জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ তাজিরুল ইসলাম আ’লীগের শাসনামালের সমালোচনা করে বলেছেন, বিগত ১৫-১৬ বছরে ডিজিটাল দূর্নীতি ডিজিটাল চুরি হয়েছে। গুম-খুনসহ লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। আপনি নামাজ পড়বেন, রুজা রাখবেন আর পকেটে ঢুকাবেন। এ হয় না। তাই মুসলমানদের ঘরে জন্ম নিলেই মুসলমান হওয়া যায়না। মঙ্গলবার মৌলভীবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন তিনি।
![]() |
তাজিরুল বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাস কেন? হালুয়া রুটি খবার জন্য ? এটাই কি আমাদের মাথায় ছিল? মুক্তিযুদ্ধেও পর থেকেই অর্থনৈতিক বৈষম্য ছিল। এখনো বৈষম্যহীন সমাজ কি আমরা পেয়েছি। এখনো আমরা অনেক খারাপ অবস্থায় আছি।
পরিষদ সম্পাদক আরও বলেন, আমরা চাই দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়তে। একদল সৎ লোক তৈরি করতে। সৎ লোকের শাসন পরিচালনা করতে। তাই আমাদের (জামায়াতের) দুজন মন্ত্রী ছিলেন। সবাইকে দুর্নীতিতে পাওয়া গেলেও উনাদের মন্ত্রনালয়ে কোন দুর্নীতি পাওয়া যায়নি। শেখ মুজিবের সমালোচনা করে মোঃ তাজিরুল বলেন, পার্লামেন্টে দাড়িয়ে শেখ মুজিব ১০ মিনিটের মধ্যে গণতান্ত্রিক দল উপহার দিয়েছিলেন। সে দলটির নাম ছিল বাকশাল। এই স্বৈরশাসন করেই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।
তিনি বলেন, উনার মেয়ে(হাসিনা) এসে ১৬ বছর শাসন করে দিনের ভোট রাতে দিলেন। গুম-খুন আর চাঁদাবাজি অর্থপাচারসহ দলকে নানা সুযোগ সুবিধা দিলেন। আমরা চাই আখেরাতে নাজাত। তাই মুসলমানদের ঘরে জন্ম নিলেই মুসলমান হওয়া যায়না। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মোঃ ইয়ামীর আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের উপদেষ্টা প্রকৌশলী মোঃ সায়েদ আলী। বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা নাইম উদ্দিন, মোস্তাক আহমদ মমসহ আরও অনেকে।
৭ দফা দাবি আদায়ে
চা শ্রমিক সম্মেলন শেষে লাল পতাকা মিছিল
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, ভূমি অধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য অধিকারসহ মর্যাদাপূর্ণ জীবন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৭ দফা দাবি আদায়ের সংগ্রামকে শক্তিশালী করতে চা শ্রমিক কনভেনশন ও লাল পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
![]() |
আজ রবিবার (২৫ মে) দুপুরে শ্রীমঙ্গল জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত চা শ্রমিক কনভেনশনে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম সংস্কার কমিশনের কমিশন প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমদ।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিপ্লব মাদ্রাজি পাশি এর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের উপদেষ্টা এডভোকেট আবুল হাসান এর সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন রাজেকুজ্জামান রতন।
এসময় বক্তব্য রাখেন বাসদ মৌলভীবাজার জেলা সমন্বয়ক মঈনুর রহমান মগনু, হবিগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক জুনায়েদ আহমেদ, সিলেট জেলা শাখার আহবায়ক আবু জাফর, বাংলাদেশ চা জনগোষ্ঠী আদিবাসী ফোরামের সভাপতি পরিমল সিং বাড়াইক, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি ফ্লোরা বাবলি তালাং প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিক নেতারা তাদের বিভিন্ন দাবি শ্রম সংস্কার কমিশনের কমিশন এর কাছে তুলে ধরেন।
কনভেশনে শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, চা বাগানের শ্রমিকরা তাদের বঞ্চনার ইতিহাস ১৭০ বছরের বেশী সময় ধরে বয়ে বেড়াচ্ছেন। আমি বাংলাদেশ ঘুরে দেখছি শ্রমিকদের দুঃখ বঞ্চনার বিষয়গুলো। চা বাগানে ৭টি ভ্যালি রয়েছে। আমরা এই ৭টি ভ্যালীতে আলাদা আলাদা কনভেনশনের আয়োজন করবো। চা শ্রমিকদের দাবির বিষয়গুলো বাস্তায়ন করতে আমি কাজ করে যাচ্ছি। চা বাগান নিয়ে কাজ করেন এমন সংগঠন ও মানুষদের সাথে আমি আলোচনা করে বেড়াচ্ছি। চা বাগান নিয়ে অনেক প্রকাশনা সংগ্রহ করেছি।
‘নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি, নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি’ এই প্রতিপাদ্যে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার(২৫ মে) সকাল ১০ টায় উপজেলা ভূমি অফিসে এ মেলার আয়োজন করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্ধোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর। ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এ মেলা চলবে আগামী ২৭ মে পর্যন্ত।
এসময় কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ডিএম সাদিক আল শাফিন, কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহব্বায়ক এম এ ওয়াহিদ রুলু, সদস্য সচিব আহমেদুজ্জামান আলমসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
![]() |
জানা গেছে, ভূমি মেলার মূল উদ্দেশ্য হলো ভূমি সংক্রান্ত সেবাসমূহ সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসা। মেলায় আসা নাগরিকরা খুব সহজেই খতিয়ান উত্তোলন, নামজারি, জমা খারিজ, অনলাইনে ভূমি কর পরিশোধসহ প্রয়োজনীয় নানা সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এতে জনগণের হয়রানি কমবে এবং ভূমি প্রশাসনের প্রতি তাদের আস্থা বাড়বে।
কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ডিএম সাদিক আল শাফিন বলেন, তিন ব্যাপী ভূমি মেলায় উপজেলা ও পৌর শহরের সকল নাগরিকবৃন্দ তাদের ভূমি সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা সমাধানসহ ভূমি কর, মিউটেশন, নামজারি ইত্যাদি সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এতে ভূমি অফিসের সাথে জনগণের দূরত্ব দূর হবে এবং সেবা প্রত্যাশীরা সহজে কোন ধরনের হয়রানি ছাড়াই তাদের কাক্সিক্ষত সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর জানান, যেহেতু ভূমি সংক্রান্ত খাজনা প্রদান এবং ভূমি খারিজের লেনদেন সমুহ অনলাইনে সম্পন্ন হয়। সেহেতু কেউ অহেতুক কারো সাথে কোন টাকা পয়সা লেনদেন করবেন না। যদি সমস্যা মনে করেন, আমাদের সাথে সরাসরি যোগযোগ করবেন। আগামী ২৭ মে বিকাল পর্যন্ত উপজেলা ভূমি অফিস চত্বরে স্থাপিত বুথে ভুমি সংক্রান্ত যাবতীয় সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হবে।