মৌলভীবাজার অফিস: বৃহস্পতিবার, ২৬শে মাঘ ১৪২৩।। রাজনগর উপজেলায় ব্যাপক হারে বিদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি সংগটিত হয়েছে। এ পর্যন্ত চোরেরা ২২টি ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে লাপাত্তা । এত কিছুর পরও চোরেরা অধরাই রয়ে গেলো। ওই সব চোরদের কোন হদিস পাচ্ছেনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসহ স্থানীয়রা। মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রাজনগর সাব -জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের অক্টোবর মাস হতে চলতি বছরের ফ্রেবুয়ারীর ৫ তারিখ পর্যন্ত ২২টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। এগুলোর মধ্যে রাজনগর থানায় ১৯টি ও কুলাউড়ায় ৩টি ট্রান্সফরমার। রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়ন থেকে ৫টি,রাজনগর সদর ইউনিয়ন থেকে ৪টি,মনসুরনগর ইউনিয়ন থেকে ৭টি,ও টেংরা ইউনিয়ন থেকে ৩টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন চোরেরা ট্রান্সফরমার চুরির সময় কয়েল নিয়ে যায়। আবার অনেক সময় কয়েল ও তৈল নিয়ে ট্রান্সফরমার কভার ভারি থাকায় এটি নীচে ফেলে যায়। টেংরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য জুনেদ তরফদার শাহেদ বলেন, চোরেদের কারণে আমরা অন্ধকারে রাত কাটাই। তিনি বলেন আমাদের এলাকা থেকে ৩টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। মনসুরনগর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের আহমেদুর রহমান ইমরান বলেন, আমাদের এলাকা থেকে ২টা ট্রান্সফরমার চুরি হয়। এর প্রতিবাদে আমরা মহলাল বাজারে মানববন্ধন শেষে রাজনগর ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। রাজনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এলাকা পরিচালক শাহেদুজ্জামান আনছারী বলেন, ২/৩ মাস ধরে ট্রাসন্সফরমার চুরি লক্ষ করছি। চোর দমনে আমরা পুলিশ ও সাংবাদিকদের সযোগীতা চাচ্ছি। রাজনগর সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানাজার (এজিএম) মোস্তাফিজুর রহমান চৌঃ বলেন,ট্রান্সফরমার চুরি বন্ধে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন চেয়রম্যানদের সাথে আমরা বৈঠক করেছি। সবাইকে সচেতন হতে ১০বার মাইকিং করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। চোরির ঘটনায় রাজনগর থানায় মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাতের বেলায় বিদ্যুৎ না থাকলে গ্রাহকদের পাহারা দিতে বলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গ্রাহক,জনপ্রতিনধি ও প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় চুরি রোধ করা যেতে পারে।