যুক্তরাজ্যে বসবাসরত এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দ্বিধা বিভক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করার লক্ষ্যে “যুক্তরাজ্য মুক্তিযোদ্ধা ফোরাম” নামে একটি নতুন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ২২ অক্টোবর বিকেল ২টায় লণ্ডনের পিলপট লেইনের ‘স্পাইচ ট্রেডার’ রেঁস্তোরায় রাজধানী লণ্ডনে বসবাসরত এক ঝাঁক মুক্তিয়োদ্ধাদের এক সভায় উক্ত ফোরাম গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। |
বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ। ছবি: মুক্তকথা |
বক্তব্য রাখছেন-সিলেটের মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার সুব্রত চক্রবর্তী। ছবি: মুক্তকথা |
মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতানের সভাপতিত্বে আয়োজিত উক্ত সভায় বক্তাগন বলেন যে, প্রবাসে এই বৃটেনে বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন যারা দীর্ঘকাল ধরে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে রয়েছেন। বিভিন্ন সময় চেষ্টা চালিয়েও তাঁদের একিভুত করে যুক্তরাজ্য মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ড কাউন্সিল গঠন করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। অথচ বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সক্রিয় কমাণ্ড কাউন্সিল রয়েছে। সেই কমাণ্ড কাউন্সিলের আওতায় যুক্তরাজ্যে বহু আগে একটি ‘কমাণ্ড কাউন্সিল’ গঠিত হয়েছিল যা দীর্ঘদিন ধরে কোন সম্মেলনের আয়োজন করতে পারেনি। বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যক্রমের কোন প্রতিফলন এখানে ঘটছে না। ফলে প্রবাসে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাগন তাদের ন্যায্য অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যারা কণামাত্র সুবিধা পেয়েছেন তাদের বহু খেসারত দিতে হয়েছে। এ অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধাদের একজোট করে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডকাউন্সিলের যুক্তরাজ্য পর্ব নতুন করে পুনর্বিন্যাস করে একটি শক্তিশালী কমাণ্ডকাউন্সিল নির্বাচিত করা সময়ের দাবী। |
লণ্ডন পিলপট লেইনের ‘স্পাইস ট্রেডার’ রেঁস্তোরার বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ। ছবি: মুক্তকথা |
সভায় বক্তব্য রাখেন, সর্বমুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান, খলিল কাজী, ইঞ্জিনিয়ার মেফতাউল ইসলাম, আবু মুসা মোহাম্মদ হাসান, এডভোকেট সাংবাদিক হারুনূর রশীদ, গোলাম চৌধুরী নাজিম, বাংলাদেশ থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী, সুরশিল্পী হিমাংশু গোস্বামী, লোকমান হোসেন, আব্দুল মান্নান, মোহাম্মদ এনামুল হক, মোহাম্মদ আব্দুল হাদি, আমীর খান, আশরাফ উদ্দীন ভুঁইয়া মুকুল প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ। |
মুক্তিযোদ্ধা বৈঠকে বক্তব্য রাখছেন লোকমান হোসেন। ছবি: মুক্তকথা |
বৈঠকে বক্তব্য রাখছেন মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মেফতাউল ইসলাম। ছবি: মুক্তকথা |
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ৭ সদস্যবিশিষ্ট ‘যুক্তরাজ্য মুক্তিযোদ্ধা ফোরাম” নামে একটি সংগঠনের নাম ঘোষণা করা হয় এবং আগামী ১২ নভেম্বর ২০২২ইং উক্ত সংগঠনের পক্ষ থেকে বিজয় দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই ফোরামের মূল লক্ষ্যই হলো বিভক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের একত্রিত করে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যুক্তরাজ্য মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ড কাউন্সিল নির্বাচিত করা। |
|
|