মুক্তকথা সংবাদকক্ষ॥ হেফাজতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আর রোববারের হরতালের আহ্বান দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক-আলোচনায় কোনই প্রভাব ফেলতে পারেনি। মোদির ফেরৎ যাবার সময়ে ঢাকা সায়দাবাদের মোড়ে কিছু দুর্বৃত্ত একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর ঠিক আগ মূহুর্তে শহরের মালিবাগেও একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। এতোসবের পরও মোদির সফর, বৈঠক ও বিদায়ে কোনরূপ সমস্যার সৃষ্টি করতে পারেনি দুর্বৃত্তরা।
২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে আজ চলে গেলেন মোদি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুই দিনের এই সফরে গত শুক্রবার ২৬মার্চ ঢাকায় এসেছিলেন তিনি।
শনিবার রাতে ঢাকা ছাড়ার সময় মোদি টুইটে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার বৈঠক সুফল বয়ে আনবে। তাদের মধ্যে ফলপ্রসু আলোচনায় দু’দেশের সকল সম্পর্কের বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশের মানুষের আন্তরিকতায় তিনি খুশী হয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে তার বিশ্বাসের কথা প্রকাশ করেছেন। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে ৫টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গেছে।
এদিকে হেফাজতের রোববারের হরতালে রাজধানীসহ আন্তঃজেলা পথে বাস ও মিনিবাস চলাচল করবে জানিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। তারা বলেছেন হরতালে গাড়ী বন্ধ রেখে তারা লোকসান দিতে পারবেন না।
মোদির আগমনের বিরোধীতা করতে গিয়ে হেফাজতের সমর্থকরা মিছিলের জন্য জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমকে ব্যবহার করতে গেলে মসজিদ ফটকে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সাথে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরাও যোগ দেয় বলে পত্রিকান্তরে জানা যায়। এসময় উভয় পক্ষে কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ টিয়ার সেল ছেড়ে এসবের মোকাবেলা করে।
কয়েকটি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন মোদির আগমনের বিরোধীতা করে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। এদিকে রাজধানী ঢাকায় মোদি বিরুধী সমাবেশে সংঘটিত সংঘর্ষে ৭জন পুলিশ আহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গেছে। এতে পুলিশ ৩৪ জনকে আটক করেছে। সূত্র ও ছবি: ইত্তেফাক
|