বৃটেনের মত বাংলাদেশেও গুরুত্বপূর্ণ তড়িৎ সেবার জন্য ৯৯৯ ফোন সেবা চালু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় জাতীয়ভাবে চালুকরা এ সেবার উদ্ভোধন করেন। বৃটেনের মত সারা বাংলাদেশব্যাপী এই ৯৯৯ ফোন নাম্বার কাজ করবে এবং এর জন্য কোন খরচ দিতে হবে না। সম্পূর্ণ নিখরচায় এ সেবা প্রদান করা হবে।
এই ৯৯৯ নাম্বার দুনিয়ার বহু দেশে জাতীয় জরুরী সেবা কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে বহু যুগ ধরে। সব দেশেই এই নাম্বারের ব্যবহার করে ফোনকারী দেশের বিভিন্ন জরুরী সেবার সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন এবং সেবা পেয়ে থাকেন।
রাজধানী ঢাকার সুবিখ্যাত ‘জাতীয় হুকুম ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র’-এ (National Control and Command Centre) যা আব্দুল গনি রোডের পুলিশ কন্ট্রোল রুম হিসেবেই সমধিক পরিচিত, আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদ জয় এ সেবার উদ্ভোধন করেন গত মঙ্গলবার ১২ই ডিসেম্বর।
অন্যান্যের মাঝে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইসিটি’র মন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক, পুলিশের সর্বোচ্চ পরিদর্শক(IGP) এ কে এম শহীদুল হক এই উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। নিখরচায় জরুরীভাবে জনসেবায় নিবেদিত এমন একটি সহায়তা যোগাযোগ কেন্দ্র পুলিশ নিয়ন্ত্রণকক্ষেই স্থাপন করা হল।
বর্ধিত এই জরুরী সেবাকার্যক্রম চালুর ফলে, যে কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের যেকোন স্থান থেকে মোবাইল কিংবা স্থানীয় নিজ নাম্বার ব্যবহার করে ওই ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে ৪টি জরুরী সেবা পাবেন। প্রথমতঃ এম্বুলেন্স, এরপর পুলিশ, তৃতীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থা বা দমকল বাহিনী এবং চতুর্থতঃ জনপ্রতিরক্ষা বিষয়ক জরুরী সহায়তা।
অবশ্য জরুরী ডাক্তারী গাড়ী বা ‘এমবুলেন্স’ নিখরচায় নয়। এর জন্য খরচ দিতে হবে।
দায়ীত্বশীল মহল থেকে জানা গেছে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে এ সেবাকার্যক্রমের অপব্যবহারকারীকে কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। খবর ঢাকা ট্রিবিউন থেকে