মুক্তকথা সংবাদকক্ষ॥ ‘হাইস্পীড২’ নামে অভিহিত ইউষ্টন পাতাল রেল লাইন নির্মাণ কোম্পানীর কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীগন “HS2 Euston tunnel protesters” নামেই কেমডেন এলাকায় পরিচিত। কেমডেন শহরের মানুষ বিভিন্ন সময়ই এই ‘হাইস্পীড২’এর নির্মাণ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছে সূচনা থেকেই। বিশেষ করে পরিবেশবাদীগন কাজ শুরু হওয়ার আগ থেকেই এই নির্মাণ কাজের বিভিন্ন ধরনের মানুষ ও প্রকৃতি বিরুদ্ধ ত্রুটির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে আসছে। কিন্তু ‘হাইস্পীড২’ নির্মাণ কোম্পানী কোন সময়ই ইতিবাচক ভূমিকা রাখেনি।
তাদের এই নেতিবাচক কাজের প্রতিবাদ স্বরূপ এবার নিজেরাই ‘ইউষ্টন স্কোয়ার গার্ডেন’এর নিচে ‘টানেল’ খনন করে ৫জন পরিবেশবাদী টানেলের ভেতরে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের দাবী ‘ইউষ্টন স্কোয়ার গার্ডেনটি’কে তারা বিনষ্ট হতে দেবেন না, কোন প্রয়োজনেই।
গত ৩১ জানুয়ারী ছিল টানেলে অবস্থানের তাদের ৫ম দিন।
অনেকটা নাটকীয়ভাবেই এসকল পরিবেশবাদীগন ‘ইউষ্টন স্কোয়ার গার্ডেনে’র নিচে নিজেরাই টানেল খনন করে ঢুকে অবস্থান নিয়েছেন ইউষ্টনের ওই প্রাকৃতিক বৃক্ষবাগানটি রক্ষার জন্য। তাদের দাবী ওই বাগানকে উৎখাত করতে তারা দেবেন না। এদিকে ‘হাইস্পীড২’ নির্মাণ কোম্পানী যাদের এ রেল লাইন নির্মাণ কাজের ব্যয়মূল্য প্রায় ১০৬ বিলিয়ন পাউণ্ড। তারা প্রতিবাদকারীদের বের করে নিয়ে আসার জন্য ‘বেলিফ’ নিয়োগ করেছেন। কিন্তু প্রতিবাদকারী পরিবেশবাদীরা বলেছেন তারা কোনভাবেই দাবী না মানা পর্যন্ত ওখান থেকে বের হযে আসবেন না। প্রচীনতম স্থানীয় সংবাদপত্র ‘কেমডেন জার্নাল’ গত ৩১জানুয়ারী সচিত্র এ খবর প্রকাশ করেছে।
এসব প্রতিবাদকারী পরিবেশবাদীদের পক্ষে এগিয়ে এসেছে স্বয়ং কেমডেন কাউন্সিল। কেমডেনের কাউন্সিলারগন, এখানে মানবাধিকার লংঘণের মত কাজ হতে পারে আশংকিত হয়ে হুশিয়ার করে দিয়েছেন। তারা কাউন্সিলকে এসব পরিবেশবাদী প্রতিবাদকারীদের পক্ষে আরো অধিক সহযোগীতার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
কেমডেন কাউন্সিলের লিডার জর্জিয়া গোল্ড এ অবস্থাকে একটি সংকটজনক অবস্থা উল্লেখ করে, আন্দোলনকারীদের নিজেদের ইচ্ছায় বেরিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাওয়া অবস্থায় সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে এ বিষয়ে এমন কোন কাজ না করতে অনুরোধ করেছেন যাতে কোন জীবন সংকটাপন্ন না হয়। তিনি সকল পক্ষকে ‘হাইস্পীড২’ বিষয়ে জাতীয় আলোচনা কি হচ্ছে সেদিকে নজর রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে পাতালগর্তে অবস্থান নিয়ে থাকা প্রতিবাদকারী পরিবেশবাদীদের পক্ষ থেকে ডন হোপার ও আকা ‘সোয়াম্পি’ নামের দু’জন পরিবেশবাদী প্রতিবাদকারী সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন যে প্রতিবাদের এ কার্যক্রম ভঙ্গ করে জাতীয় আলোচনায় শরিক হওয়ার জন্য বেরিয়ে আসা আসলে কোন কাজ দেবেনা। কারণ এ পর্যন্ত ‘হাইস্পীড২’কে কোনকিছুই দমাতে পারেনি। আমরা এ অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যাবো এবং অবস্থাকে, সকলকে ঘাবড়িয়ে দেয়ার মত অবস্থায় নেবো। ‘হাইস্পীড২’এর এ কাজকে এমন অজনপ্রিয় করে তুলবো যে সরকারকে এসে বলতে হবে এগুলো ঠিক হচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে ‘হাইস্পীড২’এর একজন মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে তাদের খুবই দক্ষ কর্মীগন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। এভাবে প্রতিবাদকারীগন তাদের নিজেদের জীবনকে মহাবিপদের দিকেই নিয়ে যাচ্ছেন।
|