লণ্ডন।। নিয়ন্ত্রনহীনতা, ঔদ্ধতা এবং লোভের কারণেই “কেরিলিয়ন” কোম্পানী ভেঙ্গে পড়ে বা ধ্বস নামে। সারা দেশে বন্ধ হয়ে যায় অসংখ্য প্রকল্পের কাজ। এমনই তথ্য বেরিয়ে এসেছে “বৃটিশ সংসদীয় ব্যবসা কমিটি” ও “ওয়ার্কস এণ্ড পেনসন কমিটি”র যৌথ তদন্তে। আজ থেকে প্রায় পাঁচমাস আগে গত জানুয়ারী মাসে বৃটেনের নির্মাণদৈত্য “কেরিলিয়ন” কোম্পানী বন্ধ হয়ে যায়। বহুজাতিক এই নির্মাণ কোম্পানীর কর্মি সংখ্যা ছিল মোট ৪৩হাজার যার মাঝে কেবল বৃটেনেই ছিল ১৯হাজার।
বার্মিংহামের একজন এমপি বার্মিংহাম লাইভকে বলেছেন, গান্ধা পঁচা যৌথব্যবসা সংস্কৃতিই নির্মাণদৈত্য “কেরিলিয়ন”এ ধ্বস নেমে আসার কারণ, যারা “মিডল্যান্ড মেট্রোপলিটান হাসপাতাল” নির্মাণের দায়ীত্বে ছিল।
একটি সাধারণ তদন্তে দেখা গেছে “ছেরিলিয়ন” কোম্পানীর উত্থান ও নজরকাড়া পতন নিয়ন্ত্রণহীনতা, ঔদ্ধত্য এবং লোভের এক মহাকাব্যিক কাহিনী। তাদের ব্যবসার নমুনা ছিল নগদের জন্য যতজোড়ে পারা যায় ছুটাছুটি ফলে একদিকে ঋণের বোঝা বাড়তে থাকে অন্যদিকে যোগানদাতাদের শোষণ করে নেয়া হয় অমানবিকভাবে।
বার্মিংহামের “সিটি হাসপাতাল” ও “সেন্ডওয়েল হাসপাতাল”এর মৌলসেবা ও বিশেষকরে “দূর্ঘটনা ও জরুরী” বিভাগের সেবাকার্যক্রম নতুন এই হাসপাতাল দ্বারা প্রতিস্থাপনের কথা ছিল।
“কেরিলিয়ন” কোম্পানীর এই ধ্বসের ফলে বহু প্রকল্পের ভাগ্যবিড়ম্বনা ঘটবে। বার্মিংহামের একজন ‘জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা” ব্যবস্থাপক ‘বার্মিংহাম লাইভ’কে বলেন, নির্মীয়মান হাসপাতালের কাজ সমাপ্তিতে যত সময় লাগবে ততই তাদের উচ্চমান সম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের দক্ষতা মারাত্মকভাবে হুমকির সম্মুখীন হবে।
জানা গেছে ওই হাসপাতালের কাজ শেষ হতে আরো ১২৫ মিলিয়ন পাউণ্ড প্রয়োজন রয়েছে। ২০১৯সালে উক্ত হাসপাতালের কাজ সমাপ্ত হবার কথা থাকলেও “কেরিলিয়ন”এর এই ধ্বসের ফলে এখন শেষ হতে বাড়তি আরো একবছর সময় বেশী লাগবে যদি কাজ পুরো উদ্যোমেও চলতে থাকে।
গত জানুয়ারীতে “কেরিলিয়ন” কোম্পানীর ধ্বসের পর বৃটিশ সংসদের ব্যবসা সংক্রান্ত কমিটি এবং কর্ম ও অবসর সংক্রান্ত কমিটি যৌথভাবে তদন্ত চালিয়ে দেখেছে কি অদক্ষভাবে আর লোভাতুর আকাঙ্ক্ষায় কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা করা হয়েছিল।
“কেরিলিয়ন” কোম্পানীর এই ধ্বসের ফলে শুধু বার্মিংহামের হাসপাতাল নয় সারা দেশে তাদের পরিচালিত আরো বহু প্রকল্পের ভবিষ্যৎ আপাততঃ অন্ধকারেই ডুবে গেছে বলতে হবে। সংবাদসূত্র: বার্মিংহাম লাইভ