1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
দেশের ৬২৫জন হুন্ডি ব্যবসায়ী, মুদ্রাপাচারকারী এখন কি অবস্থায় আছেন? - মুক্তকথা
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৪ অপরাহ্ন

দেশের ৬২৫জন হুন্ডি ব্যবসায়ী, মুদ্রাপাচারকারী এখন কি অবস্থায় আছেন?

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
  • ১৪৫৭ পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার।।  ৪ঠা এপ্রিল বুধবার ২০১৮ তারিখে যুগান্তরের বরাত দিয়ে এনবিএস ছেপেছিল এ খবরটি। এর পর ১৯শে মে শনিবার ২০১৮ দৈনিক ইত্তেফাক এই একই খবর, সংখ্যায় ৫জন বাড়িয়ে দিয়ে আরো কিছু আনুসাঙ্গিক যোগ করে প্রকাশ করেছিল। বণিকবার্তাসহ আরো বহু সংবাদ মাধ্যমে খবরটি খুবই গুরুত্ব সহকারে ছাপা হয়েছিল। এরপর আর কোন সংবাদপত্রে বা গণমাধ্যমে এ বিষয়ের উপর সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রতিকারমূলক কিছু পা‌ওয়া যায়নি।
সেদিন এনবিএস লিখেছিল সারা দেশে ৬২০ চোরাকারবারি, মুদ্রা পাচারকারী ও হুন্ডি ব্যবসায়ীর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়াও শুরু হয়েছে। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান চালানো হবে। এসব অপরাধীর মধ্যে চক্রের প্রধান বা মূল হোতা ৭৫জন। বাকিরা সদস্য।
সাংবাদিক জামিউল হাসান শিপুর নামে ইত্তেফাক শিরোনাম দিয়েছিল-‘৬২৫ হুন্ডি ব্যবসায়ীর হাতে পাচার ৫০ হাজার কোটি টাকা, টাস্কফোর্স গঠন করে গ্রেফতারের নির্দেশ।’ এরপর লিখেছিল, বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচার হয়। এই হুন্ডির কাজে জড়িত ৬২৫ জন ব্যবসায়ী। সারাদেশে অবৈধ পন্থায় এই ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছেন। কাগজপত্রের মাধ্যমে লেনদেন না হওয়ায় এ প্রক্রিয়ায় টাকা পাচার করা হলে তা শনাক্ত করতে পারে না আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বিষয়টি তদন্ত করে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ৬২৫ জন হুন্ডি ব্যবসায়ীর একটি নামের তালিকা প্রণয়ন করেছে। এই ৬২৫ হুন্ডি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে টাস্কফোর্স গঠন করে তাদেরকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এনবিএস আরো লিখেছিল চক্রের মূল হোতা বা সদস্যদের মধ্যে আছেন কতিপয় রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, পুলিশ সদস্য, ব্যাংক কর্মকর্তা, কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা, সিএন্ডএফ এজেন্ট এবং ইমিগ্রেশনের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী। অপরাধীরা এজেন্ট এবং সাব-এজেন্টের মাধ্যমে টাকা ও বিদেশি মুদ্রা ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করছে। ওই টাকার একটি বড় অংশ দিয়ে কেনা হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক। আর এসব অস্ত্র জঙ্গিদের হাতে চলে গিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের অভিমত।
ওই একই কথাই একটু ভিন্ন ভাষায় ইত্তেফাক লিখেছিল- ‘হন্ডির মাধ্যমে লেনদেনের ফলে পাচারকৃত অর্থের একটি অংশের বিনিময়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদক। এসব অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরক বিভিন্ন হাত হয়ে শীর্ষ স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। জঙ্গিদের হাতে এসব অস্ত্র চলে গিয়ে দেশের নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে পড়ছে। এছাড়া বাংলাদেশে অবস্থানকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের আত্মীয়-স্বজন ভারতে বসবাস করায়, তাদের অর্জিত সম্পদ ও আয় ভারতে পাঠিয়ে সঞ্চয় করতে নিরাপদ বোধ করেন। এ ধরনের অর্থের প্রায় অধিকাংশই হন্ডির মাধ্যমে পাচার হয়ে থাকে বলে সরকারের ওই প্রতিবেদন বলা হয়।’
সেদিন এনবিএস আরো লিখেছিল, বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার সে তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চোরাকারবারি, হুন্ডি ব্যবসায়ী ও মুদ্রা পাচারকারী চক্রের সদস্যরা চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। এই বিভাগে তাদের সংখ্যা ১৬৭ জন। তাদের মধ্যে কক্সবাজার জেলায়ই আছে ৬১ জন। সিলেট বিভাগে তাদের তৎপরতা সবচেয়ে কম। এই বিভাগে তাদের সংখ্যা ৪২ জন। তাছাড়া ঢাকা বিভাগে (ময়মনসিংহসহ) ৮২, রাজশাহীতে ৯২, রংপুরে ৮১, বরিশালে ৪৭ এবং খুলনা বিভাগে এ চক্রের ১০৯ জন গডফাদার বা সিন্ডিকেট সদস্য সক্রিয় আছে।
বহু সংবাদ মাধ্যম সেদিন একেবারে নাম-ধাম দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছিল।
সিলেট বিভাগে যারা এই হুন্ডি, চোরাকারবার কিংবা মুদ্রাপাচারেরমত দেশ ও সমাজ বিরুধী কাজে লিপ্ত আছেন তাদের নাম দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছিল সংবাদমাধ্যমগুলো। এরা হলেন- জকিগঞ্জের মুক্তাদির আহমেদ শামীম, আতিকুর রহমান আতিক, সেলিম খান, হারুনুর রশিদ, জয়নাল আবেদীন, হারিছ আলী, আমীর আলী ও  হারিছ আলী।
মৌলভীবাজারের মিশনপাড়ার ইয়াওর রহমান, কমলগঞ্জের বিজয়, কুলাউড়ার রোমান মিয়া, শ্রীমঙ্গল বকুল পাল, উত্তর মুলায়েম পুরের বাচ্চু মিয়া, ডা. আব্দুল আহাদ, শাহ মোস্তফা টাওয়ারের মুহাইমিন, কুলাউড়ার শামীম, সুমন আহমদ ও শমসেরগঞ্জের মোহাম্মদ আব্দুর রহিম।
সুনামগঞ্জের বানিয়াচং থানার মোস্তাক আহমেদ, ইমরান আহমেদ, নবীগঞ্জের বাবুল মিয়া, চুনারুঘাটের জাবেদ খান, মাধবপুরের জসিম উদ্দিন, সুমন মিয়া, ডালিম মিয়া, ফরিদ মিয়া ও শাহজাহান মিয়া।
অবশ্য এ বিষয়ে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক  তখন এনবিএস-এর কাছে বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন সব সময় আমার কাছেই থাকেন। যদি আমার বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যেত তাহলে নিশ্চয়ই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেউ মুদ্রা পাচারের প্রমাণ দিতে পারলে তাকে ওই পরিমাণ টাকা দিয়ে দেব।’
‘যুগান্তর’ জানতে চাইলে ওই সময়েই পুলিশ সদর দফতরের এআইজি সহেলী ফেরদৌস এক  শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেছিলেন, এ বিষয়ে আমি বিস্তারিত জানি না। খোঁজ নিয়ে বলতে হবে। তবে মন্ত্রণালয় থেকে যদি তালিকা এসে থাকে তবে নিশ্চয়ই সে অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এর পর পাঁচমাস চলে গেছে আজ অবদি কোন প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ কোন দফতর নিয়েছে এমন কোন সংবাদ কোন মাধ্যমে পাওয়া যায়নি।  তথ্যসূত্র: যুগান্তর, ইত্তেফাক ও এনবিএস

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT