হারুনূর রশীদ।।
দুই গুপ্তধন খেকো পিতর কোপার আর এন্ডিজ রিকটার দুনিয়ার মানুষের বিশেষকরে ধনখেকোদের নজর কেড়েছেন আজগুবি এক তথ্য তুলে ধরে। তাদের দাবী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রাশানদের ভয়ে নাজী জার্মানরা পোলান্ড ছেড়ে যাবার সময় তাদের লুন্ঠিত সব সোনা-দানা, মণি-মুক্তাসহ লক্ষ সহস্র কোটি টাকার মূল্যবান সব সম্পদ একটি ট্রেনে বোঝাই করে গভীর গর্তে ট্রেনটিকে পোতে রেখে পলায়ন করে। আর তারা না-কি গুপ্তধন বোঝাই সেই ট্রেনের সন্ধান পেয়েছে। শুধু কি তাই, তারা মোটামুটি সেই জাগার মাটি খুড়তে শুরু করে দিয়েছে।
তাদের দাবী মতে দক্ষিন পোলান্ডের ওয়ালবরজিখ শহরের কাছাকাছি রেল লাইনের কোন এক পাশেই রয়েছে পোঁতে রাখা ওই ট্রেনটি। স্থানীয় লোকমুখে প্রচলিত কাহিনী আছে যে যুদ্ধের শেষের দিকে যখন রাশান লাল ফৌজ প্রচন্ড আঘাত হেনে পোলান্ডে প্রবেশ করছিল ঠিক তখনই নাজীরা পাহাড় ঘেরা শহর ওয়ালবরজিক দিয়ে একটি ট্রেনে আসে পালিয়ে আসে কিন্তু পরে ওই ট্রেনটিকে আর দেখা যায়নি। উদাও হয়ে যাওয়া ওই ট্রেনটিকে আর কোনদিন পাওয়া যায়নি, আজ অবদি কোথায়ও দেখাও যায়নি। স্বাভাবিক প্রশ্ন এত বড় ট্রেনটি তা’হলে গেল কোথায়? লোকমুখের ওই কাহিনীর উপরই ভিত্তিকরে গুপ্তধন সন্ধানী ওই দুই জন খোঁজ শুরু করে বেশ কয়েক বছর আগ থেকে। তাদের দাবী বহু অনুসন্ধানের পর তারা অবশেষে লুকিয়ে রাখা ওই ট্রেনটির খোঁজ পেয়েছে।
ট্রেনের হদিস পাওয়া সংক্রান্ত তাদের ঘোষণার পর খনিখনন বিদ্যালয়ের একটি ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিশেষজ্ঞদল গবেষণা চালায় এবং কোপার আর রিক্টারের দাবীকে উড়িয়ে দিয়ে বলে যে ওখানে কোন ভূগর্ভস্থ ট্রেনের সন্ধান তারা পায়নি।
কোপার ও রিক্টার তাদের দাবীর উপর এখনও একশতভাগ আস্থাশীল। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলেই খনন কাজ শুরু করবে বলে তাদের ওয়েবসাইটে ঘোষণা দিয়েছে।
কোপার ও রিক্টারের বিশ্বাস ওই ট্রেনটি দৈর্ঘ্যে ৩শত ফুট লম্বা ছিল এবং ২৬ফুট উঁচু ও ১৯ফুট প্রশস্ত একটি টানেলে ট্রেনটি আছে।
যুদ্ধের সময় নাজীরা ওখানে “রীজ” নামের অজ্ঞাতকারণ একটি প্রদর্শনীর কাজ শুরু করে এবং ভূগর্ভে গোলকধাঁধাতুল্য দালান ও সর্পিল পথবিশিষ্ট খননকাজ শুরু করেছিল। তখন ওই ভূমি জার্মানীর ছিল। কিন্তু ওই খননকাজ করার কারণ আজও সকলের কাছেই অজানা এক রহস্য।