মুক্তকথা সংবাদ।। নির্বাচনী সমস্যা নিয়ে বিশ্বের বহু দেশেই কিছু না কিছু আলোচনা হয়ে থাকে। অনুন্নত গরীব দেশ নিয়েতো আলোচনা হবেই। আমাদের মত মধ্যম আয়ের দেশও এ ধরনের আলাপ থেকে বাদ যায় না। এখনও দুনিয়ার বহু দেশে সুষ্টু নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। এটি সত্য যে অনুন্নত দেশগুলিতে নির্বাচনে লাঠিশক্তির ব্যবহার, অর্থের ব্যবহার ব্যাপক। ফলে নির্বাচন হয়ে উঠে শক্তিপরীক্ষার খেলা। এ ছাড়াও অনুন্নত দেশে এমনকি আমাদের দেশে এখনও নির্বাচন গরীব মানুষদের আয়ের একটি উৎস। কারণ, গরীব দেশেতো বটেই আমাদের মত দেশেও অনুন্নত অপসংস্কৃতির ধনবানরা শক্তি ও অর্থের বিনিময়ে সমাজের নেতৃত্বকে করতলগত করতে চায় তাদের হীনস্বার্থ লাভের উদ্দেশ্যে।
বাংলাদেশের সামাজিক বিন্যাসে বর্তমান পদ্ধতির এমপি বা সাংসদ একটি নির্দিষ্ট এলাকার প্রতিনিধি হিসেবে বিশেষ বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী। শুধু ক্ষমতাই নয়, এই ক্ষমতা অনুশীলনের মধ্যদিয়ে একদিকে যেমন বৈষয়িক সমৃদ্ধি আনা যায় ঠিক একইভাবে সাংসদগন যে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন তাতে রাতারাতি আর্থিক উন্নতি ঘটানো সম্ভব।
উদাহরণ স্বরূপ এখানে উল্লেখ করা যায় বাংলাদেশের। বাংলাদেশে একজন সংসদ সদস্য বেতন-ভাতাসহ যে ধরণের সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকেন তার সংক্ষিপ্ত একটি চিত্র নিচে তুলে ধরা হলো।
বাংলাদেশে একজন সাংসদের হাতে থাকে নানা ধরণের ক্ষমতা। এছাড়াও বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী একজন সংসদ সদস্য যেসব সুযোগ-সুবিধা পান সেগুলো হচ্ছে, ১- সংসদ সদস্যদের মাসিক বেতন ৫৫,০০০ টাকা; ২- নির্বাচনী এলাকার ভাতা প্রতিমাসে ১২,৫০০ টাকা; ৩- সম্মানী ভাতা প্রতিমাসে ৫,০০০ টাকা; ৪- শুল্কমুক্তভাবে গাড়ি আমদানির সুবিধা; ৫- মাসিক পরিবহন ভাতা ৭০,০০০ টাকা; ৬- নির্বাচনী এলাকায় অফিস খরচের জন্য প্রতিমাসে ১৫,০০০ টাকা।
তাই দেখা যায় সকল নির্বাচনেই বাংলাদেশে অসংখ্য মানুষ ভোটে দাঁড়াতে এগিয়ে আসে। এবারও গেল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিন্দ্বন্দ্বিতার জন্য ৩০৫৬ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন।
শুধু তাই নয়, এর আগেও নির্বাচনে অংশ নিতে আরো হাজার-হাজার ব্যক্তি আগ্রহ প্রকাশ করে বিভিন্ন দলের মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছিলেন।