মঙ্গলবার ফতেপুর ইউনিয়নের শাহাপুর সরকারি প্রামিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে গেলে এখানে অবস্থান নেয়া অনেকে ত্রাণ পাচ্ছেন না এমন অভিযোগ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আশ্রয় কেন্দ্রের বাসিন্দারা মঙ্গলবার জানান, এই স্কুলে ৫০ জন খেটে খাওয়া ও ভিটে হারা মানুষ ঠাই নিলেও চিড়া পেয়েছিলেন ৮ জন। তবে বুধবার স্থানীয় সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও জামায়াতে ইসলামীকে নদী পাড়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করতে দেখা যায়।
এদিকে লাগাতার পানি বৃদ্ধি পাবার কারণে নদী পাড়ের মানুষেরা গরু-বাছুর, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগী নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। তারা এসব পশুদের থাকার যায়গা দিতে না পারায় অল্প দামে পাহাড়ি এলাকায় বিক্রি করছেন। এছাড়াও খাদ্যদ্রব্য ও আসবাবপত্র রক্ষা করতে মানুষ নিরাপদ স্থানের খুঁজে এদিক ওদিক ঘুরাঘুরি করছেন এখনো।
এদিকে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড বুধবার ২২জুন বেলা ৩টায় এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মনু নদী বিপদসীমার ৩০২/৯৫ সেঃ মিঃ, ধলাই নদী ৩০৭ ও কুশিয়ারা নদীতে ২৫ সেঃ মিঃ নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে বানভাসীদের জরীপের কোন মিল নেই এমনটা জানিয়েছেন পানিবন্দিরা।
মৌলভীবাজার পাউবো’র নির্বাহি প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান বুধবার জানান, কুশিয়ারা’র শেরপুর ব্রীজে পানি পরিমাপের বিষয়টি সিলেট কর্তৃপক্ষ দেখেন। |