চা বাগান থেকে সাপ্তাহিক রেশন নিয়ে ঘরে ফেরার পথে গত ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার হন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাধবপুর ইউনয়িনের মদনমোহনপুর চা বাগানের ৩০ বছর বয়সী এক খ্রিস্টান নারী চা শ্রমিক। একই এলাকার শুক্কু গোমেজ(৩৫) নামে এক ব্যক্তি নারী শ্রমিককে নিয়ে ১০ নম্বর প্লান্টেশন এলাকার চা বাগানের নির্জন স্থানে ধর্ষণ করে ফেলে রাখে। এ ঘটনার ৬ দিন পর গত বুধবার(২৭ নভেম্বর) রাতে কমলগঞ্জ থানায় ধর্ষিতার ভাশুর মিলন গোমেজ একটি মামলা করলে পুলিশ ধর্ষক শুক্কু গোমেজকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্কু গোমেজ নিয়মিত এ নারী চা শ্রমিককে উত্যক্ত করত। সে তাকে নানাভাবে কু-প্রস্তাব দিত। বৃহস্পতিবার নারী শ্রমিককে ধর্ষণ করে শুক্কু গোমেজ পালিয়ে যায়। পরে ধর্ষিতা নিজে বাড়ি ফিরে তার শশুরবাড়ির লোকজনকে ঘটনাটি জানালে এলাকাবাসী চা বাগান পঞ্চায়েত ও বাগান ব্যবস্থাপককে অবহিত করেন। রাতেই বিষয়টি থানা কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে অবহিত করে নির্যাতিতাকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ধর্ষিতার মেডিক্যাল চেকআপের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। নির্যাতিতা এখনও মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ২৭ নভেম্বর বুধবার রাতে ধর্ষিতার ভাশুর মিলন গোমেজ ধর্ষণ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা করলে পুলিশ মদমোহনপুর চা বাগানে তার বাড়ি থেকে ধর্ষক শুক্কু গোমেজকে গ্রেফতার করে।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক(তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধর্ষককে মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের ইটাখোলা গ্রামে ইসকন নামহট্ট মন্দিরে হামলা ও লুটপাট ও ঘটনায় ৬ জন ইসকন ভক্ত আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩ জনকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল ৮ টায়।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আলীনগর ইউনিয়নের ইটাখোলা শ্রী শ্রী রাখাল থলী মন্দিরের কাছে নামহট্ট মন্দিরের কিছু সংখ্যক যুবক ইসকন ভক্তরা নিত্য দিনের মতো তাদের নামহট্ট মন্দিরে ভগবানের ভোগ নিবেদনের জন্য প্রসাদ রান্নায় ব্যস্ত ছিলেন। বিগত ১ মাস (দামোদর মাস) ব্রত করার পর সোমবার ছিল তাদের ব্রত সমাপনী অনুষ্টান। সকালে আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় ভক্তরা অনুষ্টান স্থলে পূজা ও প্রসাদ রান্নার আয়োজন করছিলেন। তখন একই এলাকার রাজীব গড়, খোকন রবিদাস ও বিকাশ বৈদ্যের নেতৃত্বে কিছুসংখ্যক সনাতনী যুবক অরুণ বৈদ্য, কিরণ বৈদ্য, শৈলেশ বৈদ্য, পল্টু রবিদাস, জাগুয়ার বৈদ্য ও চামুট রবিদাসসহ ১৫/২০ জনের একটি সংঘবদ্ধদল নামহট্ট মন্দিরে এসে পূজা অর্চনায় বাধা দেয়। এ নিয়ে ইসকন ভক্তদের সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা অতর্কিতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইসকন ভক্তদের উপর হামলা চালালে মন্দিরে উপস্থিত ভক্তরা আহত হন। তাদের আর্ত চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আহতদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
হামলাকারীরা ইসকন মন্দিরের টিনচালা ঘরে ভাংচুর করে। ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমানের নের্তৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় ইটাখোলা ইসকন নামহট্ট মন্দিরের পক্ষ থেকে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত দায়ের করেন।
আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক বাদশা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনাটি পূর্ব বিরোধের জের ধরে ঘটেছে। এর আগেও এই বিষয় নিয়ে সালিশ বৈঠকও হয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। রাখাল থলী মন্দির ও ইসকন মন্দিরের আভ্যন্তরীন বিরোধের জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি পুলিশ গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখছে। হামলাকারী ও আহতরা একে অন্যের আত্মীয়স্বজন বলে পুলিশ কর্মকর্তা জানান। তিনি এলাকার ১৫/২০ জন যুবক ইসকন ভক্ত।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাধবপুর চা বাগান এলাকায় রাস্তায় পাস দেওয়া নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে এক সিএনজি অটোরিক্সা চালকের সাথে ট্রাক্টর চালকের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে এসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ট্রাক্টর চালকের বড় ভাই নুরুল ইসলাম (৫৫)। গত মঙ্গলবার রাত ৮টায় মাধবপুর চা বাগান মসজিদ লাইনে এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, রাস্তায় পাস দেওয়া নিয়ে সিএনজি অটো চালক মিঠুন নুনিয়ার (২৮) সাথে ট্রাক্টর চালক নুরুল ইসলামের বাকবিতন্ডা হয়েছিল। এক পর্যায়ে সিএনজি অটো চালক মিঠুন নুনিয়ার লাটির আঘাতে নুরুল ইসলাম গুরুতরভাবে আহত হলে তাকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে এখনও রয়েছে গুঞ্জন।
এ বিষয়ে রাতে মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু ও কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃদ্ধ নুরুল ইসলাম মারা গেছেন তবে কারো লাঠির আঘাতে নয়। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আর রাস্তায় পাস দেওয়া নিয়ে সিএনজি অটোরিক্সা চালক মিঠুন নুনিয়ার সাথে নিহত বৃদ্ধের ছোট ভাই আব্দুল খালিকের হাতাহাতি হয়েছিল। ঘটনার পর বৃদ্ধের ছেলে জাবেদ মিয়া ও ভাই আব্দুল খালিক থানায় এসে কোন অভিযোগ না দিয়ে হৃদরোগে তার (নুরুল ইসলামের) মৃত্যু হয়েছে বলে জানান। তারা পুলিশ কর্মকর্তার কাছে জোর দাবি জানান ময়না তদন্ত ছাড়া যাতে লাশ দাফন করা যায়।
ঘটনার পর বৃদ্ধের ছেলে জাবেদ মিয়া ও ভাই আব্দুল খালিক মুঠোফোনে বলেন, কারো লাঠির আঘাতে নয় সিএনজি অটোরিক্সা চালকের সাথে হাতাহাতির ঘটনা শুনেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান সরেজমিন তদন্ত করে নিহতের পরিবার সদস্যদের সাথে কথা বলেন। এরপরই ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের সিদ্ধান্ত হয়।
মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু বলেন, তারা প্রথমে শুনেছিলেন সিএনজি অটোরিক্সা চালকের লাঠির আঘাতে নুরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। তাই তারা আগেই সিএনজি অটোরিক্সা চালককে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছিলেন। পরে নিহতের পরিবার থানায় এসে জানিয়েছে তার মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বৃদ্ধের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তার পরিবার সদস্যরা তা জানিয়ে কোন প্রকার অভিযোগ না দিয়ে ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের অনুরোধ জানিয়েছেন।
ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরষ্কার ২০১৫ প্রাপ্ত “‘মৈত্রেয়ী নেই, মৈত্রেয়ী আছে’ আত্মজৈবনিক বিষাদ গাঁথার কেন্দ্রীয় চরিত্র প্রয়াত মৈত্রেয়ী সিনহার ষোড়শ জন্মদিনে তাঁর স্মৃতিস্তম্ভ উম্মোচন, মৈত্রেয়ী সংকলনের মোড়ক উম্মোচন, আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি ও ভাবগম্ভীর সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুরের উত্তর ভানুবিল গ্রামের মৈত্রেয়ীর পিতা লেখক-শিক্ষক রাজকুমার সিংহের পারিবারীক আয়োজনে মৈত্রেয়ী সিনহার ষোড়শ জন্মদিনে একটু ভিন্ন আদলের আয়োজনে তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরন করা হয়।
মণিপুরী সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিংহের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রয়াত মৈত্রেয়ী সিনহার বাবা শিক্ষক ও লেখক রাজকুমার সিংহ। আলোচনায় অংশ নেন মণিপুরী সমাজ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক কমলাবাবু সিংহ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব দেবাশীষ চৌধুরী রাজা, কমলগঞ্জ উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন দেব, সাংবাদিক প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ, সাংবাদিক নুরুল মোহাইমীন মিল্টন, অরুন কুমার সিংহ, বাবু সেনা সিংহ ও আয়োজক কমিটির আহবায়ক উকিল সিংহ প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে ভাবগম্ভীর এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
১৯৮৬ সালে মাধ্যমিক শিক্ষক ধর্মঘট চলাকালে পরীক্ষা কেন্দ্রের দিকে বিক্ষোভ মিছিল যাবার সময় ৬ মার্চ এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন শমশেরনগর এএটিএম বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র শামছুদ্দিন শামছু। পরে কয়েক বছর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি ও এএটি এম বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় শামছুর স্মরণ সভা করলেও পরিবার ছাড়া আর কেউ শহীদ শামছুকে স্মরণ করে না। স্কুল ছাত্র শামছুর মৃত্যু দিবসকে শহীদ শামছু দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের ও দিবসটি নিয়মিত পালন করার লক্ষ্যে কমলগঞ্জের শমশেরনগরে গঠন করা হয়েছে শহীদ শামছু স্মৃতি পরিষদ।
গত বুধবার সন্ধ্যার পর শহীদ শামছুর বাসায় তার বড়বোন শামছুন নাহার (রুবিনা)-এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা শেষে শামছুন নাহারকে সভাপতি ও ফারুক আহমদকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট “শহীদ শামছু স্মৃতি পরিষদ” গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্যরা হলেন সহ-সভাপতি সেলিম আহমদ ও হাজী তোয়াহিদ আলী। সহ সাধারণ সম্পাদক ফখর উদ্দীন (লাভলু) ও এলাইছ মিয়া চৌধুরী। অন্যান্য সদস্যরা হলেন, জাকারিয়া আহমদ (সাকিব), খায়রুল আলম (টিটু), কামরুদ্দীন, শাওন চৌধুরী সায়েল আহমদ।
বাসা ভাড়া ও চাকুরী দেওয়ার নামে নেয়া আড়াই লক্ষ টাকা চাইতে গিয়ে ভাড়াটিয়া লালনুর রহমানের আক্রমন ও বাসা মালিক দুবাই প্রবাসীর স্ত্রী লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার(২৪ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের শিংরাউলী কলেজ রোডস্থ বাসায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় সাংবাদিক সমিতি কমলগঞ্জ ইউনিটের শমশেরনগরস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেন দুবাই প্রবাসী আক্তার উদ্দীন বাবু ও তার স্ত্রী ফারহানা জেসমিন।
লিখিত বক্তব্যে দুবাই প্রবাসী আক্তার উদ্দীন বাবু বলেন, তিনি কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মঈনুদ্দীন এর ছেলে। কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের শিংরাউলী গ্রামে আমার দোতলা বিশিষ্ট বাসার নিচ তলায় ভাড়াটিয়া হিসাবে গত এক বছর ধরে কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর গ্রামের আকলিম আলীর ছেলে লালনুর রহমান(৪০) স্বপরিবারে বসবাস করেন। বাসা ভাড়া নেওয়ার সুবাদে লালন নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরিচয় ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পরিচিত বলে দাবি করে। পরে সে আমার স্ত্রী ফারহানা জেসমিনকে প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকতা পদে চাকুরী দিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামালকে টাকা দেয়ার নামে এককালীন নগদ দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নেয়। এর প্রমাণ স্বরূপ দেড়শত টাকার একটি স্ট্যাম্পে লেখাপড়া করে লালন স্বাক্ষর প্রদান করে। আমি বিদেশে যাওয়ার সময়ে সে আমার স্ত্রীর চাকুরীর জন্য স্বামীর অনুমতি লাগবে বলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে এবং সে কাগজ উর্দ্বতন অফিসে জমা দিতে হবে বলে কৌশলে দেড়শ টাকার একটি সাদা স্ট্যাম্পেও আমার স্বাক্ষর নেয়। পরে সময অতিবাহিত হলে বিষয়টি জালিয়াতি বলে ধারণা হয়। তার জালিয়াতির এই ঘটনায় তিনি কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, মাসিক ৪ হাজার টাকা বাসা ভাড়া নেয়ার শর্ত পুরণ করেও গত ৮ মাস যাবত লালন বাসা ভাড়া পরিশোধ করেনি। দেশে আসার পর বাসা ভাড়া দেওয়ার জন্য লালনুর রহমানকে চাপ দিলে সে নানা অজুহাত দেখিয়ে ও পরে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। সে নিজেকে কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে শমশেরনগর ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্বারস্থ হলেও লালন কারো ডাকে আসতে রাজি হয়নি।
দুবাই প্রবাসী আক্তার উদ্দীন বাবু জানান, সর্বশেষ গত রোববার আমি ও আমার স্ত্রী বাসায় গিয়ে লালনের কাছে বকেয়া ভাড়া ও চাকুরীর জন্য নেয়া টাকা ফেরত দিতে দাবি করি। এসময় লালন উত্তেজিত হয়ে আমাকে আক্রমন করে। তাকে বাঁধা দিলে আমার স্ত্রীকেও ধাক্কা দিয়ে টানা হেচড়া করে লাি ত করে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ রায়হান ফারুক, শমসেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ ও শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে ফোনে জানালে তারা ঘটনাস্থলে এসে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য বাসা তালাবদ্ধ করে রাখেন। লালন বাসার ভাড়া ও প্রতারনা করে নেয়া দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে নানা টালবাহানা এবং প্রবাসীকে নানাভাবে হয়রানির চেষ্টায় লিপ্ত বলে দাবি করেন।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে লালনুর রহমান বলেন, বাসার মালিক আক্তার উদ্দীন বাবু বাসার কাজ করানোর জন্য আমার কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ধার নেয়। টাকা না দিয়ে বাসায় এসে আমাকে ও আমার ছেলেকে মারধোর করে লুটপাট করেছে। বর্তমানে মৌলভীবাজার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে তিনি জানান।
শমসেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ বলেন, পুলিশ আমাকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসা তালাবদ্ধ করে রাখি।
জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষির উপর নির্ভর করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষকদের উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। খেটে খাওয়া মানুষ আজ পেটে ভরে ভাত খেতে পারছে। এক সময় জমি আবাদ পড়ে থাকত। এখন আর সেই সুযোগ নেই। প্রতি জমিতে ফসল ফলানো হচ্ছে। এজন্য সরকার ভূর্তকি দিয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করছে। বিনামূল্যে সার, বীজ ও কৃষি প্রণোদনা হিসাবে নগদ অর্থ দিচ্ছে। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গরীব দু:খী মানুষের সেবা করে যাচ্ছে। তিনি শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিস এর আয়োজনে রবি/২০১৯-২০২০ মৌসুমে ভূট্টা, সরিষা, সূর্যমূখী, শীতকালীন মুগ ও খরিফ-১ মৌসুমী গ্রীস্মকালীন মুগ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আছলম ইকবাল মিলন, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমদ, কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, উপজেলা বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অ:দা:) নিলুফা ইয়াসমিন মোনালিসা (সুইটি), উপসহাকারী কৃষি কর্মকর্তা পূর্ণ চন্দ্র সিংহ, কৃষক উস্তার মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ২০০ জনকে ২ কেজি করে ভুট্টা, ৩৫০ জনকে ১ কেজি করে সরিষা, ১৫ জনকে ১ কেজি করে সূর্যমূখী, ৬০ জনকে ৫ কেজি করে শীতকালীন মুগ ও ৩০ জনকে ৫ কেজি করে গ্রীষ্মকালীন মুগ এর সঙ্গে প্রতি কৃষককে ডিএপি সার ২০ কেজি, এমওপি সার ১০ কেজি প্রদান করা হয়।
“রাঙ্গিয়ে দিয়ে যাও” এই শ্লোগানকে ধারণ করে প্রবীন জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রম এর আওতায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নে হীড বাংলাদেশ ও পিকেএসএফ এর অর্থায়ণে ১১৭ জন অসহায় প্রবীনদের মাঝে হুইল চেয়ার, ওয়ার্কিং স্টিক ও কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার(৩০ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে প্রবীন কর্মকর্তা মানিক প্রসাদ পাল এর সঞ্চালনায় ও এলাকা ব্যবস্থাপক, সিলেট-১ মি.তপন সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হীড বাংলাদেশ এর লিয়াজো অফিসার এ্যান্ড কেপিএম ম্যানেজার মো.নুরে আলম সিদ্দিকী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ, কমলকুঁড়ি পত্রিকার সম্পাদক পিন্টু দেবনাথ ও ইউপি সদস্য মনীন্দ্র কুমার সিংহ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হীড বাংলাদেশ সমৃদ্ধি কর্মসূচির সমন্বয়কারী মি: লেবিও বৈদ্য।
এছাড়াও হীড বাংলাদেশ সমৃদ্ধি কর্মসূচির সদস্য, সাংবাদিক এবং উপকারভোগী প্রবীন সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দু’জনকে হুইল চেয়ার, ৩৫ জনকে হাতের লাঠি এবং ৮০ জনের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়।
চা শ্রমিকদের জীবন মান দেখতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের তিনটি চা বাগানের চা শ্রমিকদের বসত ঘর ও একটি হাসপাতাল পরিদর্শণ করেন নিম্মতন মজুরি বোর্ড চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। শনিবার(৩০ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে শুরু করে নিম্নতম মজুরি বোর্ড চেয়ারম্যান এর নেতৃত্বে সদস্যরা শমশেরনগর চা বাগান, কানিহাটি চা বাগান, কানিহাটিস্থ ডানকান ব্রাদার্সের ক্যামেলিয়া ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও মাধবপুর ইউনিয়নের পদ্মছড়া চা বাগান পরিদর্শণ করেন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে এই প্রথম গত ১৭ অক্টোবর ২০১৯ চা শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরী বোর্ড গঠন করে তা ২২ অক্টোবর গ্যাজেটভুক্ত করা হয়েছে। নিম্নতম মজুরি বোর্ডে চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাম ভজন কৈরীকে সদস্য করা হয়। গত ১৯ নভেম্বর এই মজুরী বোর্ডের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। চা শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদককে বোর্ডের সদস্য মনোনিত করায় গত ২২ নভেম্বর থেকে চা শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে সমাবেশ করে তাদের দৈনিক মজুরী কমপক্ষে ৩০০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়ে আসছে।
এমতাবস্থায় শনিবার সকাল ১১টায় নিম্নতম মজুরি বোর্ড চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুল ইসলাম শমশেরনগর, কানিহাটি ও পদ্মছড়া চা বাগান পরিদর্শণ করেন। এসময় বোর্ডের সদস্য রাম ভজন কৈরী ও তাহসিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও চা শ্রমিক নেত্রী গায়ত্রী রাজভর, নির্মল দাশ পাইনকা, সীতারাম বীন, গোপাল কানুসহ নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। নিম্নতম মজুরি বোর্ড চেয়ারম্যান ও সদস্যরা বেশ কয়েকটি শ্রমিক ঘর পরিদর্শণ করে চা শ্রমিকদের সাথে একান্তভাবে তাদের জীবন মান নিয়ে কথা বলেন। বোর্ড চেয়ারম্যান ও সদস্যরা কানিহাটি চা বাগানস্থ ব্রিটিশ মালিকানাধীণ ডানকান ব্রাদার্সের পরিচালিত ক্যামেলিয়া ডানকান ফাউন্ডেশন হাসপাতাল পরিদর্শণ করে চা শ্রমিক রোগীদের চিকিৎসা সেবার মাণও দেখেন।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলাই ভ্যালির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা ও চা শ্রমিক নেতা সীতারাম বীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে চা শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাই চা শ্রমিকরা এই বোর্ডের কাছে দৈনিক মজুরি কমপক্ষে ৩০০ টাকা করে দাবি করছে। সরেজমিন বোর্ড চেয়ারম্যান ও সদস্যরা চা শ্রমিকদের জীবন মান প্রত্যক্ষ করেছেন। তাই আশাকরা যায় এর পর চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি সম্মানজনক পর্যায়ে নির্ধারিত হবে।
নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সদস্য রাম ভজন কৈরী বলেন, বোর্ড চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে শনিবারের পরিদর্শণ ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মজুরির বিষয়ে চা শ্রমিকদের দাবি যৌক্তিক। তিনি মনে করেন এক ধাপে না হলেও পর্যায়েক্রমে চা শ্রমিকদের দাবি পূরণ করবে বোর্ড।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে “সুরক্ষিত থাকুক আমার মা-বোন” এই শ্লোগান নিয়ে ইনার হুইল ক্লাব অব মৌলভীবাজার এর উদ্যোগে শতাধিক শিক্ষার্থী মেয়েদের মাঝে মেন্সট্রয়েশন সচেতনতা ও স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হয়। সোমবার বিকাল ৩ টায় মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সোবহান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জান্নাতুল নাঈম।
সংগঠনের গার্স গাইডস সম্পাদক মাধুরী মজুমদার ও সহকারী শিক্ষিকা দিপ্তী রাণী সিনহার স ালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সালেহ এলাহী কুটি, ইনার হুইল ক্লাব অব মৌলভীবাজার এর সভাপতি নিলুফার জেসমিন মুক্তি, সহ-সভাপতি ইসমত আরা মুন্নি, সাধারণ সম্পাদক শাহরিন সুলতানা সুমি, ট্রেজারার সুজিতা ভট্টাচার্য্য ও সদস্য সৈয়দা ইয়াসমিন আক্তার প্রমুখ।
নানা কারণে চা বাগানের মেয়েরা ও নারীরা সু-রক্ষিত নয়। তাদের কথা ভেবেই ইনার হুইল ক্লাব অব মৌলভীবাজার পক্ষ থেকে মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির শতাধিক ছাত্রীর মাঝে মেন্সট্রয়েশন সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা করা হয়।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা-২০১৯ এ উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন পতনঊষার ইউনিয়নের মাইজগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ফেরদৌস খান। শিক্ষা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবেই তাকে উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক ক্যাটাগরিতে নির্বাচন করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হকের উপস্থিতিতে তাঁর কার্যালয়ে ৮টি বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব নির্বাচন করা হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রামভজন কৈরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিছ বেগম, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম তালুকদার, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মো. ইকবাল হোসেন, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার জয় কুমার হাজরা, উপজেলা স্কাউটস সম্পাদক মোশাহীদ আলীসহ শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বাছাই কমিটির সদস্যবৃন্দ।
কমলগঞ্জ উপজেলায় অন্যান্য বিভাগে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠরা হলেন- শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা গোবর্ধ্বনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুজিতা সিনহা, শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক দর্গাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ রুহুল আমীন, শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা কমলগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা খায়রুন নাহার, শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় কুমড়াকাপন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রেষ্ঠ এসএমসি ১নং মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক ছয়কুট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ ফয়ছল আল কয়েছ চৌধুরী ও শ্রেষ্ঠ ঝরেপড়া রোধ হকতিয়ারখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা-২০১৯ এর কমলগঞ্জ উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: সাইফুল ইসলাম তালুকদার জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা ২০১৯ সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৯ এ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা পর্যায় শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন মো. রুহুল আমীন। তিনি পতনঊষার ইউনিয়নের দর্গাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
এছাড়া তিনি উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে বিষয়ভিত্তিক (বাংলা) প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি (রেজি: নং এস-১২০৬৮) এর কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রুহুল আমীন। ২০০৪ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত হন। শিক্ষকতা পেশায় যোগদানের পর থেকে বেশ সুনামের সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন মেধাবী এই শিক্ষক।
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা-২০১৯ এর কমলগঞ্জ উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: সাইফুল ইসলাম তালুকদার জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হিসেবে মো. রুহুল আমীন নির্বাচিত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভার কুমড়াকাপন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রাখমিক বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৯ এ উপজেলা পর্যায়ে বাছাই পর্বে প্রাথমিক শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়ন, বিভিন্ন উদ্ভাবন, ভাল শিখনসহ সার্বিক বিবেচনায় বিদ্যালয়টিকে কমলগঞ্জ উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসাবে ঘোষনা করা হয়। কমলগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একাধিকবার এই বিদ্যালয়ের এসএমসি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ এসএমসি নির্বাচিত হয়েছিল।
কুমড়াকাপন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘ দিন ধরে প্রতিটি ক্ষেত্রে সুনাম অক্ষুন্ন রেখে চলেছে। বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল, বন্ধু শিক্ষক কার্যক্রম, কাব কার্যক্রম, হলদে পাখির দলসহ নানামুখী শিক্ষণীয় কার্যক্রম চলমান।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনজুর আহমেদ আজাদ মান্না বলেন, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন কার্যক্রম করে আসছি। যার ফলে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া শূণ্যের কোঠায় এবং উপস্থিতি শতভাগ। সকলের দোয়া ও ভালবাসা নিয়ে আমরা বিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
আলাপকালে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পৌর কাউন্সিলর মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা খুবই আন্তরিক। বিদ্যালয়ের সুদক্ষ প্রধান শিক্ষক সালেহা মাহমুদ এর নেতৃত্বে শিক্ষার মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষক, অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটি, পিটিএ কমিটিসহ সকলের সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হওয়ায় আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।