বিলেতে বাংগালী জীবন নানা রং-এ রঙ্গিন হয়ে আছে যেমন সত্য তেমনি আর একটি সত্য খুবই অনালোচিত হয়ে লুকিয়ে আছে জীবনের ভিন্ন পাতা হয়ে। জীবন চর্চ্চায় বাঙ্গালীরা এখানে দিন দিন বদলে যাচ্ছে। এদেশীয় মানুষদের সাথে মিশে যাচ্ছে ধীর লয়ে। এই বদলে যাওয়া ঠেকানো যদিও খুবই কঠিন কিন্তু এর পরও বলতেই হয় যদি এখানে কোন পরিকল্পিত কাজ না থাকে তা’হলে এমন একদিন আসবে যখন দেখা যাবে বাঙ্গালী বলতে আর কিছু বাকী থাকেনি। সকলেই এদেশী হয়ে গেছে মনপ্রান হৃদয় থেকে। এখন যারা যুবক যুবতী তাদের অধিকাংশই গড়ে উঠেছে এদেশের লেখা-পড়া সাহিত্য সংস্কৃতিকে ধারণ করে। তাদের সবকিছুই গড়ে উঠেছে এখানে এই দেশে। বাংলাদেশে তাদের নারীর টান আর কতিপয় আত্মীয়-স্বজন থাকলেও সেই যে বাল্যে কোন একবার এসেছিল মা-বাবার সাথে, লেখা-পড়ার চাপে আর কোনদিন আসা হয়ে উঠেনি তাদের। মানুষের এ বয়সে বন্ধু-বান্ধব হলো একটি শক্ত ঠিকানা। তাদের বেলায় সে শক্ত ঠিকানাটি রচিত হয়ে গেছে এদেশে। শুধু রচিত নয় পাকাপোক্তভাবে শিকড় গভীরে দেবে গেছে। শেকড় উপড়ে তোলার চেষ্টা হবে বৃক্ষটিকে কেটে ফেলার সামিল। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এ কাজে এগিয়ে আসার সময় এখন। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
এখানে বাঙ্গালী জীবন চর্চ্চার আরেকটি অন্ধকার দিক রয়েছে। যার নাম মাদকাসক্তি। নিন্দনীয় এই নেশার জগতেও খুবই স্বল্প হলেও বাঙ্গালীর বিচরণ রয়েছে। তেমনি একজনের ছোট্ট একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছে “লাইট এণ্ড ডার্ক” নামের একটি প্রতিষ্ঠান। হিরোইন আসক্ত আব্দুল আজিজ ওরফে চাঁন মিয়া। বয়স মাত্র ৪৬ বছর। ব্রিকলেনের সন্তান। ব্রিকলেনেই জন্ম ও বেড়ে উঠা। তিনি যখন একুশ বছরের যুবক এলএলবি পড়ুয়া ছাত্র ছিলেন সে সময় থেকেই আসক্ত হয়ে পড়েন হিরোইনের প্রতি। তার পর টানা ২৫ বছর ধরে সে আসক্তি নিয়েই পড়ে আছেন। লেখা-পড়া, স্বাদ-আহ্লাদ, প্রেমপ্রীতি-ভালবাসা সবকিছুই তার হিরোইন। মানবজীবন বলতে তার কিছুই নেই। হেরোইন-ই তার সব। শুনা যাক তার নিজের কথায়…। ভিডিও খানা ১২জুলাই ২০২০সালের। হারুনূর রশীদ, সূত্র: লাইট এণ্ড ডার্ক, তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। |