ব্রিটেনে আজ আরো ১৭২৫ জনের মৃত্যু হলো করোনায়! মোট মৃত্যু সংখ্যা ১লাখ ১হাজার ৮৮৮ জনে দাঁড়ালো!
অনেকেই তাকে নানা নমুনায় দোষ দেন। হাজারো বদনামের ভাগিদার হলেও আজ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন একজন সত্যিকারের মানুষের কাজ করলেন। এ স্বীকারোক্তির জন্য তাকে অভিনন্দন! আজ এবং গতকালের সার সংবাদ এ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এতো বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর জন্য দু:খ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, করোনা মোকাবেলায় সকল কাজের সকল দায়ভার তাঁর নিজের।
শুধু তাই নয়, পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই স্কুলগুলো বন্ধ থাকবে কমপক্ষে ৮মার্চ পর্যন্ত এবং অবস্থা বিবেচনায় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, অগ্রাধিকার তালিকার সকলকেই মধ্য ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভ্যাকসিন দেওযা হবে।
দায় শুধু তাঁর একার নয়, Chancellor ঋষি সুনাকও সমান দায়ী। শুরুতেই ঋষি সুনাক লকউডান বিরোধী ছিলেন, এছাড়াও খাবারের দোকানগুলোতে ৫০% ডিসকাউন্ট দিয়ে মানুষকে বাহিরমুখী(গত আগষ্টে) করার মূল কারিগরও তিনি! তাঁর কাছে মানুষের জীবনের চেয়ে অর্থনীতি অগ্রগণ্য ছিলো! ক্যাবিনেট মিটিংগুলোতে লকডাউন বিরোধী উচ্চকন্ঠ ছিলেন এই Chancellor! যদিও পরে সুর পাল্টেছেন। গত নভেম্বর পর্যন্ত মৃত্যু সংখ্যা ছিলো পঞ্চাশ হাজারের চেয়ে কিছু বেশী, আর পরবর্তী তিনমাসে(আরো পঞ্চাশ হাজারেরও বেশী) ১লাখের উপরে চলে গিয়েছে! এতেই বোঝা যায় গৃহীত ব্যবস্থাগুলো যথাযথ ও যথেষ্ট কার্যকর ছিলোনা। রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার সংগঠণ এবং সচেতন মানুষদের চাপে সরকার ইতোমধ্যে ঘোষনা দিয়েছেন, করোনা মোকাবেলায় শৈথিল্য ছিলো কিনা তা তদন্ত হবে, আগামীতে। আপাতত সব মনোযোগ করোনা প্রতিরোধে এবং জীবন রক্ষায়।
|