মুক্তকথা: মঙ্গলবার, ১১ই অক্টোবর ২০১৬।। অবশেষে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৩২০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিট বাতিল করলো সরকার । অনলাইন সময়ের কন্ঠস্বর(অসক) এ খবর দিয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র দিয়ে অসক লিখেছে যে, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এ-ব্লকে প্রথম ইউনিট স্থাপনের পর, বি ব্লকে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কয়লা ভিত্তিক দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা ছিলো। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার।
দ্বিতীয় ইউনিটের জায়গায় প্রথম ধাপে ১০০ মেগাওয়াটের সৌর প্যানেল বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এ জন্য অন্তত ৩৫০ একর জমির প্রয়োজন হবে। তবে সৌর বিদ্যুতের জন্য ৫০০ একর জমি বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।
অসক খবরে আরও জানায়, পাওয়ার সেলের (বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান) মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘যদিও এর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। তবুও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ ‘যেখানে কয়লা ভিত্তিক দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা ছিলো। সেখানে সোলার প্যানেল বসানো হবে’ বলে জানান পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক।
রামপাল ইস্যুতে ইউনেস্কোর উদ্বেগ সংবলিত চিঠির জবাবেও বিষয়টি যুক্ত থাকছে বলে পরিবেশ অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, নানামুখী সমালোচনার কারণে দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপনের বিষয়ে সরকার আর ভাবছে না। তবে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফসিএল) এখনই হাল ছাড়তে নারাজ। তারা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট বাস্তবায়নের বিষয়ে। বিভিন্ন ফোরামে নানা ধরনের যুক্তিও তুলে ধরছেন তারা।
কিন্তু সরকার আর আগের মতো কঠোর অবস্থানে নেই। একটি ইউনিট মাথায় নিয়ে এগোচ্ছে। আগে যেমন কেউ সমালোচনা করলে কঠোর ভাষায় জবাব দেওয়া হতো। বলা হতো তাদের কোনো ধারণা নেই না জেনেই এমন মন্তব্য করছেন সংশ্লিষ্টরা।
একই সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীলদের আচরণে অনেক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। তারা অনেকেই এখান থেকে সরে আসার পক্ষে। এখন রামপালের বিকল্প হিসেবে কক্সবাজারের মহেশখালীর কথা ভাবছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
সেখানে একাধিক কয়লা ও এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।