ফুটবল জীবনের বলতে গেলে শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নেমে যা করে দেখালেন মেসি।
গ্রুপ পর্বে সৌদি আরব এবং মেক্সিকোর বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন তিনি। তারপর প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া, কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস, সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া এবং ফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধেও গোল করলেন মেসি। গ্রুপে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে পেনাল্টি নষ্ট না করলে একটি বিশ্বকাপের সব ম্যাচে গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করতে পারতেন তিনি। আজকের আগ পর্যন্ত গোল করার এমন কৃতিত্বের দাবীদার ছিলেন ব্রাজিলের রোনাল্ডো। তিনি কোপা আমেরিকা সহ বিশ্বকাপে সর্বমোট ২৫টি গোল করার দলিল তৈরী করতে সক্ষম হয়েছিলেন। মেসি তাঁর সেই কৃতিত্ব ভেঙে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে এ বিশ্বকাপে মোট ২১টি গোলের কৃতিত্বের দাবীদার হলেন মেসি।
অন্তর্জাল থেকে যতদূর জানা যায় এবার মেসি ৩৫ বছরে পা দিয়েছেন। তার পায়ের যাদুর একজন ভক্ত বলেন, আমার খেলা দেখাতো তার পায়ের দিকে চেয়ে থাকা। কি যাদু পায়ে! যখন যেখানে বল নিতে চান পা যেনো তেমনটি করার অপেক্ষায় থাকে। গোটা খেলা জুড়ে তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্ধী। আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের এবারের এই খেলা একটি খেলার মত খেলাই ছিল। এমন বিনোদনী খেলা খুব কমই হয়। দু’দুটি গোলের পর সারা সময় ধরে এমনকি টাইব্রেকার পর্যন্ত প্রতিযোগীতা নাগরদোলার মত এদিক-ওদিক দুলছিল।
যদিও খেলার শেষে মেসি বলেছেন বিশ্বকাপ জিতবেন এটা তিনি জানতেন। ঈশ্বরও না-কি চাইছিলেন তিনি বিশ্বকাপে জয়ী হোন। আবার আর্জেন্টিনারই এক সংবাদমাধ্যমে না-কি মেসি বলেছেন, “অবিশ্বাস্য লাগছে। যা হয়েছে সেটা বিশ্বাসই করতে পারছি না।…”
|