লন্ডন: খবরটি একটু পুরানো। সপ্তাহখানেক আগের। কিন্তু স্থিতিশীল শান্তিকামী গণতান্ত্রীক সভ্য সমাজ গড়ে তুলতে এসবের অতীব প্রয়োজন। তাই সপ্তাহ আগের হলেও খবরটির আবেদন নিঃশেষ হয়ে যায়নি। যদিও খবরটি বিশাল কোন উদাহরণ নয়। দুনিয়ার দেশে দেশে এ নমুনার অনেক উদাহরণ আছে। তবুও কেনো জানি মনে হয়েছে আমাদের বুঝার ও শেখার অনেক কিছুই আছে এ শাস্তিতে। তাই এ ভূমিকা।
বৃহত্তর লন্ডনের একটি বরো কাউন্সিল “হেমারস্মীথ ও ফুলহাম কাউন্সিল”। আমাদের অনেকেরই জানা আছে এখানের বরো কাউন্সিল অনেকটা বাংলাদেশের ইউনিয়ন কাউন্সিলেরই সমান। কিন্তু যেহেতু দুনিয়ার সেরা একটি রাজধানী শহরের লাগোয়া এই শহর তাই তার ঢাক-ঢোলও অনেক বেশী। আমাদের ইউনিয়ন কাউন্সিল থেকেই নয় আমাদের সেরা সেরা পৌরসভা থেকেও অনেক বেশী উন্নত। কিন্তু আইনের শাসন এখানে গড়ে উঠা সমাজের মূল মন্ত্র। সকল মূল্যবোধের গোড়ার কথা ন্যায় ভিত্তিক আইনের শাসন।
আর তাই, গত ১৪ই জুন নিকোলাস লি মেনসইচ-ফিল্ড নামের একজন পুলিশকে চাকুরীতো হারাতে হয়েছেই এর পরও আলিঙ্গন করতে হয়েছে সাড়ে চার বছরের শাস্তি। গত ২১ এপ্রিল শুক্রবার রিডিং ক্রাউন কোর্ট এ সাজা দেয়। তার এ সাজার হেতু হল তিনি পুলিশ হিসেবে দায়ীত্বপালনকালে পেশাদারী মানদন্ডের বাহিরে গিয়ে কাজ করেছেন। পুলিশ হিসেবে দায়ীত্বপালনরত অবস্থায় তিনি যৌনহয়রানী মূলক কাজের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। এই অপরাধের কারণে কারাদন্ড ছাড়াও আজীবন তার নাম যৌনহয়রানীকারকদের তালিকায় থাকবে।
বিচারক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত বলে সাব্যস্ত করে রায়ে লেখেন, সাধারণ মানুষ পুলিশের উপর যে বিশ্বাস রাখে সে, মানুষের ওই বিশ্বাস ভঙ্গ করে পুলিশী সেবার মর্যাদা ও সুনামহানি করে পুলিশ পেশাদারীত্বের মানদন্ড লঙ্গন করেছে। অতএব বিচারক তার সাজার সাথে বিনা নোটীশে চাকুরীচ্যুতিরও আদেশ দেন।