়েছে। গত ২৩ ডিসেম্বর মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জিতে এমন ৪০টি গীর্জায় বড় দিনের সরকারি অনুদানের অর্থ বিতরণ করেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাংসদ উপাধ্যক্ষ ড. এম এ শহীদ। আজ বড়দিন উপলক্ষে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমদ পিপিএম-এর পক্ষ থেকে খ্রিস্টান গীর্জাগুলোতে কেক প্রদান করে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। তাছাড়া সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বড় দিনের উৎসব পালন হচ্ছে কি না সে জন্য প্রতিটি গীর্জায় খোঁজ নিয়ে তদারকি করা হয়।
ফেইসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে উদ্যোগ নিয়ে ২৩০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দরিদ্র শীতার্থদের মধ্যে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লোক গবেষক আহমদ সিরাজ, ব্যবসায়ী জাহেদ আহমেদ চৌধুরী, সুমন দাস ও সাংবাদিক উদ্যোক্তা রিপন দে।
কম্বল বিতরের উদ্যোক্তা মৌলভীবাজারের সাংবাদিক রিপন দে জানান, প্রচুর ঠান্ডায় নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিই। স্ট্যাটাস দেখে ৩৭ জন ফেসবুক বন্ধু সর্বোচ্চ ১৫ হাজার থেকে ২শ’ টাকা পর্যন্ত দিতে ইচ্ছে প্রকাশ করেন। গত কয়েকদিনে আর্থিক সহায়তাকারী ফেসবুক বন্ধু ডা. সুধাকর কৈরী, সীমা, মাহফুজ, প্রিয়াংকা, রাশিদা, জাহেদ, মুরাদ, নয়ন, নাহিদুর, মো. রাসেল, টিকলু ধর, রাজ প্রিতম, সুমন দাস, রনি, দিলশান পারভিন, তৃষা, কানন, অজয় সেন, আজমল খান, প্রভাত, মানিক, ডা. বিনেন্দু ভৌমিক, সৈকত শুভ, ক.আ, আরিফ, কামরুল, রীমা শীল, মিথিলা, খোকন, ঝিনুক, দেবজ্যোতি দেবু, শুভাশিষ শুভ, সুলতানা,ওহিদুল ইসলাম, শিমুল ভট্টাচার্য্য।
তাদের মাধ্যমে ৪৫ হাজার ৯শ’ টাকা সংগ্রহ করে ২৩০ টি কম্বল কেনা হয়। পরে এগুলো কমলগঞ্জের শ্রীনাথপুর গ্রামে শব্দকর সম্প্রদায়ের মধ্যে ১২০টি কম্বলসহ কালেঙ্গা, দেওড়াছড়া চা বাগান, মিরতিঙ্গা চা বাগান এবং ছয়চিড়ি দিঘী এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে বিরতণ করা হয়।