1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
মৌলভীবাজারে থামছে না পাহাড় কাটা - মুক্তকথা
শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৫ অপরাহ্ন

মৌলভীবাজারে থামছে না পাহাড় কাটা

সৈয়দ বয়তুল আলী মৌলভীবাজার থেকে॥
  • প্রকাশকাল : শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২১
  • ১৩৫৯ পড়া হয়েছে
সৈয়দ বয়তুল আলী,

মৌলভীবাজার,৩১ অক্টোবর,২০২১

পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে মৌলভীবাজারে অবাধে চলচে পাহাড়-টিলা কাটা। বিক্রি হচ্ছে মাটি।অনেকেই বানাচ্ছেন বসতবিটা আবার কেউ কেউ তৈরি করছেন রিসোর্ট বা বাগান ।এতে করে ন্যাড়া হচ্ছে পাহাড়। উজাড় হচ্ছে বনা ল। আবাসন ও খাদ্য সংকটে পড়েছে বন্যপ্রাণী। আর মহা হুমকিতে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।কিছুতেই থামছে না পাহাড় খেকো চক্র। এখনও জেলাজুড়ে এই চক্রটি সক্রিয় রয়েছে দিন দিন এ ধ্বংসযজ্ঞ বেড়েই চলেছে । এমন অপকর্ম থামাতে তৎপর নয় সংশ্লিষ্টরা।তবে মাঝেমধ্যে দেখাযায় প্রশাসনের দায়সারা দুয়েকটি অভিযান কিন্তু উদাশীন মৌলভীবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর । অভিযান অব্যাহত না থাকায় কিছু দিন পর আবারো যেই সেই এমন উদাসীনতায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পাহাড়ি টিলা, প্রকৃতি ও বনজ পরিবেশ। এমন অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। রাস্তা তৈরি বা মেরামতের অজুহাতসহ নানা কায়দা কৌশলে কাটা হচ্ছে পাহাড়-টিলা।

জানাযায়,প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুম এলেই নির্বিচারে চলে পাহাড় কাটা। আর বর্ষা মৌসুমে ঘটে পাহাড় ধ্বংসের ঘটনা। তখন পুরো বর্ষা মৌসুম জুড়ে থাকে প্রাণহানি ও সম্পদ হানির চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠা।কিন্তু এখনও মৌলভীবাজার পরিবেশ আধিদপ্তর অবাধে পাহাড় কাটা বন্ধে কোনো শক্ত ভূমিকা না নিয়ে বরং অনেকটাই নীরব দর্শক।

এলাকাবাসী জানান পাহাড় খেকো চক্র প্রথমে গাছ ও বনা ল উজাড় করে। তারপর সুযোগ বুঝে ওই ন্যাড়া পাহাড়ি টিলার মাটি কাটতে শুরু করে।

খুঁজনিয়ে আরো জানাযায়,সম্প্রতি জেলার জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়ডহর গ্রামে কয়েক দির ধরে টিলাকাটার চলছে। একই এলাকার মৃত আব্দুর রউফ এর ছেলে রিয়াজ টিলা কেটে বসত ভিটার তৈরকরেছেন।
এছাড়া উপজেলার,বাছিরপুর,কৃষ্ণনগর,আমতৈল,গোয়ালবাড়ি , জামকান্দি,কচুরগুল, লাঠিটিলা,সাগরনাল সহ১১টি গ্রামে টিলা কাটার লিপ্ত রয়েছেন পাহাড় খেকোরা ।২৫টি ঝুঁকিপূর্ণ টিলার নিচে গড়ে ওঠা ২ শতাধিক বাড়িঘর ভারী বর্ষণ কিংবা ভূকম্পনে টিলা ধসে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।

বড়লেখা উপজেলার পাহাড়ি এলাকা সদর ইউনিয়নের ডিমাই, কেছরিগুল, গঙ্গারজল, দক্ষিণ ইউনিয়নের কাশেমনগর, হাকায়িতি, পূর্ব হাতলিয়া, দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউপির বোবারথল, মোহাম্মদনগর, ছোটলেখা, ঘোলসা, চণ্ডিনগর, মুড়াউল, অফিস বাজার, উত্তর শাহবাজপুর ইউপির বড়-আইল , নান্দুয়া, পূর্ব বাণীকোনাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় টিলা কাটা হচ্ছে। এসব পাহাড়-টিলা ধ্বংস করা হচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায়।

এ ব্যাপারে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,পাহাড় টিলা কাটার বিষয়ে ইতিমধ্যে পরিবেশ অধিদফতর বরাবরে ১০টি মামলা পাঠানো হয়েছে। যথারীতি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা, ভাটেরা ও বরমচালে ,পশ্চিম জালালাবাদ এলাকায় পাহার কাটা হয়েছে। রাজনগরের উত্তরভাগ ইউনিয়নের যুদুরগুল এলাকার খাসের টিলা সহ বিভিন্ন টিলা কাটা হয়েছে। পাহাড় কাটার অভিযোগ ও রয়েছে কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলায়। শ্রীমঙ্গলে পাহাড়ি টিলা কেটে তৈরি হচ্ছে রির্সোট, হোটেল ও ফলদ বাগান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত কয়েক বছরে বড়লেখা, জুড়ী ও কুলাউড়া উপজেলায় ইতিপূর্বে মাটি কাটতে গিয়ে অন্তত ১২-১৫ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আর ভারি বর্ষণে টিলার মাটি ধসে মা মেয়েসহ গত ৫ বছরে অন্তত ১০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া পাহাড়-টিলা ধসে শিশুসহ অসংখ্য ব্যক্তি আহতও হয়েছেন।

পরিবেশবিদ নূরুল মোহাইমীন মিল্টন বলেন, টিলা কাটার ফলে এজেলার জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ধ্বংস হচ্ছে বনা ল। আর এরই সঙ্গে বদলে যাচ্ছে ভূমানচিত্রও।মৌলভীবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উদাশীনতায় এমনটাই দিন দিন বাড়ছে।জেলার পাহাড়-টিলা ধ্বংসরোধে,প্রকৃতি বাঁচাতে ওই চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নিতে তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানান।

মৌলভীবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদার কাছে পাহাড় ও টিলা কাটার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন কে বা কারা এসব কাটছে তা জানা আমার বিষয় নায়।ভূমির মালিক ভূমি মন্ত্রালয়।জেলায় কতটা স্থানে পাহাড় টিলা কাটা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এসব আমি জানি না সিলেট আফিসে খুঁজ নেন।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT