পাকিস্তানী আমলে নির্মিত বাংলা ভাষার প্রথম সবাক চলচ্চিত্র “মুখ ও মুখোশ”এর নায়িকা জওরত আরা চলে গেলেন না ফেরার দেশে। গত ১৯ জুলাই সোমবার লন্ডনের একটি হোমে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন(ইন্নালিল্লাহে…রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছরেরও উপরে। বাংলা চলচ্চিত্রের কীর্তিময়ী এই নায়িকা বহু বছর ধরে যুক্তরাজ্যের নোরফক এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। যুগান্তর তার পারিবারিক বন্ধু ফেরদৌসকে উদ্ধৃত করে খবরটি প্রকাশ করেছে। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মুখ ও মুখোশ ছবিতে নায়িকা জহরত আরা। ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
কেয়ার হোমে যাওয়ার আগে জহরত থাকতেন নরউইচে আর সেখানেই তাকে দাফন করা হবে বলে পরিবারের বরাত দিয়ে ফেরদৌস যুগান্তরকে বলেছেন। আব্দুল জব্বার খান পরিচালিত ‘মুখ ও মুখোশ’ ১৯৫৬ সালের ৩ আগষ্ট মুক্তি পেয়েছিল। এটিই হলো পাকিস্তানী আমলে বর্তমান বাংলাদেশে নির্মিত বাংলা ভাষায় প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সবাক চলচ্চিত্র। সে সময়ের পূর্বপাকিস্তানের গভর্নর শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ঢাকার রূপমহল সিনেমা হলে এটির উদ্বোধন করেছিলেন। ১৯৫৪ সালের ৬ আগষ্ট ঢাকার শাহবাগ হোটেলে মুখ ও মুখোশের মহরত হয়েছিল। জহরতের নাটকে অভিজ্ঞতা আগে থেকেই ছিল। একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবেও তার পরিচিতি ছিল। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে মহান ভাষা আন্দোলনেও শিল্পী জহরত অংশ নিয়েছিলেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বহুল প্রশংসিত হলেও পরে তাকে আর কোন ছবিতে দেখা যায় নি। জহরতের বিয়ে হয়েছিল সে সময়ের সরকারি কর্মকর্তা ডেভিড খালেদ পাওয়ারের সাথে। চার দশকেরও বেশী সময় ধরে তারা লন্ডনে বসবাস করে আসছিলেন। |