1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
ক্রমবিকাশের বিষ্ময়! ১৩০৬ পা বিশিষ্ট কীট পাওয়া গেছে ভূগর্ভে - মুক্তকথা
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৮ অপরাহ্ন

ক্রমবিকাশের বিষ্ময়! ১৩০৬ পা বিশিষ্ট কীট পাওয়া গেছে ভূগর্ভে

বিশেষ প্রতিনিধি॥
  • প্রকাশকাল : শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৮০৭ পড়া হয়েছে

 


অষ্ট্রেলিয়ার এক সোনার খনিতে পাওয়া গেছে ১৩০৬ পা বিশিষ্ট কীট। এতো পা-ওয়ালা কীট ইতিপূর্বে আর কোথায়ও পাওয়া যায়নি বা আবিষ্কৃত হয়নি। এটিই মানব সভ্যতার প্রথম দর্শন বা আবিষ্কার। জীব বা প্রানীর ক্রমবিকাশ ধারার ছোট্ট এই উদাহরণটি আবিষ্কৃত হয়েছে প্রায় ২০০ ফুট মাটির গভীরে পশ্চিম অষ্ট্রেলিয়ার এক স্বর্ণখনি এলাকায়। এখানে খনিকর্মীরা সোনা ও লিথিয়ামের খোঁজে ঘুরেন।
সবচেয়ে মজার ও বুঝার বিষয় হলো, প্রানীটির কোন চোখ নেই। আশ-পাশ বিষয় বুঝার জন্য বিষ্ময়কর এ প্রানীটি স্পর্শ ও গন্ধ শুঁকে চলে। গায়ের রং ফ্যাকাশে ধূষর। লম্বায় প্রায় ৯৫ মিলিমিটার আর পাশে ১ মিলিমিটার থেকে কিছু কম। একেবারে ঘুর অন্ধকারে প্রানীটি ভূগর্ভের লৌহ ও অগ্নিশিলার পরিবেশে বাস করে।জীববিজ্ঞানীরা দু’টি মহিলা কীটকে পরীক্ষা করে দেখেছেন এরা পুরুষ কীটদের চেয়ে অলস। পরীক্ষিত এ দু’টির একটির রয়েছে ১৩০৬টি পা আবার অপরটির রয়েছে ৯৯৮টি পা। এক জোড়া পুরুষ কীটের একটিতে পাওয়া গেছে ৮১৮টা আর অপরটিতে রয়েছে ৭৭৮টি পা। পায়ের এমন পরিমাণ এ ধরনের কীটের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক থেকে অনেক অনেকগুণ বেশী। সাধারণতঃ এমন ভূগর্ভস্ত গভীর অন্ধকারে থাকা কীটের পা থাকে ১০০ থেকে ২০০টি।

মিল্লিপিডস কীট। অনুবিক্ষন যন্ত্রের মাধ্যমে তুলা ছবি। ছবি-স্কাই নিজউ থেকে সংগৃহীত

ইতিপূর্বে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় পাওয়া ‘ইল্লাকমে প্লেনিপস'(Illacme pleinpes) নামের অনুরূপ কীটের পা ছিল ৭৫০টি। এই ‘ইল্লাকমে প্লেনিপস'(Illacme pleinpes) গবেষকদের দেয়া নাম। এবার নতুন আবিষ্কৃত এই প্রানীটির নাম দেয়া হয়েছে- “এউমিলিপ্স পার্সেফোন”(Eumillipes persephone)। এ নামের অর্থ দাঁড়ায় ‘সত্যিকারের হাজার পা’। পার্সেফোন হলো স্ত্রী লিংগের একটি গ্রীক শব্দ। গ্রীক পুরাণের ধ্বংসের দেবীর নাম হলো পার্সেফোন। তিনি হলেন ভূগর্ভস্ত অন্ধকার জগতের দেবী ডিমিটার ও জিয়াসের কন্যা।

এতো বেশী পা নিয়ে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের ধারণা এটি প্রানীর ক্রমবিকাশের ফসল। গবেষক ও বিজ্ঞানীদের মতে-“আমরা বিশ্বাস করি এতো পা মূলতঃ এরা যে পরিবেশে বাস করে সেখানে চলার পথে মাটির অতি ছোট ছোট অনুপরমানুসম খাঁজ ও উঁচুনিচু ভুমিতে নিজেদের শরীরকে পাড় করে নিতে সাহায্য করে। এ মন্তব্যটি করেছেন, পার্থের বেন্নেলজিয়া এনভারনমেন্টাল কন্সালটেন্ট ব্রুনো বুজাত্তো।

মিল্লিপিডের পা। অনুবিক্ষন যন্ত্রের মাধ্যমে তুলা ছবি। ছবি-স্কাই নিজউ থেকে সংগৃহীত

ব্রুনো আরো বলেন-“আমার মতে, এ প্রানীটি আমাদের হতবুদ্ধী করার মত একটি প্রানী যা ক্রমবিকাশের এক বিষ্ময়কর উদাহরণ।” এ প্রানীটি এ পর্যন্ত পাওয়া ভূগর্ভস্ত কীটের সবচেয়ে বেশী পায়ের। এতোবেশী পা বিশিষ্ট কীট এর আগে আর পাওয়া যায়নি। কীট জগতে এরাই প্রথম প্রাণী যারা মাটিকে জয় করেছে।” “এ ছাড়াও এ কীটটি মাটির অনেক অনেক গভীরে বাস করাকে সয়ে নিয়েছে।”

ভার্জিনিয়া টেক-এর পতঙ্গ বিজ্ঞানী পল মারেক যিনি হলেন এই গবেষণার শীর্ষ গ্রন্থকার যা “জার্ণাল সায়েন্টিফিক রিপোর্ট”এ প্রকাশ হয়েছে, তিনি বলেন, যদিও মিলিপেড অর্থ হাজার পা, তবে ইতিপূর্বে কোন ভূগর্ভস্ত কীট আবিষ্কৃত হয়নি যার হাজার পা আছে।” “এই মিলিপিড যারা সেন্টিপিড, ইন্সেক্ট, ক্রাষ্টাসিন্সদের সাথে সম্পর্কযুক্ত, এরা আজ থেকে ৪০০ মিলিয়ন বছর আগে এ মর্তগভীরে জন্ম নিয়েছিল।”

বর্তমানে এ বিশ্ব ভূমণ্ডলে প্রায় ১৩হাজার প্রজাতি রয়েছে যারা এ বিশ্বজগতের ক্ষয়ে যাওয়া ছত্রাক ও উদ্ভিদ খেয়ে বেঁচে আছে।
এ সকল কীট বাস্তপদ্ধতি(ecosystem)তে একটি বহুমূল্যবান কাজ করে। এরা খেতে গিয়ে বস্তুকে ভেঙ্গে তার অবিচ্ছেদ্য অংশ যেমন কার্বন, নাইট্রোজেন ও সাধারণ চিনি এগুলোকে আলগা করে দেয়। সংবাদ সংগ্রহ-স্কাই নিউজ, অনুবাদ-হারুনূর রশীদ

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT