1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
কমলগঞ্জের দিনলিপি... - মুক্তকথা
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০১:২১ পূর্বাহ্ন

কমলগঞ্জের দিনলিপি…

কমলগঞ্জ সংবাদদাতা॥
  • প্রকাশকাল : বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫
  • ৭১ পড়া হয়েছে

আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ঢেউটিন বিতরণ


মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আগুনে বসতঘর ও দোকান পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া হাছন মিয়ার পরিবারকে ২ বান্ডিল ঢেউটিন বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার সকালে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন চত্বরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এই সহায়তা প্রদান করা হয়।

সম্প্রতি আগুনে পুড়ে উপজেলার উত্তর তিলকপুর গ্রামের হাছন মিয়ার বসতঘর, দোকান এবং আরো ৩’টি দোকান ভস্মিভূত হয়। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে পরিবারটি। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হাছন মিয়ার পরিবারকে ২ বান্ডিল ঢেউটিন প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল, কমলগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নুরুল মোহাইমীন মিল্টন ও সাংবাদিক প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ প্রমুখ।



অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহ ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে “গুদামে গুদামে কৃষকের ধান, বাঁচবে কৃষক বাঁচবে প্রাণ, ধানের দাম পাচ্ছে বেশি, কৃষক এখন অনেক খুশি” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২৪ এপ্রিল) দুপুরে ভানুগাছ খাদ্য গুদামে প্রধান অতিথি হিসেবে শুভ উদ্বোধন করেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর।

 

এ সময় উপস্থিত কমলগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুমি দেব, ভানুগাছ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমান, শমশেরনগর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাম ইবনে খতিব, উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক আশিষ কুমার রায়, উপজেলা বিএনপি ইকবাল পারভেজ চৌধুরী শাহীন, ভানুগাছবাজার পৌর বনিক সমিতির সহ সভাপতি মামুনুর রশীদ, কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহবায়ক এম এ ওয়াহিদ রুলু, সদস্য সচিব আহমেদুজ্জামান আলম, কমলগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি পিন্টু দেবনাথ প্রমুখ।

ভানুগাছ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমান জানান, কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ ও শমশেরনগর খাদ্য গুদামে বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৩৬ টাকা কেজি ধরে ৩২১ টন এবং সিদ্ধ চাল ৪৯ টাকা দরে ২৬৮ টন সংগ্রহ করা হবে।


 

পাত্রখোলা চা বাগানে ১০জন নারীকে দেয়া হলো তাঁত মেশিন

 

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী পাত্রখোলা চা বাগানে বসবাসরত চা জনগোষ্ঠী নারীদের কর্মসংস্থান ও আর্থিক উন্নয়নের লক্ষ্যে শেয়ারড সার্ভিস ফেসিলিটিস সেন্টার ১ম ব্যাচের তাঁত প্রশিক্ষন সম্পন্ন করা নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে তাঁত মেশিন বিতরণ অনুষ্টিত হয়। মঙ্গলবার(২৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় পাত্রখোলা কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও এবং ইনডিজিনাস পিপলস ডেভলাপমেন্ট সার্ভিসেস এর আয়োজনে ১০ জন চা জনগোষ্ঠী, মণিপুরি ও গারো নারীদের মাঝে তাঁত মেশিন বিতরন করা হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সরকারের বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও আইএলও একসাথে কাজ করছে।

অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এর সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) সামসুর রহমান খান, ইন্টারন্যাশনাল লেবার অরগানাইজেশন-আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. টমো পৌটিয়ানেন, বাংলাদেশস্থ কানাডা হাই কমিশনের সিনিয়র ডেভেলপমেন্ট এডভাইজার মি. রিপুল জান্নাত, আইএলও’র চিফ টেকনিক্যাল এডভাইজার পেট্রো জুনিয়র ব্যলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইপিডিএস এর প্রেসিডেন্ট  সঞ্জীব দ্রং।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক শোয়াইব আহমদ খান এর সভাপতিত্বে ও আইএলও এর উদ্ধতন কর্মকর্তা অ্যালেক্স চিছাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এর যুগ্ম সচিব ড. কাজী শাহাজাহান, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাখন চন্দ্র সূত্রধর। এছাড়া অনুষ্ঠানে পাত্রখোলা চা বাগান ব্যবস্থাপকসহ পাত্রখোলা চা বাগান এসএসএফসি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি লক্ষী অলমিক, পাত্রখোলা চা ছাত্র যুব পরিষদ এর এডভাইজারী কমিটির সভাপতি প্রদীপ পাল ও আইপিডিএস’র ফিল্ড অফিসার সুমন কৈরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



প্রতি মাসে রেঞ্জ অফিসকে আর্থিক সুবিধা দিতে হয়, দিতে হয় চাঁদা

প্রশ্নবিদ্ধ রাজকান্দি বন রেঞ্জের কার্যক্রম!

 

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কুরমা, আদমপুর ও কামারছড়া বনবিট নিয়ে রাজকান্দি বনরেঞ্জ গড়ে উঠেছে। এই রেঞ্জে গাছ, বাঁশ, পাহাড়, টিলা, খাসিয়া ও স্থানীয় ভিলেজারদের বসতি রয়েছে। সম্প্রতি রেঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের সাঙ্গাইসাফী এলাকায় নিরীহ এক ভিলেজারের কাঁচা ঘর উচ্ছেদ, স’মিল থেকে কাঠ জব্দের পর মামলা না হওয়া, স’মিল মালিকদের নোটিশ দিয়ে অফিসে নিয়ে সমঝোতাসহ বন বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়াও মহালের বাঁশ, গাছ পাচার হওয়ার নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা ঘটছে। ফলে নিরবে, নিভৃতে বিলীন হচ্ছে মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী কমলগঞ্জের রাজকান্দি বন। স্থানীয়দের অভিযোগে এসব চিত্র বেরিয়ে আসছে।

স্থানীয় ভিলেজার ও বন সংলগ্ন বাসিন্দারা জানান, রাজকান্দি বনরেঞ্জে গাছ, বাঁশে ঘন অন্ধকারাচ্ছন্ন বন ছিল। বর্তমানে বনের সে চিত্র আর নেই। বনবিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নানা কার্যক্রমের ফলে বন ধ্বংস হচ্ছে। বন বিভাগের ভিলেজার বাঙালি ও খাসিয়ারা রয়েছেন। বনের মধ্যে ইটের স্থাপনা তৈরি নিষিদ্ধ থাকলেও খাসিয়া সম্প্রদায়ের বেশকিছু ইটের বসতঘর তৈরি হলেও কোন আপত্তি হয়নি। অথচ চাহিত আর্থিক সুবিধা না দিলে বাঙালি ভিলেজারদের উচ্ছেদ করা হয়। গত ২৫ এপ্রিল কামারছড়া বনবিটের অধীন আদমপুর ইউনিয়নের সাঙ্গাইসাফী এলাকায় নিরীহ এক ভিলেজারের কাঁচা ঘর উচ্ছেদ করেছে বন বিভাগ। এই রেঞ্জে প্রশিক্ষণরত সহকারী বন কর্মকর্তা ও রাজকান্দি রেঞ্জ কর্মকর্তা প্রীতম বড়ুয়ার নেতৃত্বে ভিলেজার মৃত আরজান মিয়ার স্ত্রী মরিয়ম বিবির বাঁশের টিনসেড ঘরটি ভেঙ্গে উচ্ছেদ করা হয়েছে। ফলে নিরীহ ওই মহিলা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং তার মাথা গোজার ঠাঁইটুকুও হারিয়েছেন। অথচ ওই মহিলা বনবিভাগকে অবহিত করেই ঘর তৈরি করেন।

তারা আরও বলেন, গত তিন মাসের মধ্যে কুমড়াকাপন ও সতিঝির গ্রামের মিলন মিয়ার দুই স’মিল থেকে সহকারী বন কর্মকর্তার নেতৃত্বে অবৈধ কাঠ উদ্ধার হলেও কোন মামলা হয়নি। সমঝোতার মধ্যদিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে। তাছাড়া আদমপুর ও কুরমা বন বিট এলাকার বাঁশ মহাল দীর্ঘ এক যুগ ধরে ইজারা হচ্ছে না। ফলে প্রতিনিয়ত বাঁশ পাচার হচ্ছে এবং মহালেও বিপুল পরিমাণ বাঁশ মরে বিনষ্ট হচ্ছে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে রেঞ্জ এলাকার বিভিন্ন ফাঁড়ি পথে নানা সময়ে গাছ চুরির ঘটনা ঘটে। গাছের খন্ডাংশগুলো কোন কোন সময়ে স’মিলে যায় আবার কোন সময়ে মৌলভীবাজার ও সিলেটে পাচার হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স’মিল মালিকরা জানান, রেঞ্জ অফিস থেকে আমাদের নোটিশ দেয়া হয়েছে এবং অফিসে গিয়ে এসব বিষয়ে সমঝোতা করে আসতে হচ্ছে। তাছাড়া প্রতি মাসে রেঞ্জ অফিসকে আর্থিক সুবিধা এবং বিভিন্ন জাতীয় দিবসের জন্য আমাদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়া হয়।
অভিযোগ বিষয়ে রাজকান্দি বনরেঞ্জ সহকারী বন সংরক্ষক ও রাজকান্দি রেঞ্জ কর্মকর্তা প্রীতম বড়–য়া বলেন, সাঙ্গাইসাফী গ্রামে ভিলেজারের আগে কোন ঘর ছিল না। নতুন ঘর করছেন, তাই উচ্ছেদ হয়েছে। পাকা ঘর আমার সময়ে হয়নি। আগে হয়েছে। তাছাড়া স’মিল মালিকদের সাথে কোন সমঝোতার সুযোগ নেই এবং যতদুর সম্ভব স’মিল থেকে জব্দকৃত কাঠের মামলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে সোমবার সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির এর মোবাইল ফোনে কয়েক দফা কোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 

One thought on "কমলগঞ্জের দিনলিপি…"

Comments are closed.

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT