1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
পাথর থেকেই কি প্রানের জন্ম! - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ অপরাহ্ন

পাথর থেকেই কি প্রানের জন্ম!

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২০
  • ১০১৯ পড়া হয়েছে

মুক্তকথা সংগ্রহ।। জীবন, মানে প্রানের কথা বলছি। প্রাণ বা প্রাণী বা জীব! অনন্ত কালের কোন সে লগ্নে কি করে জীবের জন্ম সে জিজ্ঞাসা মানুষের আজন্ম। মানুষের বোধশক্তি যখন মানুষের শরীরে বাসা বাঁধে সে সময় থেকেই মানুষের এ প্রশ্নের শুরু হয়েছিল- কোথা থেকে কেমন কর এলাম? তার পর থেকে আজঅবদি মানুষ খুঁজছে আর খুঁজছে। কেমন করে প্রানের সৃষ্টি হলো?
অন্তহীন সে খোঁজাখুঁজিতে কত হাজার বছর চলে গেছে, মানুষ আজো স্থির কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি প্রানের উৎস কোথা থেকে। জ্ঞানী-গুণীদের কেউ কেউ বলেন মহাশূণ্যে বিদ্যুৎ চমকানি থেকেই প্রানের জন্ম। আবার কেউ বলেছেন, না না না! বজ্র চমকানি থেকে হবে কেনো? অজানা অনন্তের কোন এক সময়ে মহাকাশে আগ্নেয়গিরীর অগ্নোৎপাত থেকে প্রান জন্ম নিয়েছে। পৌরাণিক বা পুস্তকী কাহিনীর তো কোন হিসেব নেই। নিজেদের ধ্যান-ধারণা থেকে কত মুণি ঋষি, জ্ঞানী-গুণী বিজ্ঞানী কতই না কাহিনী তৈরী করে দুনিয়ার মানুষকে জানিয়েছেন প্রান আসলো কোত্থেকে! অনন্তকালব্যাপী মানুষের এ জিজ্ঞাসা কোন সিদ্ধান্তে না পৌঁছা পর্যন্ত চলবে অনাদিকাল ব্যাপী। আর এটাই স্বাভাবিক।
গভীর সমুদ্র তলদেশে রয়েছে অফুরাণ পাথররাশি। থরে থরে সাজানো সে পাথর বিভিন্ন নমুনায়। প্রথম দেখায় মনে হবে কোন কারিগর মনে হয় সাঁজিয়ে রেখেছে। একটু পরেই পলেস্তারা করবে। এমন সাজানো আর কে করবে! পৌরানিকেরা শুনলেই বলবেন, কে আর সাজাবে! অনন্ত অসীম কালের সাক্ষী স্রষ্টা তার শ্বাশ্বত নিয়ম পদ্বতি দিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছেন। কারণ এ পাথরের মাঝেই তিনি লুকিয়ে রেখেছেন প্রানের জনমসুধা অমৃত!

প্রশান্ত মহাসাগরের ২১হাজার ফুট গভীরে সাজিয়ে থাকা পাথররাশি। ছবি: সাউথ চায়না মর্নিং পোষ্ট থেকে

এমন সুন্দর সাজিয়ে রাখা পাথরতলের সন্ধান পেয়েছে একদল চীনা গবেষক। খুব একটা আস্তায় না হলেও চীনা বিজ্ঞানীরা এমন একটা কিছুই মনে করছেন। গভীর সমুদ্রে গবেষণা করতে গিয়ে তারা পেয়েছেন আদিম ও অকৃত্তিম পাথররাশি, যাতে রয়েছে প্রাকৃতিক সৃষ্ট কিছু দ্রব্য! এতেই প্রানের উৎসের নতুন সন্ধান পাওয়ার আশা করছেন তারা। ওই পাথরের উপরে পাওয়া সমৃদ্ধ কার্বনের তারা ব্যাখ্যা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন। তাদের ওই দেখায় তারা অনুমান করছেন যে তেলতেলে ওই সামগ্রী প্রান গঠনের আভাস দেয়। যদি তাই না হয়ে থাকে তা’হলে অন্ততঃ তেল মওজুদের আভাস তো হবেই।
গভীর সমুদ্রের পাথরের সাথে লেগে থাকতে পাওয়া ওই জৈবাশ্ম বা জৈবাঙ্গিক কোন এককোষি(ব্যাকটেরিয়া) প্রান নয়। সকল নমুনার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ শেষে তারা বলেছেন, এ জৈবাশ্নের মত ওই পদার্থ অন্য কোথায়ও থেকে আসেনি বরং পাথর থেকেই সৃষ্টি হয়েছে। “জিওলজি” পত্রিকায় এ মাসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের “গভীর সমুদ্রবিজ্ঞান ও নির্মাণ কৌশল” বিভাগের অধ্যাপক প্যাং জিয়াওতং বলেছেন- প্রশান্ত মহাসাগরের ২১হাজার ফুট গভীরে থাকা অদেখা ওই পাথররাশি হয়তো বা-“প্রান নামক জীবন দালানের প্রথম অংশ নির্মাণ করে রেখেছে।”
সুপ্রাচীন কিংবদন্তীর এই প্রশ্ন- “কোত্থেকে কেমন করে প্রান এলো?” প্রান সৃষ্টির হাজার বছরের পৌরাণিক কাহিনীর বেড়াজাল ভাঙ্গতে ১৯৫৩সালে আমেরিকার সিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ষ্টেনলি মিলার এক গবেষণাধর্মী পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। সেই থেকে জ্ঞানী মহলে প্রানের জন্ম বিষয়ে একটি বদ্ধমূল ধারণা জন্ম নিয়েছিল যে প্রাণের জন্ম সম্পর্কিত সামগ্রী কেবল নড়ে-চড়ে, জীবন্ত এমন একটা কিছু হবেই।
ছাত্র মিলার- মিথেল, এমোনিয়া এবং হাইড্রোজেন পানির সাথে মিশিয়ে তার সাথে কিছু প্রকৃতজাত অর্থাৎ একেবারে আদিম আকর সাবান মিশেল দিয়ে রাখেন। এক সপ্তাহ পরে তিনি দেখেন অন্যান্য দ্রব্যের সাথে এমিনো এসিড হয়ে গেছে। এতে প্রমাণিত হয়েছিল যে প্রানের সৃষ্টি প্রানহীন কোন দ্রব্য-সামগ্রী থেকেও হতে পারে।
কিন্তু বিতর্কের তো শেষ নেই। তখন অনেকেই বললেন যে, পৃথিবীতো ছাত্র মিলারের গবেষণাগার নয়। এই মাটির সাথে কতকিছুই না মিশে আছে। এ মাটিতেইতো সবকিছু রয়েছে।
চীন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিদ্যার অধ্যাপক লু হংবো এক কথার মানুষ। তিনি মানতে রাজী নন যে পাথর থেকে প্রানের সৃষ্টি হয়েছে। তার সেই একই আদি কথা- এ বিশ্বব্রহ্মে যখন পানি সৃষ্টি হয় তখনই প্রানেরও জন্ম হয়েছিল। অবশ্য সবচেয়ে বড় সত্যকথা যা অধ্যাপক লু বলেছেন তা’হলো- “এ সবকিছুইতো অনুমান। আমিও যা বলছি তাও তো অনুমানই।
তথ্য সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোষ্ট
সংগ্রহে:- হারুনূর রশীদ, লণ্ডন, রোববার ১৫ নভেম্বর ২০২০

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT