হারুনূর রশীদ: ২১শে জুন২০১৬: ১২.৫৬::
নবান্নের দাওয়াত পেয়ে গেল সোমবার দিল্লী থেকে কোলকাতা গিয়েছিলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের দূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী। সঙ্গে ছিলেন দিল্লীর ডেপুটি সালাউদ্দীন নোমান চৌধুরী। কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার জকি আহাদও ওই নেমন্ত্রণে সঙ্গে ছিলেন।
যুগান্তকারী ভোটে দ্বিতীয় বারের মত মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হবার পর এই ছিল জনাব মোয়াজ্জেমের প্রথম সাক্ষাত। নবান্ন সূত্রের বরাত দিয়ে বর্তমান লিখেছে, খুবই আন্তরিক আলাপ-আলোচনায় উঠে আসে তিস্তার পানি বন্টন, ভারতে ইলিশ রপ্তানী, ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে খুনের চিঠি ইত্যাদি প্রসঙ্গ।
ওই সূত্রের খবর, সৈয়দ মোয়াজ্জেম মূখ্যমন্ত্রীকে বলেছেন যে বাংলাদেশের মানুষ তিস্তার গিট খোলার বিষয়ে তার উপরই সব সময় ভরসা করে আসছে। এ বিষয়ে তার উপর বাংলাদেশের অটুট আস্থা রয়েছে। একমাত্র তার হস্তক্ষেপেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে জানান তারা। ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস’এর পাঠানো উড়োচিঠির বিষয়ে সেদেশের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে তাঁদের আলাপের বিষয়টিও মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে ভুল করেননি সৈয়দ মোয়াজ্জেম।
ওই নবান্নসূত্র আরও বলছে, নেমতন্ন বৈঠকে তাঁদের হৃদয়তাপূর্ণ আলাপে আরো উঠে আসে সৃষ্টির সেরা গঙ্গাবিধৌত বাঙ্গালীর রসনা তৃপ্তির উতকৃষ্ট উপাদান ইলিশ মাছের বিষয়টি। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ইলিশ বিষয়ে তার আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন। মোয়াজ্জেম বলেছেন বাংলাদেশ সব সময় প্রস্তুত ইলিশ রপ্তানীর জন্য। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বন্দরগুলোর পরিকাঠামো ও ব্যবস্থাপনা মানসন্মত না হলে ইলিশ আনা বিফলে যাবে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী নিজেই দেখবেন বলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে জানান। নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে দ্বিতীয়বারের মত মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় মমতা বন্দোপাদ্যায়কে অভিনন্দন জানান বাংলাদেশের এই প্রতিথযশা কূটনীতিক।