বগুড়ায় জাতীয় সংগীত চলাকালে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তির হামলার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে ছাত্র ফ্রন্টের তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ
বগুড়ায় উদীচীর আয়োজনে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি সংগঠনের হামলার প্রতিবাদে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা শাখার তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ সমাবেশ শহরের টিসি মার্কেটের পাশে সন্ধ্যা ৭:৩০টায় অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা শাখার সভাপতি বিশ্বজিৎ নন্দী এবং সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রাজিব সূত্রধর। বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মৌলভীবাজার শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল সরকার। উপস্থিত ছিলেন বাসদ জেলা সদস্য হৃদয় অধিকারী, ছাত্র শহর শাখার আহ্বায়ক বিজয় দাস, সদস্য উস্মিতা পাল, পল্লব দেব-সহ সংগঠনের সদস্যবৃন্দরা।
বক্তারা বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন করে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে এক করে একটা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর অনুসারী পরাজিত শক্তি এই দেশে একাত্তর, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীতকে তারা অবজ্ঞা করছে। তারা নতুন করে যে গোলাম আজম কে বাংলাদেশে বলা হতো রাজকারের শিরোমণি আজ তাদের অনুসারীরা বাংলাদেশে স্লোগান দেয় ‘গোলাম আজমের বাংলা’ বলে। তারা শাহবাগে জাতীয় সংগীত গাইতে বাধা প্রদান করে। তারা এতো ধৃষ্টতা দেখানোর সাহস কোথা থেকে পায়, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কিংবা সরকার কেন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
বক্তারা বলেন, যেই গোলাম আজম মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী পালিয়ে গিয়ে একপর্যায়ে ‘পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি’ গঠন করে, বাংলাদেশ যাতে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি না পায় তার জন্য আন্তর্জাতিক চক্রান্ত চালিয়ে যায়। এমন এক রাজাকার শিরোমনির নামে স্লোগান দেয়া যা প্রকারান্তরে দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে অবজ্ঞা করা হয়। জাতীয় সংগীতের অবমাননার প্রতিবাদে উদীচী বগুড়ার আহ্বানে আজ বিকালে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত চলাকালে আজকেও হামলা করা হয়েছে। হামলা করা হয়েছে উদীচী অফিসে। ইন্টেরিম সরকার কি চোখে কাঠের চশমা লাগিয়ে আছে, নাকি দেখেও এসব না দেখার ভান করছেন?
আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলে দিতে চাই দেশের এমন উশৃংখল পরিস্থিতির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকেই এর দায় নিতে হবে এবং বিচার নিশ্চিত করতে হবে।