টিআইবি" />
হারুনূর রশীদ: বুধবার ২৯শে জুন ২০১৬: ১১.৫৬::
আমাদের সংস্কৃতিতে ‘মন্দের ভাল’ বলে একটা কথা আছে। বাক্যের শব্দগন্ধেই বুঝা যাচ্ছে মানেটা কি। এক কথায়, খারাপ হলেও বিশেষ কিছু কারণে ভালই। ঠিক তেমনি আমাদের ‘ট্রেন্সপারেন্সি ইন্টারনেশনেল বাংলাদেশ’ সংক্ষেপে টিআইবি তাদের ২০১৫ সালের গবেষণা দলিল প্রকাশ করেছেন।
আমাদের সংস্কৃতিতে ‘মন্দের ভাল’ বলে একটা কথা আছে। বাক্যের শব্দগন্ধেই বুঝা যাচ্ছে মানেটা কি। এক কথায়, খারাপ হলেও বিশেষ কিছু কারণে ভালই। ঠিক তেমনি আমাদের ‘ট্রেন্সপারেন্সি ইন্টারনেশনেল বাংলাদেশ’ সংক্ষেপে টিআইবি তাদের ২০১৫ সালের গবেষণা দলিল প্রকাশ করেছেন।
তাদের ওই গবেষণায় এবার বেরিয়ে এসেছে নতুন করে অতি পুরনো একটি সেবাখাত ‘বাংলাদেশ পাসপোর্ট বিভাগ’ বিভিন্ন দুর্নীতির সেরা আখড়া হিসেবে। তাদের হিসেবে বাংলাদেশ পাসপোর্ট বিভাগ দেশের মধ্যে ২০১৫সালে সবচেয়ে দাগী দুর্নীতিগ্রস্থ দপ্তর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
আর মন্দ নয় এজন্যই যে বাংলাদেশ এখনও দুর্নীতির ভাগাড় থেকে সরে আসতে পারেনি। দুর্নীতি কোথায় নেই। আর বাংলাদেশে সেরা দুর্নীতিবাজ কোন দপ্তর তা কাউকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবেনা। আমাদের পুরো সমাজ ভাল করেই জানে ও বুঝে মানুষের মধ্যে কোন ধান্ধার মানুষগুলো বেশী খারাপ আর সরকারের কোন দপ্তর বেশী খারাপির মধ্যে নিমজ্জিত আছে। এর পরও টিআইবি ২০১৫সালের জন্য বেচে নিয়েছিলেন বাংলাদেশ পাসপোর্ট দপ্তরকে। তাদের এই পছন্দকে কোন ভাবেই সাধুবাদ জানানো যায়না এজন্য যে পাসপোর্টের কারণে জনসাধারণের বিপুল অংশ দৈনন্দিন দূর্ভোগ পোহায় না। টিআইবি’র কর্মকর্তা কর্মচারী সকলেই আমাদের বাংলাদেশের মানুষ। তারা অবশ্যই জানেন ও বুঝেন দেশের কোন সেবা খাত কতটুকু দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। সব জেনেশুনেই তারা পাসপোর্ট দপ্তরকে বেচে নিয়েছিলেন ২০১৫ সালের জন্য। এ প্রসঙ্গে শুধু একটি কথা বলতে চাই, তারা কি পারতেন না দুর্নীতিগ্রস্থ আমাদের স্বাস্থ্য খাত কিংবা ব্যাংকিং খাত অথবা যোগাযোগ খাতকে বাচতে? পারতেন, কিন্তু করেননি! আমরা বলবো এখানেই তারা আপোষকামী হয়ে কাজ করেছেন। আসল ও প্রধান সমস্যার দিকে না গিয়ে শুধুমাত্র দায় সারতে গিয়েই এ কাজটুকু করেছেন। সংবাদসেবি হয়ে এর বেশী আমরা আর কি করতে পারি।