ঢাকা: প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্হা বলেছেন, প্রতিটি ধর্ম গ্রন্থে মানুষের কল্যাণের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল ধর্মের অপব্যাখ্যা করে ধর্মের নামে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ হচ্ছে পৃথিবীর মধ্যে এক উজ্জল দৃষ্টান্ত। এদেশে সব ধর্মের মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শুক্রবার কুমিল্লা শহরের কাপড়িয়া পট্টিতে শ্রী চাঁন্দমনি রক্ষাকালী মন্দিরের উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। বাসসের বরাতে দিগন্ত.নেট এ খবর দিয়েছে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, সন্ত্রাস নাশকতা জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। পিতা-মাতা অভিভাবকদের অজান্তে কিছু শিশু কিশোর সন্তান ধর্মের নামে বিভ্রান্ত হয়ে সন্ত্রাসী হয়ে যাচ্ছে। মসজিদে যেন কোনো ধর্মীয় অপব্যাখ্যা বা উস্কানীমূলক বক্তব্য দিতে না পারে সেদিকে নজরদারী বাড়াতে হবে এবং সন্ত্রাস নাশকতা জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিটি জেলায় দক্ষ অভিজ্ঞ জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপারের ন্যায়, জেলা ও দায়রা জজদেরও একসাথে কাজ করা প্রয়োজন।
তিনি শান্তি ও সম্প্রীতির মাধ্যমে সহ অবস্থানের সাথে সুখে দুঃখে সকলে মিলে মিশে যার যার ধর্ম সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ শ্রী চাঁন্দমনি রক্ষাকালী মন্দিরের ইনটেষ্টর বেগম জেবুননেছার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতির পত্নী সুষমা স্বরাজ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও সাবেক জেলা জজ ছহুল হোসাইন, সাবেক জেলা জজ দেওয়ান মো: সফিউল্লাহ, রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রমের সম্পাদক স্বামী বিশ্বেশ্বরানন্দ, জেলা প্রশাসক মো: জাহাংগীর আলম, পুলিশ সুপার মো: শাহ আবিদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রী চাঁন্দমনি রক্ষাকালী মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারাধন আচার্য। সূত্র: দিগন্ত.নেট