লণ্ডন।। আদনান খান নামের একজন পাকিস্তানী, কৌড়া ডাইজেস্টে খুব ইনিয়ে-বিনিয়ে লিখেছেন, বাংলাদেশ কি পাকিস্তানের সাথে আবারও যুক্ত হতে পারেনা? তিনি বাংলাদেশকে খুব উপরে তুলে ধরে বলেছেন, একজন পাকিস্তানী হয়ে তিনি কোনভাবেই এ বিষয় নিয়ে গর্ব করতে পারেন না, যে নমুনায় অতীতে তাদের নেতারা পূর্বপাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশকে আঘাত দিয়েছেন। “আমার বাঙ্গালী ভাই” শব্দটি ব্যবহার করে তিনি লিখেছেন-“আমার বাঙ্গালী ভাইদের তিক্ত ইতিহাস রয়েছে আমাদের সাথে।” তিনি খুবই কূটকৌশলীর মত যুক্তি দেখাতে গিয়ে লিখেছেন, যে পাকিস্তানী জীবনে ভারতের সাথে কোন যুদ্ধ দেখেনি তার পক্ষে খুবই সহজ ভারতের সাথে উঠা-বসা করা কিংবা ভারতের সাথে বন্ধুত্বে যাওয়া। বিশেষ করে পাকিস্তানের নবপ্রজন্ম যারা ১৯৪৭ সালের অনেক অনেক পরে জন্ম নিয়েছে তাদের ভাবনাটাই ভিন্ন। তারা মনে করে বিশাল রাশিয়া, চীন ও আমেরিকা-কানাডার মত দেশ এক থাকতে পারলে, ভারত কেনো এক থাকতে পারে না। অবশ্যই থাকতে পারে এবং পারবে। ভারতের এই খণ্ড খণ্ড হয়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে বিদেশীদের কূট রাজনৈতিকচাল। তিনি মনে করেন, ঠিক একইভাবে যে বাঙ্গালীগনের জন্ম ১৯৭১এর অনেক অনেক পরে, তাদের পক্ষে পাকিস্তানের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলা খুবই সহজ। এরাও একইভাবে মনে করে এবং তাদের মনে প্রশ্ন জাগে কেনো তারা পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে গেলো। এটাও বিদেশী কূটচাল। পাকিস্তান-বাংলাদেশ আবারো এক হতে পারে!
লিখতে গিয়ে যদিও খুবই দরদমাখা ভাষায় তিনি লিখেছেন তবে এর পেছনেও যে কূটনীতি সমৃদ্ধ রাজনৈতিক সুরসুরি রয়েছে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না।
আরেকজন গবেষক সাংবাদিক আহমেদ কোরেশী একটি প্রশ্নের জবাবে লিখেছেন, মূলতঃ বিষয়টি বাংলা বা বাঙ্গালী নিয়ে ছিল না। এটি ছিল রাজনীতি। ক্ষমতার অনন্ত তৃষ্ণা। খুবই সাধারণভাবে রাজনীতিবিদদের মধ্যে ক্ষমতার মারামারি। আর তাদের সে মারামারির সুযোগ নিয়েছে নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানের শত্রুরা। জাতিগঠনের বর্ণ ও ভাষাগত বিরোধ তত্ত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য।